আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজ্ঞান কতদূর এগোল? বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি ভাসমান “ঘূর্নিঝড় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র” বসানো যায় কি?

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

ভোলা, সাইক্লোনের পর ... এই ক’বছর আগেও উপকূলীয় এলাকার লোকজনের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা খাতে মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল মাত্র ৬ টাকা! এখন কত-জানি না। বেড়েছে খুব সম্ভব। তবে দুর্যোগের সময় প্রাণহানি কমল কি? সিডরের কথা ভাবি; আজও শিউরে উঠি।

আহারে, সুন্দরবনের অবুঝ গাছগুলোর শরীরে কী ভয়ঙ্কর দাঁতই না বসিয়েছিল সে রাত্রে সিডর। কত মানুষ যে তলিয়ে গেল! মরে গেল কত পশুপাখি! বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না কখনও। তবুও কল্পবিজ্ঞানের দোহাই দিয়েই বলছি, বঙ্গোপসাগরের ওপর ভাসমান একটি “ঘূর্নিঝড় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র” বসানো যায় কি? সাইক্লোনের যেহেতু চোখ আছে শুনেছি- সে কারনে ওই চোখটা সই করে তীব্র লেজাররশ্মি মেরে ওটার তেজ শূন্যে নামিয়ে আনা যায় না? (এই নিয়ে একটা ছবিও হয়েছে শুনেছি) জানি সম্ভব নয়। কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর মতন বিজ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রটির হাতেও নেই“ঘূর্নিঝড় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র”। কয়েক বছর পরপর প্রবল জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবে তছনছ হয়ে যায় ফ্লোরিডা, নিউ অর্লিয়েন্স, হিউস্টন।

তা হলে? ঘূর্নিঝড় নার্গিস আঘাত করার কথা ছিল বাংলাদেশের উপকূলে। ভাগ্যিস করেনি। করলে মায়ানমারের মত অবস্থা হত করুন ধ্বংসপ্রাপ্ত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্নিঝর-সাইক্লোন হচ্ছে মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত। কেননা, আমাদের দেশের উপকূলীয় জনগন তো তেমন স্বচ্ছল নয়।

প্রত্যহ তাদের নুন আনতে পানতা ফুরোয়; ঘরের খুঁটিটি নড়বরে, ছাউনিও তথৈবচ। কাজে কাজেই ঘূর্নিঝর-সাইক্লোন হচ্ছে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত। তাই বলছিলাম, বঙ্গোপসাগরের ওপর ভাসমান একটি “ঘূর্নিঝড় নিষ্ক্রিয় কেন্দ্র” বসানো যায় কি না। বসিয়ে দুঃখী দরিদ্র মানুষজনকে সুখে না-হলেও একটু স্বস্তিতে রাখা যায় কি না। পৃথিবীব্যাপী বৃহত্তর রাষ্ট্রগুলো বিগত পঞ্চাশ বছরে একে অন্যের বিরুদ্ধে তীব্র অস্ত্র প্রতিযোগীতায় লিপ্ত না হলে হয়তো এদ্দিনে তৈরি হয়ে যেত Cyclone Diffuse Centre. এসব গুরুতর রাজনীতির বিষয়; যা আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের সাদাসিদে মানুষের বোঝার কথা তো নয়!


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.