আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জঙ্গলের গল্প ( ছোটমনিরা ভয় পেয় না কিন্তু)

আমার বহুমাত্রিকতা। জ্যক অফ অল ট্রেড ..।

এক দেশে একটা বন ছিল আমাজনের মতই গভীর। বনের রাজা ছিল একটা বাঘ । অন্যান্য পশু পাখিরা বনের রাজাকে অনেক শ্রদ্ধা করত, তার কথায় উঠত বসত।

একবার ডাইনোসরের আক্রমনে বনে হুলস্থুল অবস্থা । রাজামশাই (ব্লগীয় রাজামশাই নয়) সবাইকে ডাকলেন ,কিভাবে ঐ ডাইনোসর প্রতিহত করা হবে তার পরিকল্পনা করলেন। সবাই বেশ তটস্থ হয়ে ডাইনোসরকে মোকাবিলা করল। ডাইনোসর এত বাঁধা অতিক্রম করে পেরে উঠল না । সবাই মিলে ওটাকে খতম করে দিল।

বনের মধ্যে তখন খুশির বন্যা। পাখি গান গেয়ে যায়,বানর গাছে ঝোলে,কুমির পানিতে জলকিলি খেলে। এমন সময় বাঘ রাজাকে একদল শিকারী মেরে ফেলে গুলি করে। এহেন অবস্হা থেকে রেহাই পেতে নতুন রাজা হয় ডাইনোসর নিধনের সময় নিয়োজিত বীর সিংহ । নতুন রাজা বনে ভালই রাজত্য করে।

এক দিন দু দিন পরে বনে হঠাতই সে শিকারীর সংখ্যা বেড়ে যায়। সিংহও আর বাঁচে না। তখন সুযোগ বুঝে শিয়াল সবাইকে বুঝিয়ে বনের রাজা হয়ে যায়। চতুর শিয়াল বেশ দাপটের সাথে বনে ঘুরে বেড়ায়। এসময় সে কিছু পাখিদের বণ্দী করে,বাদর ধরে,মুরগী ধরে শিকারীর হাতে তুলে দেয় যাতে শিকারীর উপদ্রপ না হয়।

এভাবে সে দিনের পর দিন রাজা হয়েই থেকে যায়। একসময় বাঘ শাবকগুলোও বড় হতে থাকে আর সিংহীও তখন সিংহ শাবক জন্ম দিয়ে বেশ তরতাজা। বাঘ -সিংহ চিন্তা করে আমারা বাঘ সিংহ হয়ে শিয়ালের রাজ্যে থাকতে পারি না। তখন তারা আবার পাখি,বানর,গরু,মহিয,ভেড়া,হাতি,ঘোড়া সবগুলোকে নিয়ে শিয়ালকে বণ্দী করে ফেলে। ।

সিংহী আর বাঘশাবক পালাক্রমে বনের রাজা হতে থাকে। অনেকদিন পরে রাজত্য পেয়ে যে যার মত নেচে গেয়ে বন উজার করে দেয় । বনের ঐতিহ্য হাতিশালে হাতি আর ঘোড়া শালে ঘোড়ার বদলে সিংহশালে সিংহ আর বাঘ শালে বাঘ হতে থাকে। এদের আমোদ ফূর্তিতে বনের গাছ উজাড় হতে থাকে। কেউ গাছ কাটা বাঁধা দেয়ার থাকে না।

বন ছোট হয়ে আসে। পাখিদের উড়ার জায়গা পাওয়া যায় না ,বাদরের গাছে ঝুলার ডাল পাওয়া যায় না,ঘোড়ার দৌড়ানোর রাস্তা নেই,হাতির কলাগাছ নেই । তখন কুমির জল ঠেকে ডাঙায় উঠে আসে আর বাঘিনী আর সিংহীকে বণ্দি করে । খিছুদিন ভালো যায়। কিন্তু জলের কুমির তো পানি ছড়া কিছুই বুঝে না, সে ডাঙ্গা সামলাবে কিভাবে?তখন ঘুরে ফিরে আর কাউকে না পেয়ে সিদ্ধান্ত দেয় যে বাঘিনী বা সিংহী যে কোন একজন রাজা হবে।

এই সুযোগে তারাও অনেক শর্তজুড়ে দিতে থাকে। দলভারী করার জন্য বাঘিনী শেষ পর্যন্ত শিয়ালকে ভাড়া করে আর অন্য কাউকে না পেয়ে সিংহী কতগুলি ছাগল ধরে নিয়ে আসে..... আবারো বাঘ /সিংহীর যা ইচ্ছা তাই চলে জঙ্গলে। নিরুপায় পাখিরা শুধু ডানা ঝাপটায় আর চি চি করে । ওদের ইচ্ছা করে -ইসসস সবকিছু যদি বদলে যেত ,যদি আমরা রাজা হতে পারতাম হয়তো একটি পক্ষীরাজ ঈগলের আবির্ভাব হবে সেই দিনের অপেক্ষায়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.