আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচার বিভাগ পৃথকের এক বছর...গাধার কপালে আজও মুলা জুটল না...

শুরু হোক পথচলা/শুরু হোক কথা বলা...

দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে হেল। অথচ এই তো সেইদিনও, রোকনউদ্দৌলারা বহু চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারল না তথাকথিত বিচার বিভাগের 'স্বাধীনতা'। আচ্ছা, রোকন সাহেবদের কথা না হয় বাদই দিলাম, সে না হয় একজন পার্শিয়াল, তো ফরহাদ মাজহার-এর মত বুদ্ধিজীবিরাও যখন এর কুফল গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, তখন? আগে দেখা যাক, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার নামে আসলে কি হয়েছে? নিম্ন আদালতের বিচারব্যাবস্থার নিয়ন্ত্রনভার নির্বাহী সরকারের কাছ থেকে হাত বদল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাতে। ফলাফল? মরিচীকা দর্শন... এই ক্রান্তিকালের পূর্বে বছর দু'য়েক এর পক্ষে মিডিয়াতে এবং সর্বক্ষেত্রে এতই অপপ্রচার চালান হয়েছে, যে সেই সময় বিচার সম্বন্ধে অজ্ঞ এমন কোন সাধারণ মানুষকেও জিজ্ঞেস করলেও সে এর স্বপক্ষে দু'-চার মিনিটের ছোটখাট এক সেশন লেকচার ঝেড়ে দিতেন এবং কেন এই 'মহৎ' কাজটা করতে দেরী করা হচ্ছে, এই প্রশ্নে সরকারেরও কিঞ্চিৎ গোষ্ঠি উদ্ধার করতেন। আজ জানতে ইচ্ছে করছে, এই এক বছরে প্রাপ্তি কি? লক্ষনীয়, বিচার বিভাগ পৃথকের করার দাবী করেছিলেন কারা? কোন সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা কিন্তু এমন কোন জোরালো দাবী তূলেন নি, একমাত্র যাদের বেনিফিশার হওয়ার সম্ভাবনা, তারাই এই দাবীর পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। উচ্চ আদালতের প্রখ্যাত আইনজীবিগণ যেমন এর সপক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন, তেমনই এই ইস্যুতে আদালতের রায়ও পেয়েছেন একতরফাভাবে। যা হোক, নিম্ন আদালতের বিচারব্যাবস্থা সুপ্রিম কোর্টের হাতে চলে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ-এ নির্বাহী সরকার তূলনামূলক দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনায় অবশ্যই প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। আর এইভাবে শাসনতন্ত্রের একটা অঙ্গ যদি আদালতের হাতে চলে যায়, তাহলে আর নির্বাহী সরকারের দরকার কি? আদালতের হাতেই রাষ্ট্রক্ষমটা ছেড়ে দিলে হল!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.