আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভেবে দেখার বিষয় (চিলের পিছনে যারা ১০০ মাইল বেগে দৌড়ায় তাদের উদ্দ্বেশ্যে)

কিন্তু আমি না আমার এই লেখাটি যারা সচেতনভাবে আমাদের মহান মু্ক্তিযুদ্ধ নিয়ে চেতনার ব্যবসা করছে ঐ সব চেতনার ফেরিওয়ালাদের উদ্দেশ্যে নয়। ধোকাবাজী আর মিথ্যাচার ই যাদের মুলধন, তারা দেশ নিয়ে, মু্ক্তিযুদ্ধ নিয়ে, শহীদদের নিয়ে ব্যবসা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার যে সমস্ত ভাইয়েরা আজ ঐ সব ভন্ড চেতনার ব্যবসায়ীদের দ্বারা ব্যবহ্রত লেখাটি তাদের জন্যই। একবার ও ভেবে দেখেছেন ঐ সব ভন্ড চেতনার ব্যবসায়ীরা ১৯৫ জন পাক হানাদার যুদ্দাপরাধী যারা আমার দেশের মানুষদের কে ধর্ম রক্ষার নামে নির্বিচারে হত্যা করেছিল তাদের বিচার দাবী করে না কেন? স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমান একটি কমিটি গঠন করে দেন যারা যুদ্ধের সময় অপরাধ সংগঠিত করেছিল তাদের চিন্হিত করার জন্য। যুদ্ধের সময় কারা অপরাধ করেছিল তা ছিল দিবালোকের মত পরিষ্কার, কেননা তখন যুদ্ধ সবে মাত্র শেষ হয়েছে।

মুজিব সরকার ভারতি্য সহায়তায় অনেক তদন্ত করে ১৯৫ জন পাক হানাদার কে চিন্হিত করে যুদধাপরাধী হিসাবে। ভেবে দেখেছেন এই ১৯৫ জনের মদ্ধে ১ জন জামাত নেতার ও নাম নাই কেন? মুজিব সরকার আরও একটি কাজ করেছিল। যারা পাক হানাদারদের অপরাধ কর্মে সহোযোগিতা করেছিল তাদের বিচার করার জন্য দালাল আইন প্রনয়ন করেছিলেন তিনি। এই আইনের আওতায় ৩০,০০০ হাজার বাংলাদেশী কে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে গোলাম আযম, সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লার নাম নেই কেন।

যে সমস্ত অর্বাচিন আজ ৩০ লক্ষ বাংগালি হত্যার জন্য গোলাম আযম, সাঈদী, নিজামীদের কে দায়ী করছে, তারা কি শেখ মুজিবের চেয়েও বড় মুক্তিযোদ্ধা? আমি কখনো শুনি নাই শেখ মুজিব জামাত কে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দোষারোপ করেছেন। এই দেখুন কাদের মোললার মামলাটি। অভিযোগ তিনি ৩৪৪ জন মানুষকে হত্যা করেছেন। অভিযোগটি কারা করল? যারা কাদের মোল্লার রাজনৈতিক প্রতইপক্ষ। ৩৪৪ শহীদের পরিবারের কোন একজন মানুষও বিগত ৪০ বছরে কাদের মোললার বিরুদ্ধে ১টা অভিযোগও করল না, কিন্তু কেন? ভেবে দেখেছেন।

যাই হোক আমাদের মানবতা বিরোধি আন্তর্জাতিকা (!) ট্রাইবুনালের মহান প্রসিকি্উশন অনেক দৈড়ঝাপ করে, মাথার ঘাম এসির মধ্যে ফেলে তদন্ত করে বিরাট সত্য আবিষকার করলেন - কাদের মোল্লা ৩৪৪ হত্যাকান্ড করেন নাই, তিনি তাতে সহোযোগিতা করেছেন কাদের মোল্লা এত মানুষ হত্যা করল, একজনও প্রত্যক্ষ সাক্ষী নেই কেণ? আবার দেখুন, মেহেরুন্ণিসা হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করা হল কাদের মোল্লা কে। সাক্ষী কে? কবি রোজী। কাল রাতেও দেখলাম তিনি খুব ইনি্যে বিনি্যে কাদের মোল্লার নাম বলছেন হত্যাকারি হিসাবে। মেহেরুন্ণিসা হত্যার বেপারে কবি রোজি একটি বই লিখেছেন ২০১১ সালে। হত্যাকারি হিসেবে তো দুরে থাক, পুরো বইটিতে কাদের মোললার কোনও নামই নাই এতেই কি প্রমানিত হয়না কাদের মোললার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত? আরও একজন সাক্ষী বললেন, তিনি খাটের নিচে লকিয়ে থেকে কাদের মোললাকে হত্যা করতে দেখেছেন।

অথচ এই সাক্ষীই মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে জবানবন্দি দিয়েছেন যে ঘটনার ২ দিন আগে তিনি ঐ বাসা ছেরে পালিয়ে যান, ফলে জানে বাচতে পেরেছিলেন। এ থেকে কি প্রমান হয় না তিনি মিথ্যা সাক্ষ দিচ্ছেন? আমাদের বুঝতে হবে এইসব আওয়ামী বাকশালী বাম রামদের যুদ্দাপরাধীদের বিচারে কোন আগ্রহ নাই। তাদের সব মাথা ব্যথা হচ্ছে জামাত শিবির। কারন, জামাত শিবির ই পারে তাদের ভনডামীর কাল মুখোশ উন্মোচন করে দিতে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.