আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের উৎপত্তি

মেঘমুক্ত নীলাভ দিঘীর কবোষ্ণতা খুঁজছে মন!

পৃথিবীতে মানুষের উৎপত্তি কীভাবে হল সে সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বেশ প্রাচীন। এ সম্পর্কে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে ,অপেরনের থিওরী, বিবর্তনবাদ আরও নানা ধরনের। তবে মতবাদ যাই থাকুক না কেন, অনেকই বিশ্বাস করে পৃথিবীতে মানুষ তথা জীব জগতের উৎপত্তির পেছনে অজানা কোন ব্যাপার আছে, আছে ব্যাখ্যার অতীত কিছু। সেধরনের কিছু তথ্য সংকলনের চেষ্টা করলাম পোষ্টে... ১. জীব কোষের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান প্রোটিন অনু। প্রোটিন হল অসংখ্য অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ যৌগিক জৈব অনু।

গড়পড়তা একটি সাধারণ প্রোটিন অনু প্রকৃতি হতে বাছাইকৃত প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান সমন্বয়ে সঠিক পরিমানে ও অনুপাতে রাসায়নিক বিন্যাসের মাধ্যমে গঠিত হয় তার সম্ভাবনা হিসাব করেছেন অনেক বিজ্ঞানী। এটা হিসাব করেছেন বায়োলজিস্ট ফ্র্যাংক স্যলিসবরী ,তুরস্কের বিবর্তনবিদ আলী ডেমিসেরী, বায়োলজিস্ট প্রফেসর হাবার্ট ইয়োকিসহ আরও অনেকে। হিসাব মতে এ সম্ভাবনা হল মোটামুটি ১ বাই ১০ টু দি পাওয়ার ৯৫০। এর মানে এ সম্ভাবনা ০.০০০...এরকম ৯৪৯ টি শূন্য তারপর ১। ১ বাই ১০ টু দি পাওয়ার ৫০ হলেই তা শূন্য হিসেবে ধরা যায়।

আর তার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন তা হিসাব মতে, ১০ টু দি পাওয়ার ২৬৩ বছর। অর্থাৎ ১ এর পর ২৬৩ টি ০ বসালে যে সংখ্যা হয় তা । তার মানে, বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হওয়ার সময়ের চেয়েও অনেক অনেক বেশি সময়। আর এ সবই একটি মাত্র মলিকুল তৈরির জন্য। আর ভাবার বিষয় একটা কোষে কত ধরনের প্রোটিন অনু থাকে আর প্রোটিন অনু ছাড়াও কত অন্যান্য অনু থাকে একটি কোষে, আর কতটি কোষ মিলে তৈরি হয় মানবদেহ।

একটি মানবশিশু যখন জন্মায় তখন তার দেহে থাকে প্রায় ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি মলিকুল থাকে। এসব ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটার সম্ভাবনা হিসেবাতীত ভাবে শূন্য...। তাই বিজ্ঞান একথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে জীব জগত তথা মানব সৃষ্টিতে কোন ব্যাখ্যাতীত ব্যাপার আছে,কারও প্রোগামিং,কোন কিছুর নির্দেশনা আছে নিশ্চয়ই। ( ১,২,৩,৪ ও অন্যান্য) ২. জার্মান বিজ্ঞানী রেইনহার্ড জাঙ্কার ও সিগফ্রিড স্কিরার ১৯৮৬ সালে জীব উৎপত্তিতে রাসায়নিক বিবর্তনের বিষয় ব্যাখ্যা করেন। তারা ব্যাখ্যা করেন প্রানের উদ্ভবের জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদান বাছাই হয়ে সমন্বয় হয়েছে এবং ক্ষতিকর উপাদান হতে রক্ষা পেয়েছে তা -অসম্ভব,অকল্পনীয়।

( ৫) ৩. বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ক্রিক , যিনি জেমস ওয়াটসনের সাথে ডিএনএ এর ডাবল হেলিক্স মডেল আবিষ্কার করার জন্য ১৯৬৩ সালে নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, উপলব্ধি করেছেন এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এটা আশা করা যে, পৃথিবীতে জীবন আকস্মিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। তাই তিনি সহ আরও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী এটা ব্যাখ্যার জন্য নতুন এক থিওরীর কথা ভাবেন-এক্সট্রাটিরেসট্রিয়াল ইন্টিলিজেন্ট পাওয়ার অর্থাৎ অন্য কোথাও হতে সৃষ্ট প্রাণ পৃথিবীতে এসেছে। ৪. ব্রিটানিকা সায়েন্স এনসাইক্লোপিডিয়াতে বলা হয়েছে জীব কোষে অ্যামিনো এসিড ও প্রোটিনের বিন্যাস আকস্মিক হওয়ার সম্ভাবন কে মিলানো যায়- একটি কয়েনকে দশ লক্ষ বার টস করা হল আর প্রত্যেকবারই হেড পাওয়ার সম্ভাবনার সমান । একই জায়গায় বলা হয়, এটা বোঝা একদমই অসম্ভব যে, কেন অনু গুলো ডানবর্তী বা বামবর্তী হয়ে সঠিক বিন্যাসে থাকে। ( ৬) তথ্যসূত্র: 1.Encarta reference library –Microsoft Corporation 2. H.P. Yockey, "A Calculation of the Probability of Spontaneous Biogenesis by Information Theory," J. Theoretical Biology, (1977), 67, pp.337-398. 3. H.J. Morowitz, Energy Flow in Biology (Academic Press, New York, 1968), p. 99. 4. Inheritance and Evolution, Ali Demirsoy , Meteksan Yayinlari 1984 5.Reinhard Junker & Siegfried Scherer, "Entstehung Gesiche Der Lebewesen", Weyel, 1986 6.Fabbri Britannica Science Encyclopaedia, Vol. 2 ,No. 22, পরের পোষ্ট: বিবর্তনবাদ : কতটা বিবর্তিত


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.