আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেগম জিয়ার অনুধাবন ও অভিযোগ



বহু প্রতীক্ষীত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামি ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে দেশের মানুষ জরুরি অবস্থার নামে সেনা নিয়ন্ত্রণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের মধ্য দিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। আশা করছি, আগামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই অবস্থা থেকে মানুষ মুক্ত পরিবেশে হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারবে। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ৫ বছরের দুঃশাসন, দলীয়করণ, লুটপাট আর ২৩ মাসের সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনে দেশের মানুষ কার্যত: অতিষ্ঠ। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণষ হতে পারে ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন।

তবে নির্বাচন যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত পরিবেশে হতে পারে কেবল তাহলেও সে জনপ্রত্যাশা পূরণ হবে। সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও সেনাবাহিনী পুনরায় মোতায়েনের মধ্য দিয়ে কার্যত জরুরি অবস্থা বহালই রেখেছে বলে দেশের মানুষ মনে করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতার লড়াইয়ে শামিল হওয়া বৃহৎ বড় দুই জোট নেত্রী দেশের বিভিন্ন এলাকার নির্বাচন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বেগম জিয়া বিগত কয়েকদিন জোরেশোরেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র খুঁজে ফিরলেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে জঙ্গিবাদ, যুদ্ধাপরাধী, আর দুঃশাসন ও লটপাটের কারণে বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া তাঁর জোটের পক্ষের জনসমর্থনের বাস্তব অবস্থাটা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পেয়েছেন, আর তাই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের কথা বলে নির্বাচন পরবর্তী মাঠ প্রস্তুত করে রাখছেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।