আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষ কর্তৃক দৈহিক নির্যাতনের শিকার দেশের ৭০ ভাগ নারীঃ পরিসংখ্যান নেই নারী কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের

আমি সত্য জানতে চাই প্রতিদিন ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়া (টেলিভিশন) ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে নারীর প্রতি বৈষম্য, উৎপীড়ন, নিপীড়ন, শারীরিক নির্যাতন, ইভটিজিং, ধর্ষণ, গণধর্ষণ. ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা, সামান্য যৌতুকের জন্য স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন ঘটনা আমাদেরকে মধ্যযুগীয় বরবর্তাকে মনে করিয়ে দেয়। বাংলাদেশের নগরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামে সময় ও স্থানভেদে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন, অন্যায়কে অধীনস্থ (প্রতিষ্ঠা করা) করে রাখার প্রবণতা, শোষণের মনোভাব, সামগ্রিকভাবে নারীর প্রতি বৈষম্য উৎপীড়ন, নিপীড়ন ও নির্যাতন সমাজজীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে আসছে। যুব সমাজের মধ্যে জীবনমুখী শিক্ষার অভাব ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণের কারণে দেশে পরকীয়ার ঘটনা বাড়ছে। এর শিকার হচ্ছেন নারী-পুরুষ উভয়ই। গুটি কতক নষ্ট নর-নারীর কারণে সমাজ হয়ে উঠছে বিষাক্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেই পুরুষ স্ত্রী বা তার পরিচিতদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতাবিষয়ক শিক্ষা, গণমাধ্যমে সুষ্ঠু প্রচারযোগ্য অনুষ্ঠান ও পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরির ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় পাশ্চাত্যের মতো আমাদের দেশেও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে। বাংলাদেশের যুব সমাজের ওপর আচরণগত বেইজ লাইন সার্ভে শীর্ষক গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে ষাটের দশকের তুলনায় বর্তমানে বিবাহবহির্ভূত ও বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরিমাণ তিনগুণ বেশি।

বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজনকেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। পরকীয়াকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও অনেক ঘটনাই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে। তবে এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে।

পরকীয়ায় শুধু নারী নয়; নির্যাতনের শিকার হচ্ছেনপুরুষও। নারী নির্যাতনের খবর ফলাও করে প্রচার করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে অজানা থেকে যায় পুরুষ নির্যাতনের কথা। লোকলজ্জা ও সামাজিক মূল্যবোধের কারনে অজানাই থেকে যায় লোমহর্ষক ও চাঞ্চল্যকর স্ত্রী ও তার বন্ধু কর্তৃক পুরুষ নির্যাতনের কাহিনী। আবার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রচলিত আইনের সুযোগে পুরুষকে ফাঁদে ফেলছেন ক্নো কোন নারী। অনেক পরিবারে নারী কর্তৃক অনেক পুরুষ প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলছে যা দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া প্রকাশিত হয়না।

জরিপের তথ্য মতে দেশের ৭০ ভাগ নারী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতিত হলেও কত ভাগ পুরুষ নারী কর্তৃক নির্যাতিত হয় তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নাই। পুরুষ তার সামাজিক মর্যাদা ও আত্মসম্মান বজায় রাখার এমনকি জীবনে নাশের হুমকির মূখে প্রতি নিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলছে। অনেক নারী স্বামী থাকা সত্বেও পরকীয়ায় পতিত হয়ে নষ্ট করছে সামাজিক ও পারিবারিক জীবন। হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ। উপরন্ত নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করে পুরুষকে করে রেখেছে তাদের অনুগত ভৃত্য।

এসব প্রতিরোধে সচেতনতা এবং প্রতিরোধের অভাবে উৎপীড়ন, নিপীড়ন ও নির্যাতন পুরুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। নারীর প্রতি নির্যাতন রোধে নারী নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। সভা সমাবেশ মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে সতঃর্স্ফৃত ভাবে অংশগ্রহণ করছে পুরুষ। নারীর প্রতি সহিংস কোন ঘটনায় নারীদের চেয়ে বেশী সোচ্চার হয়েছে পুরুষ।

এটা খুবই ভালো লক্ষণ। আইনের অধিকার সকলের জন্য সমান। আইন অন্ধ সে নারী পুরুষ বিচার করেণা। সুতরাং নারী নির্যাতন বিরোধী আইনে শুধু পুরুষকে সাজা দিবে আর নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখনোই কাম্য হতে পারেনা। নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের সাথে সাথে পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন প্রনয়ণ এখন সময়ের দাবী।

যে অন্যায় করলে পুরুষকে সাজা দেওয় যাবে সেই একই অন্যায়ের জন্য নারী থাকবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে তা কখননোই কাম্য হতে পারেনা। আমরা চাই নির্যাতিত সকল পুরুষ একই আইনের ছায়া তলে আসার সুযোগ পাক। অথবা নারী নির্যাতন বিরোধী আইনের পাশাপাশি প্রনয়ণ করা হোক পুরুষ নির্যাতন বিরোধী আইন যেখানে পুরুষ নির্যাতনকারী নারী শাস্তি এড়াতে না পারে। তা না হলে নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার করে নারী হয়ে উঠবে দুঃসাহসী অনুপ্রাণিত হবে পুরুষ নির্যাতনে। নারী পুরুষের সমান অধিকারের এই সময়ে চাই সত্যিকারের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধান যাতে সুরক্ষিত থাকবে নারী পুরুষ উভয়ে।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.