আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যান অন ফায়ারঃ থার্ড ক্লাস বলিউডি সংস্করন

জীবন্ত মানব সত্তার অস্তিত্বই নিঃসন্দেহে মানবের সকল ইতিহাসের প্রথম আরম্ভ...
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি- একবার রামুকে(রাম গোপাল ভার্মা) মাফ করে দিয়েছিলাম তার ‘সরকার’ মুভির জন্য। ফোর্ড কপোলা’র গডফাদার এর তৃতীয় শ্রেনীর অক্ষম অনুকরন ছিল সেটা। ভাবখানা এরকম যে রেসিপি জানা থাকলেই যে কেউ হাজির বিরানি পাক করতে পারে। এত জঘন্য ধরনের নিন্মমানের সে মুভি, শেষ না করেই বেরিয়ে এসেছিলাম পুর্ব লন্ডনের আপটন পার্কের এক সিনেকমপ্লেক্স থেকে। গডফাদার মুভি এবং উপন্যাস দুইটাকেই আমি খুবই উচু মানের ক্লাসিক মনে করি।

কিন্ত আজ রোববার দুপুরে টিভিতে এটা কি দেখলাম? বলিউডি ম্যান অন ফায়ার!!! বৃটিশ লেখক এ, জে, কুইন্যল এর লিখা ম্যান অন ফায়ার প্রথম পড়েছিলাম সেবা প্রকাশনীর মাসুদ রানা সিরিজের অগ্নিপুরূষ নামে রুপান্তরিত অবস্থায়। রানা সিরিজের অন্যতম প্রিয় একটা কাহিনী ছিল সেটা আমার। বস্ততঃ কাহিনীর মুল সুরটাকে ঠিক মত ধরতে পেরে সে অনুযায়ী কাহিনী বিন্যাসে খুবই সাবলীল আর স্বার্থক ছিল সে কাহিনী। এর পরে দেখেছি ড্যানজেল ওয়াসিংটন অভিনীত মুভি ম্যান অন ফায়ার। আর আজ দেখলাম বলিউডের “এক আজনবী”- ড্যানজেল ওয়াসিংটন এর বদলে অমিতাভ বচ্চন !!!! আমি আজ দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি- ম্যান অন ফায়ার মুভিতে ড্যানজেল ওয়াসিংটন এর চরিত্রটা এক প্রাক্তন সি আই এ এজেন্টের, যে লড়ছে মেক্সিকো সিটির এক শক্তিশালী মাফিয়া দলের বিরুদ্ধে- আর ড্যানজেল লড়ছে ওয়ান ম্যান আর্মি হিসাবে।

কাহিনী শুরুতে সে ছিল একজন মদ্যপ, ফিজিক্যাল ফিটনেস যার তলানিতে এসে থেকেছে। কিন্ত শেষ পর্বে মুল এ্যকশনে যাবার আগে সে কিন্ত প্রচুর ওয়ার্ক আউট করে, নিজকে ফিট করে তুলে… যা কাহিনীকে বিশ্বাস যোগ্য করেছে। কিন্ত তার বদলে চামড়া ঝুলে যাওয়া অমিতাভকে দেখে মায়াই লাগে। “এক আজনবী” ছোটদের অগ্নিপুরুষও হয়নি। শেষ বিচারে মাসুদ রানার অগ্নিপুরুষ কে আমার মুভির চেয়েও বিশ্বাস যোগ্য, আর অসাধারন আবেগে মথিত এক অসামান্য কাহিনী হিসাবে মনে হয়েছে।

একদিকে ছোট্ট মেয়েটির প্রতি তীব্র ভালবাসা, আবার তার নির্মম মৃত্যুকে ব্যাক্তিগত পরাজয় হিসাবে দেখে, সে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেবার তীব্র আকাঙ্খা- দুই আবেগই অগ্নিপুরুষে যতটা ফুটে উঠেছে-মুভিতে অতটা মনে হয়নি। একদিকে নিউজ প্রিন্টের পেপারব্যাক আর অন্যটা ড্যানজেল ওয়াসিংটনের হলিউডি মুভি- তবুও মাসুদ রানার অগ্নিপুরুষ পড়ার মতো তৃপ্তি আমি মুভি দেখেও পাইনি। আর অমিতাভের “এক আজনবী”- দেখে মনে হলো বলিউডের মুভি এখনও হলিউডের হাঁটুর সমান বয়সও অর্জন করতে পারেনি।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.