আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবাধিকার অবমূল্যায়নে মৌলবাদ ও শরিয়া আইন: প্রসংগ বিয়েবিহীন যৌনতা

বিশ্বাস বদলের সময়ে স্বাগতম।
প্রশ্ন: বিয়েবিহীন যৌনতা শরিয়াভিত্তিক শাস্তি কি? উত্তর: সোজা কথায় মৃত্যুদন্ড। মুহম্মদের (সাঃ) এর জীবনদশায় শুধুমাত্র বিয়েবিহীন যৌনতার একমাত্র শাস্তিই ছিল, মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। সত্যি বলতে কি, এখনো এটাই হয়। যেমন- কিছুদিন আগেও নাইজেরিয়াতে অর্ধেক শরীর মাটিতে পুতে পাথরের আঘাতে এক মহিলা কে জীবন দিতে হয়েছে।

এবিষয়ে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত তথ্যসূত্রসমূহ নিচে দেওয়া হলো। হাদিস থেকে- Bukhari (6:60:79) - Two people guilty of "illegal intercourse" are brought to Muhammad, who commands that they both be stoned. Apparently their act was out of love, however, since the verse records the man as trying to shield the woman from the stones. Bukhari (83:37) - Adultery is one of three justifications for killing a person, according to Muhammad. Muslim (17:4196) - A married man confesses that he has adultery. Muhammad orders him planted in the ground and pelted with stones. According to the passage, the first several stones caused such pain that he tried to escape and was dragged back. Muslim (17:4206) - A woman who became pregnant confesses to Muhammad that she is guilty of adultery. Muhammad allows her to have the child, then has her stone. Muslim (17:4209) - A woman confesses adultery and is stoned to death on Muhammad's order. Ibn Ishaq (970) - "The adulterer must be stoned." These words were a part of Muhammad's farewell address to his people on the occasion of his final pilgrimage to Mecca. এখানে লক্ষণীয়, কোরআনে এই সম্পর্কে সরাসরি কোন রেফারেন্স নেই। তবে, সুরা ২৪:২ অনুসারে, অবৈধ যৌনতার জন্য ১০০ দোর্রা মারার বিধান আছে। ঠিক এর পরের সুরাতেই দোষী সাবস্তদের বিয়ে করারও সমর্থন পাওয়া যায়। কিন্তু, এখানে মোহম্মদ (সাঃ) এর শাস্তি দেবার প্রক্রিয়াটির ধরণটি ছিল, মাটিতে অর্ধেক পুরে পাথর দিয়ে মারা।

যেটা কিনা পুরোপুরি খোদ কোরআনেরই অনুপস্থিত। যাই হোক, বিচার প্রক্রিয়াতে নিজে থেকে কেউ যদি স্বীকার করে না থাকেন যে তিনি দোষী অথবা চারজন পুরুষের ভাষ্য যদি না পাওয়া যায় ঐ ব্যক্তির ( পুরুষ বা নারীর) বিরুদ্ধে তবে, কার্যত এই আইনের প্রয়োগ হয়না। সমস্যাটা গভীর হয় অন্য জায়গায়। ১। পুরুষতান্ত্রিক শরিয়া সমাজ ব্যবস্থায়, সাধারণত কোন পুরুষকেই এই ধরণের শাস্তিতে মৃত্যু পর্যন্ত যেতে হয়না।

২। ধর্যণের শিকার হওয়া কোন নারীকেই এই আইনের থেকে প্রয়োগ থেকে বাচানোর উপায় নেই। যেই কেউ এতে ব্যাভিচারের আওতায় ফেলে দিতে পারে। কারণ, শরিয়া এই আইনে একজন ধর্ষিতার কথা বিশ্বাস করার বা তার কথা মেনে নেবার কোন অবকাশ নেই। ৩।

একজন ধর্ষণকারী বা কারীরা নিঃশ্চয় চারজন সাক্ষী রেখে ধর্ষন করে না। অথবা, চারজন ধর্ষণকারী নিশ্চয় ধর্ষণের পরে স্বীকার করবে না। ৪। চারজন ধর্ষণের সাক্ষী নিঃশ্চয়ই ধর্ষণ চেষ্টা চলাকালীন অবস্থায় একজন অবলা নারীকে সাহায্যে এগিয়ে আসবে, যদি কাপুরুষ না হয়। সেইক্ষেত্রে সরাসরি ধর্ষণ না হলেও ঘুরে ফিরে ব্যাভিচার আরোপ করা যেতে পারে।

৫। যদি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি কেউ ধর্ষনের শিকার হন, তাহলে কিছুই করার নেই। ধরুন, সম্পূর্ণ অপরিচিত কোন মানুষের দ্বারা কোন অন্ধ নারী যদি পাশবিকতার শিকার হন, তাহলে সঠিক বিচার পাওয়া মহিলাটির জন্য কোনভাবেই সম্ভব নয়। এই ধরণের দূর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে, আধুনিক মেডিকেল সায়েন্স ছাড়া কিছুই করার নেই। কিন্তু, মাদ্রাসা পাস করা মৌলবাদপুস্ট মানুষদের আগ্রহ এখনো অন্যখানে।

অতএব, আধুনিকযুগে অমানবিক এই ধরণের মূল্যবোধের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু - প্রশ্ন রইলো। ধন্যবাদ
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.