আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তার টেবিলে


জয়তী আর ওর বাবার ফিসফিসানি দেখে ওর মা জিজ্ঞেস করল ''কিরে কি শলা-পরামর্শ হচ্ছে বাপ-বেটি মিলে?'' হাতের প্রিন্ট করা কাগজ গুলো আস্তে করে মায়ের দিকে ঠেলে দিয়েই জয়তী হাহ হাহ করে হেসে উঠল, আর মেয়ের হাসি দেখে ওর বাবাও হেসে উঠল। বলল-মা এটা পরে দেখ, তারপরে তোমার সাথে আমাদের একটা মিটিং আছে। এসব এখন পড়ার সময় নাই। তোমাদের মত আমারত আর এত সময় নেই। একটা ছুটির দিন একটু আরাম করব সে উপায়ওতো নেই আমার।

সেই সকাল থেকে তোমাদের নাস্তার জোগাড়ে লেগেছি। কেউ একটু সাহায্য করবে তা না, এখন আবার ফাজলামো হচ্ছে? আর বাদশাহ আকবর এখনও রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমাচ্ছেন। তোর ভাইয়াকে জলদি উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তার টেবিলে আসতে বল। আজকে তোদের সাথে আমারই মিটিং আছে--এই বলে জয়তির মা রান্না ঘরে চলে গেল। আর মুহূর্তেই বাবার মুখের হাসিও হাওয়া হয়ে গেল।

জয়তীর বাবা একটু উচু গলাতেই বলল, মামনি তুমিত তোমার মাকে একটু হেল্প করতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘর থেকে ভেসে এল-তুমি তোমার মেয়েকে কেন ঠেলছ, নিজেওত পার আমাকে একটু হেল্প করতে। সাথে সাথে বাবাও চুপসে গেল। কুনইয়ের গুতো দিয়ে আস্তে করে বলল-যা যা তোর ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে আয়। আর ঘটনাটা কি, এত বেলা পর্যন্ত কেন ঘুমায়।

সারারাত জেগে কি করে? কারো সাথে কিছু চলছে টলছে নাকি? বাবা আমি ভাইয়াকে ডাকতে পারব না, দরজা ধাক্কালেই চিৎকার শুরু করবে এবং পরে আমার কান মলবে। আর সারারাত জেগে কি করে সেটা ভাইয়াকেই জিজ্ঞেস করো। আরে বুঝিস না সবকিছুত আর আমাকে বলবে না, তোর সাথে কিছু আলাপ টালাপ করে না? এই সময় হঠাৎ করেই চিৎকার শোনা গেল ভাইয়ার ঘর থেকে, আম্মাআআআ আজকে ভুনা খুচুরি খাব আর রান্নাঘর থেকে ভেসে এল, একটা চড় দিয়ে তোর দাঁত সবগুলো ফেলে দিব...... ছবি: উইকিমিডিয়া
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।