আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেহেদী'র কনে দেখা, অতঃপর------------

ভালবাসি প্রাণ প্রিয় মা ও জন্মভূমিকে

মেহেদীর বিভিন্ন জায়গায় বিয়ের কথা-বার্তা চলছে, এর মধ্যে একটা প্রোপfজাল এসেছে, তারই পাশের গ্রামের জনাব আবদুল মান্নানের মেয়ের জন্য। মেহেদী একটি বেসরকারী কোম্পানীতে চাকুরী করে। আর মেয়ে একটি ইউনিভার্সিটিতে অনার্স ফাইনাল ইয়ারে অধ্যয়নরত। আবদুল মান্নান সাহেব পেশায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। আর মেহেদীর বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী।

প্রস্তাবমত মেয়ের আব্বা একদিন এলাকার গন্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে ছেলের অফিসে আসে। দুপুর বেলা হওয়াতে মেহেদী সকলকে লাঞ্চসহ ভালো আপ্যায়ন করে। মেয়ের আব্বার মেহেদীকে পছন্দ হয়ে যায়, বলে আপনারা মেয়ে দেখেন। কিন্তু মেয়ের ঢাকার বাহিরী এক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, বলে আপনারা ইচ্ছে করলে মেয়েকে দেখে আসতে পারেন। ওটা ঝামেলাকর মনে হওয়াতে ছেলের পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী ঢাকাতেই দেখার পর্বটার আয়োজন করা হয়।

যাক শুক্রবার দু'পক্ষের ইচ্ছানুযায়ী তাদেরই এক আত্মীয়ের অফিসে আয়োজন করা হয়। সময়মত দুপক্ষই উপস্থিত হয়। কথাবার্তা চলছে, দু'পক্ষের মোটামুটি পছন্দ। আত্মীয়তা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এর মধ্যে হঠাৎ মেয়েকে ছেলের সাথে কথা বলার জন্য একরুমে পাঠাইয়া দেওয়া হয়।

ছেলে যথারীতি মেয়েকে অনেক আয়েশে ভঙ্গিতে সাহসের সাথে প্রশ্ন করতে থাকে। শুরুতে বলে কথা বলতে কোন সমস্যা নাই, বা কিভাবে কথা বলতে হয় তা জানা নেই? সো কোন মাইন্ড করলে চলবে না। মেহেদী মেয়েকে জিজ্ঞেস করে মেয়ের কি ধরণের ছেলে পছন্দ, তাকে পছন্দ হয়েছে কিনা, তাও কৌশলে জিজ্ঞেস করে, মেহেদীর নিজেরও এ ধরণের মেয়ে পছন্দ তাকে বলে দিল। সব ঠিক ঠাক মত চলল। শেষমেশ মেহেদী জিজ্ঞেস করল, আপনার কি কোন পছন্দ আছে কিনা? তখনই আসল ঘটনাটা বের হয়ে এল।

---------------------- চলবে------

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.