আল বিদা
অসুখ বিসুখ হলে আমি সাধারনত বনানী ১২ নং রোডের 'প্রেসক্রিপশন পয়েন্ট'এ যাই। কাল রাতে আমার নানাকে নিয়ে যেতে হল ধানমন্ডির পপুলার কনসালটেশন সেন্টারে। খুব ভাল পরিবেশ আর অনেক বড় বড় ডাক্তার বসেন।
কাল যখন আমরা গেলাম তখন রাত ৮টা। ঐখানের সব ডাক্তার তখন বেড়িয়ে ঈশার নামায পড়তে গেলেন।
ঐ বিল্ডিং এর বেইজমেন্টেনিজস্ব ব্যবস্থপনায় নামাযের আয়োজন করা হয়েছে।
আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে ডাক্তাররা তখন ঈশার সাথে জামাতে খতম তারাবীহ নামায পড়েছেন। সব নামায পড়ে রাত সাড়ে ৯টার পর তারা ফিরলেন। এই দেড় ঘন্টা সব রোগী অপেক্ষা করলেন। রোগীদের পক্ষে অপেক্ষা করাটা কতটা কষ্টের তা সহজেই অনুমীয়।
ডাক্তাররা ফিরে এসে সব রোগী দেখেছেন এবং এতে অনেক রাতও হয়ে যায়। তখন আবার বাহিরে কোন গাড়ী পাওয়া যায় না।
আমি ডাক্তারদের ব্যাপারে শ্রদ্ধাশীল। কারন মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার যোগ্যতাও আমার হয় নাই। কিন্তু তারা কি সব রোগী দেখে ৯ টা বা ১০ টার পর নামায পড়তে পারতেন না?
আমরা বিতর্ক চাচ্ছি না।
শুধু আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি। রোগী বসিয়ে রেখে খতম তারাবীহর মত সময়সাপেক্ষ নামায পড়া কি ঠিক মনে করেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।