আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমির খানের চোখে আতঙ্ক, অমিতাভের বালিশের নীচে রিভলবার আর আমার প্রিয় মুম্বাইয়ের জন্য ভালোবাসা



মুম্বাইয়ের প্রতি আমার আলাদা একটা প্রেম আছে। সেটার কারন খুবই নগন্য ছিল ২০০৬ পর্যন্ত। নগন্য কারন,মুম্বাই হিন্দি ফিল্মের সূতিকাগার । কম দেখলেও হিন্দি ফিল্মের প্রতি আমার ভালোবাসা ভীষন। না থাকার কোন কারনও নেই।

এই স্যাটেলাইটের যুগে অমিতাভ,শাহরুখ,আমির খানেরা এখন একেবারে ঘরের মানুষের মতই হয়ে গেছে। অমিতাভ অসুস্থ শুনলে যেমন আমাদের মন খারাপ হয়ে যায় তেমনি শাহরুখের কেনা ক্রিকট দল খেলা জিতেছে শুনলে মনটা ভালো হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই আমরা কতটা আসক্ত তাদের উপর। তাই আনমনেই ফিল্মে দেখা মুম্বাইয়ের আন্ধেরী,সান্তাক্রুজ সহ এলাকাগুলো মনের ভেতর গেথে গিয়েছিল। মনের ভেতর গেথে গিয়েছিল নায়ক নায়িকাদের চলা লোকাল ট্রেন,ঘুরে বেড়াবার বীচ গুলো।

যে বীচ শুধু আমার মনেই গাথেনি বহু বছর আগে মুম্বাইয়ের বিখ্যাত জুহু বীচ গেথেছিল রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দের মনেও। জুহু বীচ নিয়ে তিনি অসাধারন একটা কবিতাও লিখেছিলেন। আমার এই আকর্ষন আরো বেড়ে যায়,এই মুম্বাই প্রীতি আরো তীব্র হয় গত বছর ২০০৭ এ। সুযোগ হয় মুম্বাই ঘুরে আসবার। তারপর থেকে মুম্বাই নামটাই আমাকে আরো ব্যাপকভাবে টানে।

মুম্বাই শুনলেই কান খাড়া হয়ে যায়, মুম্বাই দেখালে চোখ চকচক করে উঠে...। এইতো মুম্বাই...প্রিয় মুম্বাই...। গত কদিন ধরে মুম্বাইকে দেখলাম। ভয়ংকর বেদনায় নিয়ে দেখলাম, প্রিয় মুম্বাইকে। সন্ত্রাসের বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত মুম্বাই।

রক্তাক্ত মুম্বাই। মানুষের রক্তে লাল হওয়া মুম্বাই। মুম্বাইতে অনেকের সাথে পরিচয় হয়েছিল। আমি জানিনা তারা কেমন আছে? কেমন ভীতির মধ্যে আছে? এখন যেখানে আমির খানের মত লোক আতঙ্কের মধ্যে থাকে, অমিতাভ বচ্চন তার বালিশের নিচে রিভলবার রেখে ঘুমায়, সেখানে সাধারন তাদের জন্য আমার মনটা এমনিতেই খারাপ হয়ে যায়। চাই,তারা ভালো থাকুক।

যে শহরের মানুষ পৃথিবীকে ঘুম পারিয়ে ঘুমায় (ভারতে প্রচলিত)চাই সে শহরের মানুষ এবার একটু শান্তিতে ঘুমাক। চাই তাদের চোখ থেকে হারিয়ে যাক ভয়,হারিয়ে যাক আতঙ্ক। আর সঙ্গে তীব্রভাবে এটাও চাই পৃথিবী থেকে হারাক ধর্মের গোড়ামী। ধর্মের দোহাই দিয়ে এই সব যাবতীয় উগ্রবাদীতা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।