আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরীব গনতান্ত্রিক দেশ বলে আমাদের ভাগ্যে কি নির্বাচন নাই



বাংলাদেশে পর পর কয়েকটি নির্বাচন এদেশের মানুষকে গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী করেছে। নিবাচির্ত সরকার আধা সফল কিংবা পুরো সাফল যাই হোক না কেন তারা দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম এটা সবাই জানে। কিভাবে------------------- গনতান্ত্রিক সরকার মিডিয়ার উপর কোন ধরনে সরাসরি নিয়ন্ত্রন করে না। অর্থাৎ চতুর্থ শাসক মিডিয়া থাকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রন মুক্ত। দলের প্রতি আনুগত্য, দেশপ্রেম ও দলীয় বুরোক্রেটিক শক্তি স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারে।

বিরোধী দলের প্রতিও সরকারী দলের কম হলেও দায়িত্ববোধ থাকে। তবে এই সরকার ব্যাবস্থারও সীমাবদ্ধতা কম নয়। যার ফলাফল জরুরি অবস্থা। জরুরি আবস্থা দীর্ঘদিন চলতে পারে না। সেনাবাহিনী জরুরি মুহুর্ত্বে সরকারকে সাহায্য করে থাকে।

নিবাচর্ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে। সেনাবহিনী হল দেশের ত্রান কর্তা। সিভিল প্রশাসনকে সেনাবহিনী প্রয়োজনীয় সাময়িক সহায়তা প্রদান করতে পার। কিন্তু দীর্ঘ সহযোগীতা কোন ভালো সুফল বয়ে আনবে না। রাজনৈতিক সমাধান কখনও সামরিক শক্তি দিয়ে সমাধান হয় না।

তাই যদি সম্ভব হতো তাহলে আইয়ুবের মত শক্তিশালী শাসককেও পরাস্ত হতে হতো না। আমিরিকায় নিবার্চন হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশে নিবার্চন হচ্ছে না। কারন একটাই আমরা গরীব তাই আমাদের প্রতি আমাদের দেশে গনতন্ত্র মানায় না। গরীবের বউ সবার ভাবি- চামচিকা বার্মাও বাংলাকে খোঁচার সাহস দেখায়।

শক্তিশালী প্রতিবেশী দেশগুলো বলে, আম কি হেলপ করতে পারি। বাংলাদেশ কি ছায়ার সাথে যুদ্ধ করবে নাকি? ক্ষুধা দারিদ্র আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কিংবা প্রতিযোগীতামূলক বাজার ব্যবস্থায় টিকে থাকার লড়াই করবে সেই স্বিধান্ত নিতে হবে এই দেশের জনগনকে। আমরা শুধু গরীব চিন্তার ক্ষেত্রে। আমরা সম্পদের ক্ষেত্রে নই। আমাদের রয়েছে সাংস্কৃতিক দারিদ্রতা।

স্বাভাবের দারিদ্রতা সহজে মুক্ত করা যায় না। বলা হয়, আমার পিতাকে এই বাংলাদেশের মানুষেরাই মেরেছে তাই এই দেশের কল্যান চিন্তা করা আমাকে দিয়ে সম্ভব নয়। আমি চাই ক্ষমতা। আমি চাই বিদেশী প্রভুর শাসন। আর অন্যজন এমন দেশ প্রেমিক আপোষহীন যে তার নিজের সংগঠন ও তার স্টাচারও ঠিক নেই।

তার নিজ দলের লোকেরা দলীয় মিডিয়ার উপর আস্থা রাখতে পারেনা। দুরবীন দিয়েও তাদের মতাদর্শের একটি পত্রিকা বাসার ড্রয়িং রুমে পাওয়া তাবে না। নাই দলের উপর কমিটম্যান্ট। চাই ক্ষমতা। ভোট আসলে হুমরি খেয়ে পড়ে।

আর নির্বাচন চলে গেলে দলীয় লোকদের কষ্টের কথা শুনার সময় নাই। যা হবার তাই হয় দ্বিতীয় বার নিবার্চিত হওয়ার সুযোগ হারায়। হারায় জামানত। তৃতীয় বৃহত্তম পার্টি বৃহত্তর ইসলামীক দলও নির্বাচনে নানা কারনে ভোট পায় না। তবে এদের দলের গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অন্য দুই দলের চাইতে বেশী।

আর সেকু্লার দলগুলোর নেতা ও ভোটারদের মাথাগুনা যায়। নির্বাচনে নিজস্ব প্রশাসন দিয়ে ভোটে জিত চায় উভয়ই। কিন্তু জনতার স্রোত সেই বাধার বালিয়ারি ভেঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু দেশের স্বার্থ কেউ চায় চাইলে কি আর নিরিহ ১১ যাত্রীদের বিনা আপরাধে আগুনে পুড়ে মারে। দেশের স্বার্থে জয় দেশের স্বার্থে পরাজয় চাই।

শুধু বিরোধ নয়। আমিরিকায়ও এক সরকার আবার পূনঃ নিবাচিত হয়নি। তাই বলে দেশ বিকিয়ে দেয়নি। আর হায়রে বাঙ্গালী ইজ্জত বেচে দেই। তবু ক্ষমতা ছাড়ি না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.