আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্যের লেখা প্রতিক্রিয়া



বিপক্ষ সন্ধান- মনু হজ্ব ক্যাম্পের বিপরীতে বিমানবন্দর চত্বরে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপ যার চেয়ারম্যান একজন নর সামরিক কর্মকর্তা। এই প্রকল্পের দৃশ্যমান চেহারা নাপছন্দ্ বাংলাদেশের কতিপয় নাগরিকের। ঐ কর্তৃপরে নথিপত্রে প্রকল্পের নাম কি আমি জানি না (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহবুব জামিল অবশ্য তাদের একটি আকাংখার কথা জানিয়েছেন); গোস্বা করা নাগরিকেরা বলছেন মূর্তিস্থাপন এবং তাদের বাঁধার চোটে কর্তৃপ চত্বর থেকে কতিপয় বস্তু সরিয়ে নিয়েছেন কোন পরিস্কার ঘোষণা ছাড়া যে উহা মূর্তিস্থাপন নাকি ভাস্কর্যস্থাপন। কতিপয় নাগরিক আবার উহাকে ভাস্কর্য বলে চিনেছে এবং তাঁরা চান উহা ওখানেই স্থাপিত হোক। ফজলুল হক আমিনী দেশের সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিয়েছেন ফলে দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক ভাস্কর্য হারানোর আতংকে আছেন।

আরো কিছু নাগরিক প গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন এই উপলে উগ্র সা¤প্রদায়িক ধর্মান্ধ শক্তির লম্ফন। যেকোন একপ জিতলে মূর্তিদের ভাস্কর্য অথবা ভাস্কর্যদের মূর্তি হয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখছি না; প্রতিপতা বেশ টেকসই, ভূমিষ্ঠ হয়েছে বেশ আগেই, আর এই আন্তঃনাগরিক বচ্সায় পুষ্ট হচ্ছে ক্রমশঃ। দুপরে মিলের জায়গা হলো রাষ্ট্রের কাছে ঘটনার স্পষ্ট ব্যাখ্যা চায়নি কেউই আর উভয়ই রাষ্ট্রের পতা চায়। ওদিকে রাষ্ট্র কিছুই বলছে না অথবা দুর্বাবনে হাতি লুকানোর চেষ্টা করছে। বিবদমান পদয়ের প্রতিপতার কেন্দ্রে আছে সম্ভবতঃ স্বতন্ত্র ধর্মভাবনা, ধর্ম বিষয়ে কথা বলার জন্য রাষ্ট্রের ধর্ম মন্ত্রণালয় আছে, ইসলাম নিয়ে কথা বলার জন্য আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ওদিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আছে।

এদের কোন ভাষ্য পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্র তার ধর্ম ইসলাম বলে ঘোষণা করেছে, কিভাবে কোথায় রাষ্ট্র এই ধর্ম পালন করছে সেটা বলেনি। কর্তৃপ লোকজ সংস্কৃতির কথা বলেছে কিন্তু বাঙ্গালীর, বাংলাদেশীর নাকি মুসলমানের অথবা কার বা কাদের বলেনি। এটাও বলেনি কেন তারা ওখানে লোকজ সংস্কৃতির হাজিরা চায়: আগত বিদেশীদের দেখানোর জন্য, স্মরণরত থাকার জন্য, দেশীয় পথচারির জন্য অথবা অন্য কিছু? মূর্তি প্রতিরোধ কমিটি অবস্থানের দিক থেকে বরং বেশ স্পষ্ট: মূর্তি প্রতিরোধ থেকে হজ্ব মিনার অবধি। এদিকে স্বঘোষিত প্রগতিশীল মানুষজন এবং মিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক থেকে উকিল-মোক্তার অবধি সবাইকে বুদ্ধিজীবী মানলেও ইমামবর্গ, মাদ্রাসার শিকদের বুদ্ধিজীবী বলে স্বীকৃতি দেয় না, তেমনি জনাব নূরানী সাহেবকেও রাজনীতিবিদ মানেন না।

কেন সেটা খুব পরিষ্কার নয়। অথচ রাজনৈতিকভাবে জনাব নূরানী আপতত জয়ী। এই অস্বীকৃতির সাথে আহমদীয়াদের অমুসলিম ঘোষণার নীতিগত তফাৎ কোথায়? এর মাধ্যমে প্রগতিশীলগণ তাদের ঘোষিত ঔদার্যের অঙ্গীকার কতটা রাখছেন কিংবা কতটা ঔদার্য তবে বিপরে কাছে আশা করতে পারেন? এই পুরো ঘটনাপ্রবাহে সবচেয়ে অস্পষ্ট থাকছে রাষ্ট্র অথচ রাষ্ট্র পুষছে স্পষ্ট করবার দায়িত্বগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ; শুধু বলবার নয় প্রচার, প্রসার, ছড়াবারও। কিন্তু রাষ্ট্র একটি প্রেসনোট দিতেও ভুলে গেছে। (রেজাউল করিম ভিজ্যুয়াল এন্থ্রোপলজি বিষয়ে পাঠশালায় শিক্ষকতা করেন।

তিনি মনু নামে লিখে থাকেন। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।