আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক সহিংসতা

I am fine

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে মাত্র কিছু দিন। বিজয়ী দল দায়িত্ব গ্রহণও করেছে মাত্র কয়েক দিন। অথচ মাত্র এই কয়েক দিনের মধ্যে আমরা বলা চলে প্রতিদিনের পত্রিকাতেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার খবর পাচ্ছি। সহিংতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় অনেক মানুষ আহত এবং নিহত হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন বাস স্টান্ড ,খালি জায়গা ইত্যাদি সব দখল দারদের হাতে চলে যাচ্ছে।

দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা সব বড় বড় সন্ত্রাসীরা আবার দেশে ফিরতে শুরু করেছে বলে খবরে প্রকাশ। কেও কেও নাকি আবার দলীয় হাই কমান্ডের অনুমতির অপেক্ষায় আছে। সিগনাল পেলেই তারা নাকি দেশে চলে আসবে। এই ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে দেশের বড় বড় শিক্ষাঙ্গানে বিজয়ী দলের ছাত্র -নেতাদের আধ্যিপত্য বিস্তার এবং সহিংসতা ও সংঘর্ষ। যেটা সাধারণ জনগণের কারও কাছেই কাম্য নয়।

এই মাত্র কদিন নির্বাচনের আগে দলীয় সভানেত্রী কি কথা বলে রাষ্টীয় ক্ষমতায় অদিষ্ট হয়েছেন সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্ত তারপরও আমাদের কে এতসব মারামারি,হানাহানি, দখল,সন্ত্রাসী নানা রকম অপ্রীতিকর খবর শুনতে হচ্ছে। যাতে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত। রাজনীতি মানেই যদি হয় সন্ত্রাস, দখল দারিত্ব,দূর্নীতি মারামারি,মৃত্যু,বিরোধী দলকে জব্দ করা, জবর দস্তি করে আন্দোলন মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গান বন্ধ করে একজনের পদত্যাগ দাবি করে নিজের দলের লোককে ঐ স্থানে বসিয়ে দেওয়া তাহলে অব্শ্য আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা শুধু বলতে চাই নির্বাচনের আগে যে সন্ত্রাসমুক্ত , দারিদ্র মুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ছিল তা গড়ার ক্ষেত্রে এই সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কি মোটেই অন্তরায় নয়? দখল দারিত্ব, মারা-মারি, চাঁদা বাজি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ধর্মঘট ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এগুলি কি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের আওতায় পড়ে না ?একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সর্বপ্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা এটা কি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রধান অন্তরায় হতে পারে না? তাই মানণীয় প্রধান মন্ত্রির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, এত বড় বিজয়ের পর যদি দলের নেতা কর্মী দ্বারা সৃষ্ট এসব তান্ডব দেখতে শুনতে হয় তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ কোয়ায় ? তাহলে কি আমরা ধরে নেব যে, জনগণের আশা-আখাঙ্খাকে পদ দলিত করে রাজনীতিতে কোন গুনগত পরিবর্তন রাজনীতি বিদরা চান না।

মাত্র এই কয়দিনে যদি এত মারামারি দখল, সন্ত্রাসের খবর পাই তবে বাকি পাঁচ বছর আমাদের কি দেখতে-শুনতে হবে তা আল্লাই জানে। নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের একটা ভাবনা সব সময় কাজ করতো। সে ভাবনা ছিল কি হবে নির্বাচনের পর? আবার কি সেই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস,হানা-হানি,দলীয়- করণ, দখলদারিত্ব আমাদের দেখতে হবে? নাকি কিছু পরিবর্তন হবে। যাই হোক , আমাদের প্রত্যাশা আমরা পূর্বের সেই হরতাল, ধ্বংস, লাশ, দখলদারিত্ব,সন্ত্রাস, মারামারি-হানাহানি আর দেখতে চাই না। আমাদের প্রত্যশা ,সময় থাকতে এসব দল বল বিবেচনায় না রেখে কঠোর হস্তে দমন করা।

কারণ সময় থাকতে সময়ের কাজ সময়ে না করলে তাতে পঁচন ধরলে সারানোর ওষধ পাওয়া যাবে না। তাই আবারও বলতে চাই, জনগণ রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন চাই, রাজনীতিতে গণতন্ত্র চাই, দেশে গণতন্ত্র চাই,সুস্থ স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চাই,ভয়-ভীতিহীন ভাবে পথ চলতে চাই, চাই সুস্থ ধারার রাজনীতি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.