আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের গোয়েন্দা বিভাগে কারা?

সবাই সুখি হন

নৃশংস এই হত্যাকান্ড দেখে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে শক্তিহীন রাষ্ট্রে পরিণত করার একটি বৃহৎ প্রজেক্টের অংশ কিনা । অন্তত বিভিন্ন সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের কথাবার্তায় তাই ফুটে উঠছে। সাবেক ডিজি ফজলূর রহমান কোন ক্রমেই এই হত্যাযজ্ঞকে শুধুমাত্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলতে নারাজ। স্বয়ং জাহাঙ্গীর কবির নানক এই ঘটনাকে দীর্ঘদিনের এবং এর পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। ঘটনাটা অত্যান্ত সুপরিকল্পিত বলেই সকল মহল মনে করছেন।

ক্ষোভ যদি থাকে তবে সেনা কর্মকর্তাদের বাড়িঘর লুটপাট কোন কারনে ? এই জন্য গভীরভাবে বিশ্লেষন করা প্রয়োজন। ঘটানাটা যেদিন ঘটে, সেদিন বাংলাদেশের সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরীদের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সমাবেশ ঘটেছিল। এই দিনটির জন্যই কি দীর্ঘদিনের প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল ? দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা বিনিদ্র রজনী কাটায় তাদেরকে একত্রিত পেয়ে এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে দেশের শক্তিকে নিমূল করার অভিপ্রায় কিনা-ইত্যকার নানা প্রশ্ন আলোচনায় আসছে। হঠাৎ করে বিডিআর এর উপর হতে সেনাকর্মকর্তার নিয়ন্ত্রন তুলে নেওয়ার কথাই বা কেন আসল ?তাহলে কি বাংলাদেশের সীমান্ত অরতি করে দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ত্ব কে ধুলিসাৎ করা ? প্রশ্ন আসছে বাংলাদশের গোয়েন্দা বিভাগ নিয়ে । এই পর্যন্ত যতগুলো বোমা হামলা হয়েছে তার কোন একটিরও আগাম সতর্কবার্তা গোয়েন্দা বিভাগ দিতে পারেনি।

না দিতে দেওয়া হয়নি তা রহস্যের বিষয়? কিছু পত্রিকায় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ র এর বরাত দিয়ে সিএনএন সংবাদ ছেপেছে বিডিআর বিদ্রোহে জামাতের ইন্ধনের কথা। ফলে স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি আরো রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তাহলে কি আগে থেকেই ভারতের র জানত এই রকম নৃশংসা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে! র কিভাবে জানল জামাতের ইন্ধন আছে ? আমাদের গোয়েন্দা বিভাগে কারা? র এর কোন অংশ কি আমাদের গোয়েন্দা বিভাগে অনুপ্রবেশ করেছে ?দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গোয়ন্দা বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন আসছে তাদের যোগ্যতা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব দ্রুত নির্ভরযোগ্য দেশপ্রেমিক সামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করার। কারা আমাদের গোয়েন্দা বিভাগে? তাদের গতিবিধি ল্ক্ষ্য করা প্রয়োজন।

তা না হলে আপনি আমরা কেউ নিরাপদ নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.