আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিঙ্গাপুরের কথা - ১

আল বিদা

খুব ছোটবেলায় যখন বিয়ে ব্যাপারটা বোঝার আগেই আমি যাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম সে হচ্ছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এয়ার হোস্টেজ। টিভি এড দেখেই তাদের প্রেমে পড়েছিলাম। কখনও ভাবি নাই কোনকালে সিঙ্গাপুর যাব। কিন্তু কিভাবে কিভাবে যেন আমার সিঙ্গাপুর যাওয়ার একটা ব্যবস্থা হয়ে গেল। এর আগে একবার প্লেনের টিকিট পেয়ে সবাইকে জানিয়েও যাওয়া হয়নি।

তাই এবার চুপিচুপিই রওয়ানা হলাম স্বপ্নের সিঙ্গাপুর। ১৭ তারিখ রাতের সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে করে রওয়ানা হলাম সিঙ্গাপুর। প্রথমবার যাচ্ছি বলে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। বাসায় এবং অফিসে যারা দেশের বাইরে গিয়েছে এবং যায়নি তারা সমান তালে আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা আমার ভাল চায় তাই বলেছে।

কিন্তু আমার নিজের উপর কনফিডেন্স কমে যাচ্ছিল। এয়ারপোর্টে গিয়েই শুরু করলাম ছবি তোলা। প্লেনে উঠেও ছবি তুললাম। আমার কলিগ বলল চলন্ত প্লেনের ছবি তোলা ঠিক না। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা পর নামলাম সিঙ্গাপুর।

প্লেনে সবকিছুই ভাল লাগল। এত উপর থেকে প্রিয় এই ঢাকা শহড়কে কত যে সুন্দর লাগে! এমনিতে ভোরে যে কোন জায়গাই ভাল থাকে। সিঙ্গাপুর তো আরও সুন্দর। এয়ারপোর্ট রাস্তা বড় আর পরিষ্কার। কোথাও ঝাকি খেলাম না।

এমনকি মূল শহড় পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ বা সিগন্যাল দেখলাম না। যদিও রাস্তা খালি ছিল তবুও সব ড্রাইভার সিগন্যাল মেনে চলে। পথে পুলিশের অনেক ভিডিও ক্যামেরা লাগান থাকে। সিঙ্গাপুরের বেলমোরালে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা ছিল। সুন্দর ছিমছাম একটি অতি অভিজাত এলাকা।

এখানে আমি সিঙ্গাপুরের কোন আভিজাত্য দেখলেও সাধারন মানুষের দেখা পাই নাই। রাস্তা ছোট বা বড় যাই হোক পাশে বড় বড় ফুটপাথ আছে। আর ইনটার সেকশনে ফ্লাইওভার আছে। আর ফ্লাইওভারে উঠলেই এক্সট্রা চার্জ। এমনকি সময় বুঝেও ট্যাক্সি বিলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়।

৪ দিন ৩ রাতের সিঙ্গাপুরের গল্প বলা শুরু করলাম। আপনারা পড়বেন তো!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.