আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শাহবাগ হয়ে উঠুক আমাদের আশা আর ঐক্যের প্রতীক

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি গত কয়দিন যাবত প্রচন্ড অস্থিরতার মধ্যে কাটাচ্ছি। বিশেষ করে বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্ত্রাস আর হুমকী দেখে মনটা বিষিয়ে যাচ্ছিলো। অনেকেই ফোন করে জানতে চেয়েছে আমাদের মানে প্রবাসীদের কি কোন করনীয় নেই? আমি একজন আশাবাদী মানুষ - কখনও আশা হারাইনি এই দেখে যে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীরা মন্ত্রী হয়েছে - যুদ্ধাপরাধীরা অর্থবিত্তে সমাজের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে - তাদের দ্বারা মগজধোলাই হয়ে একদল যুবক রাস্তায় নেমে মানুষ পুড়িয়ে বা গাড়ী ভেংগে সন্ত্রাস করে আমাদের ন্যয়ের সংগ্রামকে থামিয়ে দিতে পারবে। এই আশার কারন হলো বাংলাদেশের প্রকৃতি এবং মানুষকে আমি ভাল ভাবে চিনি। যেমন দেখি বাংলাদেশের মাটি বর্ষায় নরম হয়ে যায় - বৃষ্টি নরম ছোয়ায় কাঁদা হয়ে থাকে - আবার গ্রীষ্মের দাবদাহে হয়ে উঠে কঠিন মাটির ঢেলায়।

যখনই বাংলার মানুষের উপর আঘাত আসে তারা হয়ে উঠে প্রতিবাদী। যার নমুনা দেখেছি বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে - ৫২, ৬৯, ৭১ এবং ৯০ এ। আবারো জেগে উঠবে স্বাধীনতা রক্ষায় - স্বাধীনতার বিপক্ষের শকুনদের থাবা থেকে মুক্ত রাখতে এরা ঐক্যবন্ধ হয়ে উঠবেই। (২) ধীরে ধীরে শাহবাগ হয়ে উঠছে ঐক্যের প্রতীক হয়ে। সেখানে কিছু রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারনে হয়তো সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়ে - কিন্তু যখন জনতার ঢল নামবে - তখন ক্ষদ্র স্বার্থগুলো সেই ঢলে তলিয়ে যাবে।

এই এক উন্মুক্ত মঞ্চ - সেখানে যাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য - যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই এই দাবী করা। আর এই সমাবেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের জানিয়ে দেওয়া আমরা আবার জেগে উঠেছি। বিচার চাই - বিচার চলবে। এই নিয়ে সন্ত্রাস করার কোন লাভ নেই। (৩) প্রবাসীদের জন্যে এই সমাবেশ আসলেই একটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

আমরা টিভিতে দেখছিলাম শিবির কিভাবে পুলিশকে আক্রমন করছে - জামাত শিবির হন্যে হয়ে লাশ হতে চাইছে যাকে জনমত তাদের পক্ষে যায় - পুলিশ সম্ভব ধৈর্য্য ধরে শিবির মোকাবেলা করেছে। কিন্তু টিভি পর্দা দীর্ঘক্ষন ধরে শিবিরের তান্ডব দেখা ছাড়া উপায় ছিলো না। কারন স্বাধীনতার পক্ষে শক্তি ঘরে বসে ছিলো। এবার আমরা দেখছি টিভিগুলো সরব হয়ে উঠেছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিয়ে। নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে কাদের মোল্লা কত বড় কসাই ছিলো।

(৪) পরিপূর্ন সমর্থন জানাচ্ছি বন্ধুদের - যারা সমাবেশে আছেন এবং গিয়েছিলেন। আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। আমরা আছি আপনাদের সাথে। শাহবাগের এই ঐক্য সমাবেশ - স্বাধীনতা বিরোধীদের জন্যে হয়ে ্‌উঠুক একটা মৃত্যুর পরোয়ানা। স্বাধীনতা বিরোধীরা জেনে যাক - ওরা আসলে ৭১ এ যে ঘৃনার কাজ করেছে - আজও মানুষ তা ভুলেনি - তাদের সমান ভাবে ঘৃণাই করে যাচ্ছে।

বন্ধুরা, নিজেদের মাঝে রাজনৈতিক বিতর্ক করার সময় অনেক পাওয়া যাবে - এখন চাই একটা ঐক্য - বিশেষ করে চলমান যুদ্ধাপরাধী বিচারের প্রক্রিয়া যতক্ষন চালু থাকবে ততক্ষণ যেন আমরা একটা ইষ্পাত কঠিন ঐক্যের বাঁধনে নিজেদের বেঁধে রাখি। জয় বাংলা, জয় হোক বাংলার মুক্তিকামী মানষের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.