আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাটি যখন জ্বালানী

মহলদার
মাটি আবার জ্বালানী হয় নাকি? তাহলে তো বাংলাদেশে জ্বালানীর কোন ঘাটতিই থাকত না- এমন মনে হতে পারে অনেকেরই। হ্যাঁ, মাটিই জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তবে এই মাটি সাধারন মাটি নয়। এটি একটু অন্যরকম মাটি। একে বলা হয় জোব মাটি।

দেখতে খানিকটা কয়লার মতো এই জোব মাটি আসলে ঠিক মাটি নয়। এটি হল এক ধরনের জৈব পদার্থ। হাজার বছর পূর্বের কোন গাছপালা/বনাঞ্চল যা কোন প্রাকৃতিক কারনে মাটির নীচে চাপা পড়ে গেছে, সেগুলো পচে এবং ভূ-প্রাকৃতিক বিভিন্ন প্রভাবকের ফলে পরিবর্তিত হয়ে প্রায় মাটি হওয়ার কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গেছে এমন জৈব পদার্থই হলো এই জোব মাটি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই জোব মাটি দেখতে পাওয়া যায় বিশেষ করে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের (সুন্দরবন সংলগ্ন) জেলা গুলোতে । তবে অন্যান্য জেলায়ও কম বেশী দেখা যায়।

যখন রাস্তা, ব্রীজ, বাড়ি ইত্যাদি নির্মানের জন্য কিংবা অন্য কোন কাজের জন্য মাটি খনন করা হয় তখন কোথাও কোথাও এই জোব মাটি বের হয়। গ্রামের লোকেরা এই মাটি সংগ্রহ করে এটি দিয়ে গোলাকার কিংবা চ্যাপ্টা ঘুটে মতো তৈরী করে রোদে শুকাতে দেয়। রোদে শুকানোর পর বিশেষ চুলায় বসিয়ে এগুলোতে আগুন ধরানো হয়। আগুন ধরানো শেষ হলে এই ঘুটে গুলোকে লাল টকটকে লোহার পিন্ডের মতো দেখায়। তখন আর কোন ধোঁয়া বের হয় না এবং তখনই এর ওপর বসানো হয় রান্নার হাড়ি।

রান্নার ফাঁকে ফাঁকে চুলার মধ্যে ফেলা হয় দু’একটা ঘুটে এবং এভাবে চলতে থাকে রান্না। (এই ছবিটি তোলা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থেকে)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।