আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজভূমে পরবাসী, পরভূমে অধিবাসী



সিংগাপুর ফেরার সময় ঢাকা বিমানবন্দরে এক মহা সমস্যায় পড়েছিলাম। আমাকে পাসপোর্টের ভেতর ভিসা দেয়া হয় নি। তার বদলে সিংগাপুর মিনিস্ট্রি অফ ম্যানপাওয়ারথেকে একটা চিঠি দেয়া হয়েছিল। তাতে লেখা ছিল তারা আমার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশনের আবেদন মঞ্জুর করেছে এবং সিংগাপুর ইমিগ্রেশন আমাকে একটা সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দিয়েছে যাতে আমি ঐ দেশে গিয়ে কোম্পানির মালিক হিসেবে আমার স্থায়ী ভিসার প্রসেসিং শুরু করতে পারি। আমাদের দেশের ইমিগ্রেশনের লোকেরা ইংলিশ পড়তেই পারেনা! তারা ঐ চিঠিটা পড়তে না পেরে আমাকে বলল তারা আমাকে যেতে দিতে পারবে না কারণ আমার কোন ভিসা নেই! আমি বললাম আমি পড়ে দেই, কিন্তু তারা আমাকেও পড়তে দেবে না! তাদের হাতে পায়ে ধরা বাঁকিরেখে অনুরোধ করলাম তাদের উচ্চতর কর্মকর্তার সাথে আমাকে দেখা করিয়ে দেবার জন্য।

সেটাও তারা করবে না! তারচেয়ে আমার চেহারা দেখার ব্যাপারেই তাদের বেশি আগ্রহ দেখলাম! শেষে তারা আমাকে তাদের উচ্চতর কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেল। দেখলাম কর্মকর্তা নন কর্মকর্তৃ। তিনি চিঠিটা পড়ে বুঝলেন এবং তাদেরকে বললেন আমাকে ছেড়ে দিতে। তিনি তাদের কে বললেন, আমার যদি সিংগাপুরে ঢোকার অনুমতি নাই থাকে তাহলে সিংগাপুরথেকেই আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে, তাহলে তাদের সমস্যাটা কোথায়? তারপরও ওরা আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানান প্রশ্ন করে আমার আরও ২০ মিনিট সময় নষ্ট করে। শেষ পর্যন্ত ১ ঘন্টা পরে আমি বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পার হলাম।

এই লোকগুলোর সাথে আমাকে হাসি হাসি মুখ নিয়ে কথা বলতে হয়েছিল নইলে হয়তো আমার জন্য অন্য কোন সমস্যা তৈরী করত। এমনও হতে পারে তারা হয়তো টাকা চাচ্ছিল আর আমি বুঝিনি! অথচ সিংগাপুরে আমাকে কোন সমস্যা ছাড়াই ঢুকতে দেয়া হয়! এখন ভাবি আমার নিজের দেশের মানুষেরা আমাকে এভাবে হেনেস্থা করল আর বিদেশিরা আমাকে কত সহজেই তাদের দেশে আপন করে নিল!


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।