আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেদনা নিদারুন ভাবে খেলছে



আজ তার সাথে মিলন হলো। না না সে মিলন না ,যা তুই ভাবছিস। ভোরে ঘড়ির এলার্ন শুনে ঘুম ভাঙলো। আলসেমীতে পুরো শরীর কাবু। মন বলে আরেকটু শুই।

আবার গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। আজ তার বিয়ে। শুনলাম মেহমানে পুরো ঘর ভর্তি। সকলের মনে আনন্দ নাচানাচি করছে, আমার মনে বেদনা নিদারুন ভাবে খেলছে। বেদনার জলে সিক্ত হয়ে একা বসে আছি।

মা বলে-একা বসে থাকলে মনটা আরো খারাপ হয়ে যাবে। মা একটু আধটু জানে । বলল-ওদের বাড়ী যা, সকলের সাথে মিশে কাজকর্ম করলে মনটা ভালো হয়ে যাবে। যাব বলে উঠছি,তখনি সে এলো। মেহেদী রাতের হলদে শাড়ী পরে।

ঠিক যেন একটা হলুদ পরী। মাকে বলল-আন্টি!মা আপনাকে তাড়াতাড়ি যেতে বলছে। যাব বলে মা অন্য রুমে চলে গেলো কাপড় পাল্টাতে। সে আমার সামনে দাড়িঁয়ে,নিরব-নিসাড়। কিছু বলতে চাইলাম,কিন্তু পারলামনা।

আছে বলার অনেক কিছুই তবুও যেন কিছুই নেই। কিছুক্ষন পর তার কোমল মেহেদী রাঙা হাতটি ধরে বললাম-আমায় ক্ষমা করিস। সে মাথা তুলে তরিৎ বলল-না না,সেটাতো আমার বলার। দেখি তার সুন্দর আখিঁ দুটো অশ্রু ছলছল। তার চোখ দুটো অসম্ভব সুন্দর।

সে সুন্দর রূপসূধা আজ থেকে অন্যের। ভাবতেই ........!তার অশ্রু মূছে দেবো কিনা ভাবছি। ঠিক তখনি সে বলে উঠলো-আপনার চোখে জল,মূছে দিই প্রথম এবং শেষ বারের মতো?প রম আদরে হলদে শাড়ীতে মূছে নিয়ে গেলো আমার শেষ অশ্রু ! কিন্তু তা কি শেষ অশ্রু ছিলো ! নাকি সূচনা মাত্র?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।