আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সমস্যায় পড়লে মাকে ডেকো

soroishwarja@yahoo.com

১. এক বন্ধু সঙ্গে কথা হল ফোনে। দুই বছর প্রায় দেশের বাইরে আছে। যতবার জানতে চেয়েছি, দেশে কবে আসবি? বলেছে, জানি না, দেখি। আমি বলেছি, একেবারে যে ফিরবি না, তা তো জানি। বেড়াতে আসবি কবে তা-ই বল? সে বলেছে, তা-ও বলতে পারি না রে।

এলে তো তোকে জানাবই। এবার যখন জানতে চাইলাম, দেশে কবে আসবি। বলল, কয়েক দিন আগে যখন অসুস্থ ছিলাম, তখন দেশের কথা, আত্মীয়-স্বজনের কথা, বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল। খুব ফিরে যেতে ইচ্ছে করছিল। আমি তাকে বললাম, আয় না, একবার ঘুরে যা।

মুখে এটা বললেও মনে মনে বললাম, এই হয়, শিশু কী আর এমনি এমনি মায়ের জন্য কাঁদে। সমস্যায় পড়লে, বেকায়দায় পড়লেই মা মা করে। ২. এক চাষার বয়স ৬০। এত বছর বয়সে সে ভুলেও একবার আল্লার নাম নেয়নি। ক্ষেতখামারের কাজ নিয়ে সে সবসময় ব্যস্ত থেকেছে।

শয়তানের কাজ তো হচ্ছে মানুষের শিরায়-উপিশরায় ঘুরে বেড়ানো আর মানুষকে শয়তানি পথে ধাবিত করা। ৬০ বছরে চাষা একবারও আল্লার নাম নেয়নি। শয়তান খুব খুশি। খুশিতে নাচতে নাচতে সে গেল আল্লার কাছে। আল্লা বললেন, কী শয়তান, এমন করে নাচছ কেন? ব্যাপার কী? শয়তান বলল, হে আল্লাহ, তোমার অমুক দেশের তমুক জেলার সমুক গ্রামের টমুক নামের বান্দা ৬০ বছরের জীবনে একবার তোমার নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেনি।

তোমার এই বান্দা বোধহয় আর তোমার নাম মুখে আনবে না। আল্লা বললেন, শয়তান, তুই তো মানুষের শিরা-উপিশরার ঘুরে বেড়াস। ওই বান্দা কী করে আল্লার নাম ডাকে তা তোকে দেখাচ্ছি। তুই এক কাজ কর। ওই চাষার বাঁ পায়ের গোড়ালির ওপর পেছন দিকের মোটা শিরাটায় একটা গিট্টু দিয়ে আয়।

শয়তান বলল, তাতে কী হবে? আল্লা বললেন, যা না, দেখ না। শয়তান যথারীতি ওই চাষার গোড়ালিতে গিট্টু দিল। গিট্টু দেওয়ার সাথে সাথে শয়তান অবাক হয়ে লক্ষ করল: লোকটা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর বলছে, ও রে আল্লা রে! মরে গেলাম রে! আল্লা শয়তানকে বললেন, কী রে, কী বুঝলি? শয়তান কথা না বাড়িয়ে হনহন করে চেল গেল। ৩. বন্ধু, তোমার যখন অসুখ থাকবে, যখন তুমি একা বোধ করবে, যখন তোমার নিজেকে অসহায় লাগবে, যখনই তুমি সমস্যায় পড়বে, তখনই তোমার মাকে মনে পড়বে, মাতৃভূমিকে মনে পড়বে, পরিবার-পরিজনকে মনে পড়বে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।