আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনস্বার্থ পরিপন্থী পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকায় যানজট (২)



জনস্বার্থ পরিপন্থী পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকায় যানজট (২) পরিকল্পনা গ্রহনের ক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব, জ্বালানি ও অর্থ সাশ্রয়ী, গণমূখী পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারীভাবে নীতি গ্রহনের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলোকে প্রধান্য দেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র পরিলক্ষিত হয়। শুধুমাত্র জনস্বার্থ পরিপন্থি নীতি ও পরিকল্পনার কারণে জ্বালানি নির্ভরতা, পরিবহণ ব্যয় এবং যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু নীতিগত এ ক্রুটিগুলোর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত না করে আবারও ব্যাপক অর্থ ব্যয়ে জ্বালানি নির্ভর, পরিবেশ দূষণ এবং পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। পরিবেশবাদী সংগঠন ও সচেতন মানুষের পক্ষ থেকে এ সকল কার্যক্রম বন্ধের আহবান জানানো স্বত্ত্বেও এর বিরুদ্ধে কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বিগত দিনের মতোই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।

যা আগামী দিনের ঢাকা শহরের অধিকাংশ মানুষের বসবাসকে আরো ব্যয়বহুল ও কঠিন করে তুলবে। পরিবহন পরিকল্পনার ধারাবাহিক ক্রুটিগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে বিভিন্ন পদক্ষেপের গ্রহণ করে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক স্বার্থে কিভাবে প্রাইভেট গাড়ী বৃদ্ধি করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো। পরিবহণ ব্যবস্থায় প্রাইভেট কারের প্রাধান্যই যানজট বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বিআরটিএ'র তথ্যমতে, বর্তমান হারে বছরে ৩৭ হাজার গাড়ি ঢাকার পরিবহণ ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে যার আশি ভাগই প্রাইভেট গাড়ি। অথচ প্রাইভেট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করে একের পর এক পাবলিক পরিবহণসহ অন্যান্য মাধ্যমে চলাচলকে নিয়ন্ত্রণের ফলে নব্বই ভাগ মানুষ চলাচলের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মূখীন হচ্ছে।

ঢাকা শহরে খুবই অল্প সংখ্যক মানুষের প্রাইভেট গাড়ি রয়েছে, যাদেরকে সুবিধা দিতে গিয়ে অধিকাংশ মানুষ উপযুক্ত পরিবহণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নীতি নির্ধারণী পর্যায়েও প্রাইভেট কার এর বৃদ্ধিকে যানজটের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করলেও এ যাবৎকাল কার নিয়ন্ত্রণের ন্যূনতম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঢাকা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যাতায়াত চাহিদা কমানোর জন্য প্রতিটি এলাকায় সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে কাছাকাছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার, আবাসন, কর্মস্থল ও বিনোদনের সুযোগ থাকে।

ঢাকা শহরে এখন পর্যন্ত এই সুবিধা বিদ্যমান। এই স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতে কোন ধরনের পরিবহণ সবচেয়ে উপযোগী সেটি পরিকল্পনা গ্রহণের সময় সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ কি.মি. এর মধ্যে চলাচলের জন্য হাঁটা, সাইকেল ও রিকশা খুবই উপযোগী পরিবহণ। আর অধিক দূরত্ব অতিক্রম করতে উন্নত পাবলিক পরিবহণ (বাস, রেল) ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়। এর জন্য নগর ও পরিবহণ পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বয় জরুরী।

নগর এলাকায় যাতায়াতের জন্য প্রাইভেট গাড়ি সবচেয়ে অদক্ষ একটি বাহন। ঢাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ও এতে চলাচলে উৎসাহী করে এমন অবকাঠামো নির্মাণ থেকে বিরত থাকলেই দীর্ঘমেয়াদে যানজট নিরসন করা সম্ভব। (চলবে)বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত International Symposium for Sustainable Transport for Developing Countries মারুফ রহমানের লিখিত Increase of Traffic Congestion & Private Cars in Dhaka Through Planning Against Public Interest: A Solution অনুবাদ জনস্বার্থ পরিপন্থী পরিকল্পনার মাধ্যমে ঢাকায় যানজট (১) Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.