আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মহান সংসদ যেন আবার শুয়োরের খোয়ারে পরিণত না হয় (স্যরি..)



অনেক অপেক্ষার পর আজ সেই বহুল প্রতীক্ষীত সংসদ বসল। অনেক কথাবার্তাও হল। নিয়মমাফিক অনেক কাজকর্মও সারা হল। তবে কিছু লক্ষণ আবারও দেখা দিয়েছে যা অনেক দিনের ট্রেন্ডকেই ফলো করছে, যাতে মনে হচ্ছে না সংসদের কার্যক্রমে নতুনত্ব দেখা দেবে। যেমন: ১. বিদায়ী স্পীকার যখন তার বিদায়ী ভাষণ দিচ্ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী তার পাশের জনের সাথে হাসিঠাট্টায় মত্ত ছিলেন, যার অর্থ তিনি ভাষণ শুনছিলেন না কিংবা এটার কোন গুরুত্বই তার কাছে নেই।

এটি কিসের লক্ষণ আল্লাহই জানে। ২. স্পীকার (সাবেক) ভাষন দেয়ার সময় একজন সদস্য হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে কি যেন বলার চেষ্টা করছিলেন তার মাইকে সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও। তিনি চেঁচাচ্ছিলেন বোন বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই। এই গোয়র্তুমির অর্থ কি? ৩. একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেকবার অনুরোধ করেও কোন ফ্লোর না পেয়ে বাইরে চরে গেলেন(ওয়াক আউট!)। দেখানো হল নিয়ম নাই তাই কথা বলা যাবে না(হতেই পারে এরকম নিয়ম)।

কিন্তু তার পরের পাঁচ মিনিট ধরে হাসি তামাশা চলল। ৪. রাষ্ট্রপতির ভাষণের আগেই হঠাৎ করেই ওয়াক আউট করলেন বিএনপি সংসদ সদস্যরা। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই। যে অভিযোগ তারা দেখালেন তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য আপনারাই বিবেচনা করুন। হট্টগোল তো আছেই।

আর বেশ কিছু বলার ছিল। কিন্তু এটুকুই কি যথেষ্ট নয়? আপনারাই বিবেচনা করেন। সংসদের সব নেতা-নেত্রীর প্রতি শুধু একটাই আহ্বান আপনারা যদি কোন কাজের কথা থাকে তাহলে সংসদে যান, না হলে দরকার নেই। খোশগল্প কিংবা ঝগড়া করার আরও অনেক জায়গা রয়েছে। মনে রাখবেন আপনাদের এক মিনিট গল্প করা কিংবা ঝগড়া করাতে আমাদের ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়।

যা একজন কৃষক বা দিনমজুরের তিন থেকে চার মাসের আয়। আর তাদের ঘামঝরা টাকাতেই আপনাদের এই রাষ্ট্রীয় আয়োজন। বিগত দিনগুলোর মত আবারও যেন কাউকে বলতে না হয় যে আমাদের এই মহান সংসদ কতগুলো শুয়োরের ্আড্ডাখানা মাত্র।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.