আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের সাথে এমন অকারন রসিকতা না করলে কি হয় না একেবারেই?

আদর্শটাকে আপাতত তালাবদ্ধ করে রেখেছি...

বাংলাদেশ সরকারের সেন্স অফ হিউমার এত নিচে নেমে গেছে বুঝতে পারি নি আগে। যখন শুনতাম বড় বড় ভারিক্কি কথা আলু গঙদের কন্ঠে..'' আমরা ভাত খেতে না পারি..আলু খাব..এবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটা মানুষকেও না খেয়ে মরতে দিব না...সবাইকে আলু খেতে হবে...হ্যান ত্যান..'' ওই সময় গুলোতেও রসিকতার মাত্রাটা তাও সহ্য করার মধ্যে ছিল। ইদানিং তা তো সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশজুড়ে তখন যুদ্ধপরাধী বিচার নিয়ে বেশ সাজ সাজ রব। সবাই সোচ্ছার।

সেক্টর কমান্ডার ফোরাম বেশ সক্রিয় হয়ে নেমেছিলেন। সাধারন মানুষেরাও কন্ঠ মিলিয়েছিল। তাতে করে সরকারের কোন এক জোকারের করা রসিকতা '' ৩৭ বছর পর এই যুদ্ধপরাধী ইস্যু নিয়ে বেশী কথা না বলাই ভাল'' ''এই সরকারের কাজ যুদ্ধপরাধী বিচার নয়...আমাদের কাজ নির্বাচন করে দেয়া'' গুলো তখন বুমেরাং হয়ে গিয়েছিল প্রায়। ঠিক তখনই সুচারুভাবে একটি কমেডি ড্রামা করা হল মতি নিজামীকে কদিন কারাগারের ভেতর ভিআইপি সম্মানে রেখে। দেশের অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতা সহ বাকী সবাইকে ধরে জেলে নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে পিঠ বাকা করে দেয়া হয়েছে...আর একই অভিযোগে মতি নিজামীকে একমাসের জন্য আতিথেয়তা দিয়ে আইওয়াস নামের একটি সরস রসিকতা করা হয়েছিল বাংলাদেশ নামের আজব একটি রঙমন্চের মানুষদের সাথে।

ওই কমেডি ড্রামার হাততালিতে যুদ্ধপরাধী বিচার ইস্যুযে কোথায় হাওয়া হয়ে গেল। বাঙালী আবার নাটক পাগল কিনা!!! তাই তাদের একটু হাসির নাটক দেখালেই হল...সব খেয়ে বসে থাকে। কিন্তু এবারের রসিকতাটুকু কি একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে না? আর এর দরকারই বা কি? এখন তো আর ওইরকম কোন ইস্যু উঠছে না যাতে করে সাকার্স সরকারের ঘনিষ্টজনদের বিপদে পড়তে হয়। তবে কেন এমর কান্ড? আলী আহসান মুজাহীদের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হল। পুলিশ গিয়ে খুজে এসে বলল পায় নি বাসায় তাই এরেষ্ট করতে পারে নি।

তারপর সেই মুজাহিদই স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে বসে। আজকে আবার দেখি পুলিশ আবার একবার মুজাহিদকে গ্রেফতার করতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে এসেছে। তাকে পায় নি বলে তাদের কি আফসোস!!!!! দীপ্ত কন্ঠে তারা বলছে...তাকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই আটক করা হবে !!!! উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম চৌধুরী বিপুল বিক্রমে যা বললেন এ ব্যাপারে তা হল-- "শনিবার বিকাল চারটা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত মুজাহিদের উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে প্রায় ১৫জন পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায়। সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। খবর পেলে দেশের যে কোন স্থানে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাবে।

" এমন রসিকতায় কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারছি না। লাইনটা পড়ে দেখুন না। খবর পেলে(!!) দেশের যেকোন স্খানে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাবে????? মামলা দেয়া, গ্রেফতার আদেশ জারি, তারপর আবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে বসা, তারপর আবার অভিযান..খবর পেলে অভিযান এসব সস্তাটাইপ ফালতু রসিকতা করে সরকার কেন তার যোগ্যতার প্রমান দিচ্ছে বুঝতে পারছি না। এসব না করলে হয় না? আর কেনই বা মুজাহিদ সাহেবকে এমন হয়রানি? দেশে যদি একজন ফেরেশতা টাইপ লোক থেকে থাকেন তাহলে তা তো ওই মুজাহিদ সাহেবই। তাকে জড়িয়ে রসিকতা না করলেই কি নয়? ৭১ এ তিনি দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছিলেন।

সেকথা ভুলে গিয়ে তাকে নিয়ে এহেন রসিকতা বন্ধ করা ভাল। তারচেয়ে সার্কাস সরকার নামের টিভি চ্যনেলের মাধ্যমে বস্তাপচা কমেডি সিরিজ দেখানো বন্ধ করে দিয়ে সরাসরি চামচামিতে লেগে গেলেই হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.