আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হুজুর আপনে ঝুলেন, আমরা তো আছি

না, এই সরকার ফ্যাসিবাদী, দেইখা দেইখা ছয় দফা’র দিনে কাদু’রে ভরার লেইগা রেডি করলো ! এইডা কিমুন কথা, সেই উনসত্তর সালের ব্যাথা এখনো যায় নাইক্কা, এই দিন আইলে এখনো পাছা জ্বলে, আবার নতুন কইরা কাদুর শোক, দাদুর নাতি নাতনীরা সামলাইবো ক্যামতে ! এই সরকারের আর একদিনও খেমতায় থাকার অধিকার নাই ! এই সরকার পশুবান্ধব না ! কাদু রাজাকার'রে চিনছেন তো ! ও, এই নামে কইলে তো আবার চিনবেন না। আরে মিরপুরের কসাইয়ের কথা কইতাছি। আবার বাজারের কসাই ভাইয়েরা আমার কোথায় মাইন্ড খাইয়েন না, আপ্নেগোরে আমি ছুটু করিনাই, ঐ কাদের মুল্লাই করছে। কারন আমি জানি আপনেরা এতো নির্মম ভাবে মুরগীও কাটেন না। যাক কামের কোথায় আহি।

আজকা কসাই মামলার রায়। আজকা ঈদের দিন। কিন্তু ঈদের আনন্দ নাকি করবার দিবো না ওর আধুনিক কসাই পুলাপাইনেরা। ওরা হরতাল ডাকছে। ডাকবোই তো ! পিতৃ শোক বইলা কথা।

কিন্তু হারামজাদারা এইটা ভুইলা গেছে আজকা আমাগো প্রতিশোধের ঈদ, আজকা আমগো বুক থেইক্কা হাজার কষ্ট পাথর নামার ঈদ। কেউ আটকায়া রাখবার পারবো না। না বিচারের রায়, না আমার ঈদের আনন্দ। আসেন আগে কাদের কসাইয়ের কাহিনী জানি। সে ১৯৭১ এ তার উল্লেখযোগ্য কাজের মইদ্ধে আছে ১) বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে একাত্তরের ৫ এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা ২) কবি মেহেরুননিসা, তাঁর মা ও দুই ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা ৩) সাংবাদিক খন্দকার আবু তাওসমান গণি ও গোলাম মোস্তফাকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে দিনের আলোয় নির্মমভাবে হত্যালেবকে জবাই করে হত্যা Cool খানবাড়ি এবং ঘাটারচরে শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে হত্যা ৫) আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনের বেশি গ্রামবাসী হত্যা ৬) হযরত আলীকে গুলি করে হত্যা ৭) তাঁর স্ত্রী আমিনা এবং দুই মেয়ে খাদিজা ও তাহমিনা, দুই বছরের ছেলে বাবুকে হত্যা Cool হযরতের ১১ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ আর কত কইতাম ! কওয়ার কিছু নাই, এখন কওয়ার সময় না, ভরার সময়।

অনেক হইছে কাদের কসাই, এবার যাও পুটু মারা খাও গিয়া। শুনছিলাম পাপ বারেও ছাড়ে না, আজকা দেখতে জাইতেছি। আর বইয়া বইয়া ভাবতেছি। আজকা ওর জারজ পুতেরা যে পাপ কামাইলো তার প্রায়শ্চিত্তের ভার ওরা লইতে পারবো তো ! অনেকেই ভাবতেছেন অগো জারজ পুতেরা না জানি আন্দোলন কইরা কি কইরা ফেলবো ! দেশের সবাই খুব চিন্তায় শরীরের সব ছুল শেষ পর্যন্ত ওর রাখবো তো ? আমি হাসি ! অগো খেলা দেইখা মালাউন ভানু’র একটা জুক্স মনে পইড়া গেলো। আপ্নেরাও শুনেন কাহিনী।

এক লুক একদিন খুন কইরা ফেললো। খুন কইরাই এক দৌড়ে গেলো তার উকিল ভাই এর কাছে। ভাই সব শুইনা কইলো, ভাই, তুই আমারে ৫০০ টাকা দে, হের পর গিয়া আত্মসমর্পণ কর, আমি তো আছি। সে খুশি মনে টেকা দিয়া আত্মসমর্পণ করলো। মামলা শুরু হইলো, উকিল কইলো ভাই, তুই প্রতিদিন ৫০০ টেকা কইরা দিস, আর ভাবিস না, আমি তো আছি ! শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলা হারার পর উকিল রে ডাইক্কা জিগাইলো, কি রে আমার ভাই কাহিনী কি ? সে কইলো, ডরাইস না ভাই আমি তো আছি, আমি সুপ্রিমকোর্টে গিয়া তরে ছাড়াইয়া আনুম, আমি তো আছি।

তুই খালি ডেইলি ৫০০ কইরা হিসাব টা খেয়াল রাখিস। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে হারলো খুনি টা, রায় হইলো ফাঁসি’র। উকিল রে ডাকাইয়া জিগাইলো, ভাই আজকা আমার সব সম্বল শেষ তোর পিছে, জীবন ও বাঁচাইতে পারলাম না। অখন আমি কি করুম। উকিল কইলো, সব জজ সাবের ইচ্ছা, তয় আপনে ডরাইয়েন না ভাই, আপনে গিয়া ঝুইল্লা পড়েন, আমি তো আছি ! লুকটা তার দিকে বেকুবের মতো চাইয়া রইলো, আর মনে মনে কইলো,ক্যামনে কি ! আজকা জারজ শিবিরের আন্দোলন দেইখা আমার ঐ গল্পই মনে হইলো।

সমানে টেকা ঢালতেছে গেলমান’গো পিছে। আর গেলমানরা পিছে খালি চিল্লাইয়া চিল্লাইয়া হুজুর আপনেরা চিন্তা কইরেন না, আমরা তো আছি। আর যেদিন ঝুলাইবো, সেদিনও কইবো হুজুর সব আল্লাহ’র ইচ্ছা, তয় আপনেরা ডরাইয়েন না,ঝুইল্লা পড়েন, আমরা তো আছি। আর পুটু মারা খাওয়া হুজুর’রা ফ্যালফ্যাল কইরা চাইয়া থাকবো, আর মনে মনে কইবো, ক্যামনে কি ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।