আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশকে কিভাবে দূর্নীতি মুক্ত করবেন ?



অবৈধভাবে আয়কে দূর্নীতি বলি । বৈধ আয় কিন্তু আয়কর দিলেন না, সেটাও দূর্নীতি । অবশ্য সেটার আর একটা নাম আছে, তা হলো কালো টাকা । নামি-দামি অনেককে দেখিছি কালো টাকাকে সাদা করতে । কমবেশী পৃথিবীর সবদেশে দূর্নীতি হয় ।

তা নির্ভর করে সুযোগের উপর । অনেক দেশ আছে, যাদের নিজের দেশে দূর্নীতি খুবই কম । কিন্তু অন্যদেশ থেকে দূর্নীতি করে আনেন, তা হলে অসুবিধা নাই । আমাদের দেশের কথাই বলি । দূর্নীতি কারা করে বা কারা দূর্নীতিবাজ ? অল্পকিছু সংখ্যক বাদে আমরা সবাই দূর্নীতিবাজ নই ।

চাকুরিজীবি (বিভিন্ন পেশার), ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এই অল্পকিছু সংখ্যক মধ্যে পড়ে । এই অল্পকিছু সংখ্যক আমরা নিজেদেরকে দূর্নীতিবাজ ভাবি না । নিজের দলকে, নিজের ব্যবসাকে, নিজের পেশাকেও দূর্নীতিবাজমুক্ত মনে করি । অথচ একে অন্যের দূর্নীতি নিয়ে হাসি-তামশা করে , টিভি চ্যানেলে বা পত্রিকায় বা মিটিংয়ে কথার ঝড় তুলে । এই হলো আমাদের দূর্নীতিবাজদের চরিত্র ।

আমাদের দেশ দরিদ্র । দরিদ্র জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । আমরা শিক্ষা-দিক্ষায় অনেক অনেক পিছিয়ে আছি । এমতাবস্থায় দূর্নীতি মুক্ত হওয়া উচিত নয় কি ? আমাদের এমন পথ বের করা উচিত, যে পথে চললে আমরা দূর্নীতি মুক্ত হয়ে যাবো । এই পথ সেই পথ নয় যে পথে বর্তমান সরকার চলেছে ।

ধর-পাকড় করে নয়, বরং সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে ও অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা উচিত । যেমন : -যিনি ধর্ম বিশ্বাস করেন, তাকে ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে পারে । -করের রেট অনেক কমিয়ে দিয়ে আরো অনেককে করের আওতায় নিয়ে আসা । -ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে কঠিন মনিটরিং করা । -কর অফিসের লোকজনকে দূর্নীতি মুক্ত ও trained করা ।

-ছেলে-মেয়েদের তার অভিভাবকের আয়ের উৎস জানা । ইত্যাদি ইত্যাদি ... সম্মানিত ব্লগার ভাইরা আপনারা add করতে পারেন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।