আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় ঢাকা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নির্বাচন প্যাঁচালী

আমার জানা বলতে আমি কি বুঝি তাই জানি না।

নির্বাচন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এরপর সময়ও বয়ে গেছে। সপ্তাহদুয়েক তো পার হয়েই গেল। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৮ই ডিসেম্বর '২০০৮ ইং অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

আর তার মাধ্যমে গঠিত হবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার-কাঠামো। সর্বাধিক আলোচিত দলগুলোর মধ্যে বর্তমানে কাজ করছে অনেক মতামতের অমিল। নির্বাচনের পর্যালোচনা : বর্তমান [তত্বাবধায়ক] সরকার ২০০৬ সালে একবার ঘোষণা করেছিল, রাষ্ট্রের অগোছালো পরিস্হিতি কমিয়ে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন দিতে বছর দুয়েক সময় প্রয়োজন। সেই দু'বছর শেষ হতে চলল। দেশে চলমান জরুরী অবস্হা বর্তমান।

দেশ জুড়ে মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেনাপ্রধান। এখন সমস্যা হলো প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বড় অংশের কতিপয় ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব আইনগত জটিলতার আবর্তে প'ড়ে জরুরী অবস্হার মধ্যে মনোনয়নপত্র [সংসদ+উপজেলা] দাখিল করতে পারছেন না বা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না বিধায় ...... বুঝতে কোন অসুবিধা থাকার কথা নয় কেন চারদলের দাবীর দফাসংখ্যা ৭ থেকে ৪-এ নামল। [আবার আটচল্লিশ ঘন্টার ব্যবধানে তা ৪ থেকে কমে ৩-এ এসে ঠেকেছে। ] বেগম খালেদা জিয়া গত ১৭ই নভেম্বর চারদলীয় জোটের পক্ষে প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সামনে ৪ দফা উল্লেখ ক'রে সংশ্লিষ্ট মহলকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আল্টিমেটাম দেন: ১. দেশ থেকে জরুরী অবস্হা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ২. আরপিও'র ৯১-র ই ধারাসহ সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক অন্যান্য ধারা বাতিল ৩. উপজেলা নির্বাচন সংসদ নির্বাচনের তারিখ থেকে কমপক্ষে একমাস পিছিয়ে দেওয়া এবং ৪. হজ্জ্ব যাত্রীদের ভোট দেবার সুযোগ নিশ্চিত ক'রে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী তফসিল পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারে আগামী দুই দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে। বেগম জিয়া দাবীগুলো উল্লেখ ক'রে বলেন, "যদি তারা তা না করে এবং তার জন্য যদি নির্বাচন অনিশ্চিত হয় তবে তার সম্পূর্ণ দায় এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।

" [সূত্র: এটিএন বাংলা নিউজ ১৭/১১/০৮] পাশাপাশি চারদলীয় জোটের অন্যতম শরীক দলের নেতা মুতিউর নিজামী এই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডে তার দলের অবস্হান জনগণ না সরকার না আদালত বা কোন্‌ মহলর কাছে ব্যাখ্যা করতে চাইলেন?--- "কোন মহল যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সে জন্যই জামাত নির্বাচনে যেতে চায়। নির্বাচন হতে হবে এ ব্যাপারে বিরোধের অবকাশ নেই। সরকার গঠণের ক্ষেত্রে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। " [সূত্র: এটিএন বাংলা নিউজ ১৭/১১/০৮] আটচল্লিশ ঘন্টা পেরোবার পর তাদের দাবীপূরণ না হওয়ায় দাবীর দফাসংখ্যা নেমে আসে ৩-এ। বেগম জিয়া গতকাল ২০শে নভেম্বর মিডিয়ার সামনে এবার ৩ দফার পরিষ্কার বিবৃতি দেন: ২৮শে ডিসেম্বর নির্বাচন হলে চারদলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণে রাজী।

তবে- ১. নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন থেকে জরুরী অবস্হা পুরোপুরি তুলে দিতে হবে ২. আরপিও'র ৯১-এর ই ধারা বাতিল এবং ৩. উপজেলা নির্বাচন একমাস পিছাতে হবে। [সূত্র: এটিএন বাংলা নিউজ ২০/১১/০৮] হজ্জ্ব যাত্রীদের ভোট দেবার পূর্ববর্তী ৪ নং দফা বাদ! এটা নিযে কারও মাথাব্যথা নেই বা জনগণের অধিকার সম্পর্কিত বিষয় এই লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডে হয়তো কোন পক্ষই আনতে চান না জোড়ালোরুপে। আওয়ামী লীগের ব্যস্ততাটা অবশ্য মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিকে বেশী দেখা যাচ্ছে। আর যারা মনোনয়ন পাননি তাদের একাংশের নিরুত্তাপ মন্তব্য: "আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। মনোনয়নপ্রত্যাশী সবাইকে খুশী করা সম্ভব নয়"- সৈয়দ আশরাফ।

[সূত্র: আজকের ২১/১/০৮ দৈনিক প্রথম আলো] আজ ২১/১১/০৮, শুক্রবার সরকারপক্ষ আবার বসবে চারদলীয় জোটের সাথে ৩ দফা নিয়ে..... নির্বাচন নিয়ে এই প্যাঁচাল আর ভাল্লাগ্‌তাসে না। যাই গোসল করি। সবার কাছে একটি প্রশ্ন রাখি। নির্বাচন পিছানো হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিস্হিতি বিচারে (বিশেষতঃ অর্থনীতিতে- বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে) কোন 'ইতি/নেতি'বাচক প্রভাব পড়তে পারে কি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.