আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুদক ২৬ বছর আগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচার করেছে আজ কিন্তু আজ যা ঘটলো তার বিচার করবে কবে.............

এলএলবি পরীক্ষার ফলাফল জালিয়াতির ঘটনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জি এম লতিফ খান ও সাবেক সেকশন কর্মকর্তা মো. নাসিরউদ্দিনকে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ আদায় না হলে তাঁদের আরও ছয় মাস করে কারাভোগ করতে হবে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাউর রহমান গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরই দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত এলএলবি চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাঁচ পরীক্ষার্থীকে জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ দেখানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

টেব্যুলেশনশিট অনুযায়ী এই পাঁচ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের উত্তীর্ণ দেখিয়ে ভুয়া ও অলীক নম্বর ফর্দ ও সাময়িক সনদ দেন আসামিরা। দুদকের মামলার ১৯৮৬ সালের ঘটনার আজ বিচার হয় অথচ ২০০৩ সালের পর নিয়মিতই বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকে । ২০০৪ সালে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ২০০৫ সালে ২৫তম বিসিএসের লিখিত এবং ২৭ তম বিসিএসের প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রসহ একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে থাকে । ২০১০ সালের জুলাইয়ে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে ।

এছাড়াও বিসিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষার অন্তত ৭০ বার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটলেও শাস্তির নজির নাই । জানিনা আজকাল যে ঘটনা গুলো নিয়মিত ঘটছে সেগুলোর বিচার ২৬ বছর পরে হবে কিনা । ২০১২ সালের ৩৩তম বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো অথচ এর কোন সুরাহা জাতি হিসেবে আমরা দেখতে পেলাম না, নাকি আমরা ২৬ বছর অপেক্ষা করবো হয়তো দুদকের কার্যক্রম আজ থেকে ২৬ বছর পিছিয়ে আছে যা কচ্ছপ গতিতে চলছে... তারপরও জাতি হিসেবে আমরা সবসময়ই আশাবাদী দুদক তাদের কাজের গতি বাড়াবে....... ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।