আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

শিরোনামের প্রবচনটা বোধ হয় সবার জানা। তবে মাঝে মধ্যে মনে হয় নির্লজ্জ রাজনীতিকরা ভুলে যায় - মানুষ প্রচবন গুলা মনে রাখে। বাংলাদেশ আসলেই একটা আমোদের দেশ। শুনেছিলাম কোন এক জরিপে পাওয়া গেছে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ। হবে না কেন? গতকাল হাইকোর্টের নিরপেক্ষ বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন জল্লাদরা রেজিস্টারের নাম না লেখিয়ে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জায়গা জেলে ঢুকে কেন মুক্তিযুদ্ধের চার বীর সেনানীকে হত্যা করলো? তাদের রেজিষ্টারে নাম না লেখার সুবাদে এরা মুক্ত।

কি বিশাল আমোদ। এতো মজার কৌতুক কি চার্লি চ্যাপলিনও কখনও করতে পেরেছে? আজ দেখলাম আরেক বিশাল নেতা এম কে আনোয়ারের আরেক কথা শুনে বেশ আমোদ পেলাম। যারা জানেন না তাদের জন্য বলি, এরশাদ পদত্যাগ করার পর এম কে আনোয়ার - যিনি তখন কেবিনেট সচিব ছিলেন - হাউ মাউ করে কেঁদে বলেছিলেন - স্যার আপনি চলে গেলে আমরা এতিম হয়ে যাবো। উনি পরে অবশ্য এতিম হওয়ার কঠিন অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন খালেদা জিয়ার আঁচলের নীচে ঠাঁই নিয়ে। উনার বক্তব্য হলো - খালেদা জিয়া ও তাদের আইনী লড়াই করে মুক্তি পাচ্ছে।

জনাব আনোয়ার বোধ হয় সবাইকে নির্বোধ ভাবেন। উনাকে কি কেউ জিজ্ঞাসা করেছে খালেদা - তারেক কিভাবে মুক্তি পাচ্ছে? সবাই দেখছে - এক সুপারসনিক গতিতে সব মামলার জামিন ও স্থগিতাদেশ হচ্ছে - আর খন্দোকার দেলোয়ার আর আল বদর মুজাহিদ জেলের ভিতরে গিয়ে খালেদার সাথে বৈঠক করছে। প্রশ্ন হলো - কোন আইনী লড়াইয়ে জয়ী হয়ে জামাতি মুজাহিদ বিএনপির নেতার সাথে জেলের ভিতরে বৈঠক করে? ঠাকুর ঘরে কে কলা খাচ্ছে এইটা বুঝার মতো পরিপক্কতা নিশ্চয় বাংলাদেশের মানুষের আছে? নাকি সবই বোধহীন হয়ে গেছে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।