আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সহমরণ ! সখি ভালবাসা কারে কয়..।

"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরিয়া গেছে.। "

ফটিকছড়িতে অভাবের তাড়নায় গত পরশু রাতে স্বামী -স্ত্রী একযোগে আত্মহত্যা করেছে। চা দোকানের কর্মচারী হোসেন ও হাটহাজারী ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী তৃষা ২ মাস আগে ভালবেসে ঘর বেধেঁছিল। কিন্তু অচিরেই তাদের স্বপনের ঘর ভেংগে যায়। আবেগের উত্তাল স্রোতে তারা সামাজিক পরিচয়ের প্রতিবন্ধকতা কে হার মানালেও চলার পথের নির্মম বাস্তবতার কাছে হার মানে তারা।

বাস্তবতার নিষ্ঠুর ঘুনপোকা অল্পদিনেই ঢুকে পড়ে তাদের সংসারে। চা দোকানের চাকুরে হোসেন নিজ সংসারের পাশাপাশি দরিদ্র পিতামাতার জন্যও খরচ দিতে হতো বলে চরম আর্থিক সংকটে পড়ে তাদের নতুন সংসার। সখ ও সাধ্যের দূরত্বে নানা পাওয়া না পাওয়ার দ্বন্দে ভালবাসার রং ক্রমশ ফিকে হয়ে উঠে। অভাবের তাড়নায় স্বামী স্ত্রী প্রায়ই ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হত। সেদিনও তারা রাতের খাবারের মেন্যু ভাল না হওয়ায় কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়।

অভিমান করে তৃষা ভাত না খেয়ে শোবার ঘরে চলে যায়। পাল্টা অভিমানে হোসেন দারিদ্রতার সকল দায় ভার নিজের কাধেঁ নিয়ে বাইরে থেকে শোবার ঘরের দরজা লাগিয়ে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করে। ওদিকে স্বামীর আত্মহত্যার ঘন্টাখানেক পর তৃষা নিজেও গলায় ওড়না পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করে। এভাবে ভালবাসা দিবসের খুব কাছে এসে করুন পরিণতির মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় ভালবাসার একটি বাস্তব উপাখ্যান...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।