আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, আপনারা শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার আগে একটু ভাবুন


১. ২০০১ সালে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় গণভবন নিজের নামে লিখে নিয়েছিলেন। ২. সরকারী মালিকানাধীন পত্রিকা তার বোনের নামে লিখে নিয়েছিলেন। ৩. একটি লাশ পড়লে দশটি লাশ ফেলার হুকুম দিয়েছিলেন। ৪. বিরোধী দলকে দমন করার জন্য প্রণয়ন করেছিলেন তথাকথিত "জননিরাপত্তা আইন"’। ৫. জাতীয় সংসদকে অশ্লীল বাক্য চর্চার "খোঁয়াড়ে" পরিণত করা।

বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার কোনো সুযোগ না দিয়ে সরকার দলীয় সদস্যরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাপ-বেটির বন্দনা করতে থাকে। ৬. ভারতের সাথে ৩০ বছরের পানি চুক্তি, পার্বত্য-চুক্তি, সীমান্ত সমস্যাসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুই আওয়ামী সরকার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেনি। ৭. সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ জীবন তো দূরে থাক দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলই পরিণত হল এক একটি "আওয়ামী কসাইখানা"’। জন্ম নিল শত শত গডফাদার, মাফিয়া ডন। জয়নাল হাজারী, আবু তাহের, ছাতকের বোমা মানিক, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান, ঢাকার হাজী সেলিম, হাজী মকবুল, কামাল মজুমদার, আলতাফ গোলন্দাজ, লিয়াকত হোসেন, খুলনায় এরশাদ শিকদার, চট্টগ্রামের মামুন প্রমুখ।

এসব সন্ত্রাসীদের, দখল, খুন, হত্যা, নারী নির্যাতন আর লুণ্ঠনে জাতীয় দুর্যোগ নেমে আসে। শেখ হাসিনা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেননি, উল্টো বলেছিলেন, "জয়নাল হাজারীর মতো লোকই আমার দরকার"। ৮. ১৯৯৬’র নির্বাচনে শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন দেশে "অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে রেডিও, টিভি ও সরকারি সংবাদ সংস্থাকে দলীয়ভাবে মুক্ত করবেন এবং স্বায়ত্তশাসন দিবেন। " কিন্তু দেখা গেল শেখ হাসিনার ৫ বছরের শাসনামলে দেশের রেডিও টিভি পরিণত হল "বাপ-বেটির বাক্সে"। ৯. সত্য প্রকাশের অপরাধে প্রাণ দিতে হল দেশের প্রায় ১০ জন প্রখ্যাত সাংবাদিককে।

(যশোরের শামসুর রহমান, দৈনিক রানার সম্পাদক সাইফুল আলম মুকুল, খুলনার নহর আলী প্রমুখ)। আওয়ামী মাফিয়াদের হাতে বিকলাঙ্গ হয়ে গেল ফেনীর ইউএনবি প্রতিনিধি টিপু সুলতান, মানবজমিনের ইমরান, জনকণ্ঠের প্রবীর সিকদারসহ প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক। রাজনৈতিক মতানৈক্যের কারণে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে বোমা হামলা ও মামলা চালানো হলো । ১০. ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছিলেন "দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রদান ও সংবিধানের মৌল নীতি অনুসারে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথকীকরণ’ করবেন"। কিন্তু ৫ বছরের শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনে দেখা গেল ঠিক উল্টো অবস্থা।

দেশের বিচার বিভাগের ওপর নেমে এলো নগ্ন দলীয়করণের ও প্রভাবিতকরণের নির্লজ্জ খড়গ। হাসিনা বিচারপতিদের হুমকি দিলেন "ঠিকঠাক মত বিচার চালাতে না পারলে বিচারকদের পদ ছেড়ে দেন" বলে। শেখ হাসিনার মদদে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে , বিচারকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রায় অর্ধ্বডজন আওয়ামী মন্ত্রীর নেতৃত্বে লাঠি ও কিরিজ মিছিল বের হল ঢাকার রাজপথে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.