আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনসুর আল হাল্লাজ: মা ফি জুবাতি লা-আলা।

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ

Even beyond the Muslim faith, Hallaj was concerned with the whole of humanity ... শুসতার জায়গাটা ছিল পারস্যের পশ্চিমে। প্রখ্যাত মরমী সাধক মনসুর আল হাল্লাজ-এর জন্ম হয়েছিল সেই পারস্যে শুসতার-এই। ৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে।

মনসুরের পরিবার তুলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। আরবিতে হাল্লাজ মানেও কিন্তু তাই। সময়টা নবম শতক। ইসলাম ততদিনে গৃহিত হয়ে গেছে পারস্যে। তবে ধারনা করা হয় যে -মনসুরের পিতামত ছিলেন জরথুশত্রবাদী।

ইসলাম পারস্যে গ্রহনযোগ্য হওয়ার আগে ওই জরথুশত্রবাদই ছিল পারস্যের রাষ্ট্রধর্ম। মনসুরের পূর্বপুরুষ ছিল কুর্দি। মনসুরের বাবা সাধারণ জীবন যাপন করতেন। বালক বয়েসে যে জীবনটা সম্ভবত ভালো লাগত মনসুরের। ওই বয়েসেই হেবজ করেছিলেন কোরান; সেই সঙ্গে প্রাত্যহিক জীবন এড়িয়ে রহস্যবাদের দিকে ক্রমেই ঝুঁকছিল বালক মনসুর।

যুবা বয়েসে পৌঁছে বিবাহ করলেন। তারপর হজ পালন করতে বেরুলেন। কাবা শরীফে যতদিন ছিলেন রোজা রাখলেন; মৌন হয়ে রইলেন। তারপর ভ্রমনে বেরুলেন। পথে পথে ঘুরলেন।

ভারত থেকে মধ্যএশিয়া। কত কিছু যে শিখলেন। শেখালেন। বহু শিষ্যও পেয়ে গেলেন। আরও কয়েকবার মক্কা গেলেন হাল্লাজ।

তখন অনেকেই সঙ্গে ছিল তাঁর। তারপর তিনি বাগদাদেই স্থায়ী ভাবে বাস করতে লাগলেন। সেই সময়টায় বাগদাদ ছিল শিক্ষা-দীক্ষার কেন্দ্র। আব্বাসীয় খলিফাদের রাজধানী। অল্প সময়ের মধ্যেই হাল্লাজ নিজেকে লোকে তাঁকে শ্রদ্ধা করত।

শ্রদ্ধা করত খলিফারাও। অবশ্য হাল্লাজ ছিলেন অন্য সূফীদের চেয়ে ব্যাতিক্রম। কী ভাবে? তৎকালীন অধিকাংশ সূফী-সাধকই আধ্যাত্মিক মরমী সাধনার তত্ত্ব নিয়ে আলাপ আলোচনা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতেন, সাধারণ জনগনের সঙ্গে সে সব নিয়ে আলাপ করতেন না। মহাত্মা হাল্লাজ করতেন। তাতে তাঁর শক্র তৈরি হল।

তারাই খলিফার কানে বিষ ঢালল। সুতরাং, তৎকালীন শাসকগন শঙ্কিত হয়ে উঠল। একবার ঘোরের মধ্যে বলে বসলেন- “আনাল হক। ” কি এর মানে? হক মানে সত্য। আনাল মানে আমি (হই)।

যার মানে দাঁড়ায় আমিই সত্য। কথা ছড়াল এভাবে-আমিই আল্লা। যেহেতু আল্লা সত্য। কী! শুসতার-এর মনসুর নিজেকে আল্লা দাবি করছে! কী স্পর্ধা! বাগদাদে শোরগোল উঠল। তখনই মনসুর একবার বললেন যে-আমার পাগড়ীতে আল্লা ছাড়া আর কিছু জড়ানো নেই।

বাগদাদে শোরগোল আরও তীব্র হয়ে উঠল। তারপর মনসুর একবার নিজের পোশাক দেখিয়ে বললেন, মা ফি জুবাতি লা-আলা। কি এর মানে? আমার পোশাকের নিচে আল্লা ছাড়া কিছু নেই। এসব উদ্ভট কথাবার্তায় বাগদাদের শাসকবর্গ ভীষন উৎকন্ঠিত হয়ে উঠল। তাদের নির্দেশে মনসুরকে বন্দি করা হল।

দীর্ঘ বিচার চলল। মানে বিচারের নামে প্রহসন ... প্রায় ১১ বছর বন্দি থাকলেন বাগদাদের জিন্দানে। In the end, he was tortured and publicly crucified (in some accounts he was beheaded and his hands and feet were cut off) by the Abbasid rulers for what they deemed "theological error threatening the security of the state." Many accounts tell of al-Hallaj's calm demeanor even while he was being tortured, and indicate that he forgave those who had executed him. According to some sources,[who?] he went to his execution dancing in his chains. He was executed on March 26, 922. হাল্লাজের লেখা বইটির নাম "কিতাব আল তাওসিন। " কিংবা "তা সিন আল আযল"। বাংলা করলে এমন দাঁড়ায়-প্ররিত পুরুষের প্রদীপ।

এই বইয়ে দুটো অধ্যায়ে শয়তান ও আল্লার সংক্ষিপ্ত সংলাপ রয়েছে। আমরা জানি আল্লা আদেশ করলেও শয়তান আদমকে সেজদা করতে অস্বীকার করেছিল। শয়তান ভেবেছিল, আল্লাই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তা হলে আমি আল্লা ব্যতীত অন্যকে সেজদা করব কেন! অথচ, এই প্রত্যাখানই বিয়োগান্তক ভাবে খোদ আল্লাকেই প্রত্যাখানের শামিল হয়ে দাঁড়াল। হাল্লাজ নাকি বলতেন,If you do not recognize God, at least recognise His sign, I am the creative truth -Ana al-Haqq-, because through the truth, I am eternal truth. My friends and teachers are Iblis (Satan) and Pharaoh বলাই বাহুল্য, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে আল্লার সন্ধানের ওপর জোর দিতেন হাল্লাজ।

লালনের মতন। তাঁর পথ ছিল “সর্বজনীন রহসবাদী অর্ন্তদৃষ্টি। ” কাজেই, কেবল মুসলিমজাহান নয়-হাল্লাজ বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিতাব আল তাওসিন ...লিঙ্ক Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.