আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুলশান লেক, আমার দুঃখ...

আমার চোখে বর্তমান...

গুলশান লেক নিয়ে আমার আশাও অনেক, দুঃখও অনেক। আমার এক বসের বাসা লেকের পাড়ে, ২ নম্বর এর কাছাকাছি। একবার আমাদের ওর বাসায় দাওয়াত করল। আমরা তখন ওর বাসার বারান্দায় বসে আড্ডা দিয়েছিলাম অনেকক্ষন। মাঝে কিছু সময় লোডশেডিং হয়েছিল।

আস্ত একটা চাদ ছিল আকাশে। লেকের পানিতে চাদের মুখ, আমার এত্তো ভালে লেগেছিল। আগে আমি প্রায় দিন হেটে বা সাইকেলে গুলশান লেকের মাঝের রাস্তা দিয়ে অফিস যেতাম। লেকের বাতাসে খুব ভালো লাগত। মাঝে একদিন বউ ছেলে আর বোনের বাচ্চাদের নিয়ে লেকের নতুন যে ফুটপাত করেছে তা ধরে কিছু সময় হেটে বেরিয়েছিলাম।

খুব ভালো লেগেছিল সবার। কিন্তু খুব মুসকিল হলো এরকম ভালো সবসময় লাগেনা লেকটা দেখতে। লেকের পানিতে এতো ময়লা আর মাঝে মাঝে তা থেকে এমন দুর্গন্ধ বের হয় যে তার ১০০ ফুটের মধ্যে দিয়ে হেটে চলা খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। এতো চমৎকার সম্ভাবনার একটা লেকের এই রুপ দেখাটা খুব লজ্জাজনক এবং কষ্টকর। অস্ট্রেলিয়ায় একটা বিশেষ দিন আছে, যেদিন সবাই মিলে লেক, নদী, বন, জংগল ধরে হাটতে থাকে আর পলিথিন, পানির বোতল এ ধরনের অপচনীয় আবর্জনা সংগ্রহ করে তা ডাস্টবিনে ফেলত।

আমরা কি এমন কিছু করতে পারিনা? অন্তত আমাদের বাসার আসেপাশের লেক, পার্ক বা এ জাতীয় এলাকার পরিবেশ রক্ষায় এতটুকু? লেক, পার্কগুলো বাচলে তা আমাদেরই তো উপকার দিত। সামনের কোন একটা ছুটির দিনে ব্লগার বন্ধুরা রাজি থাকলে এধরনের একটি ক্যাম্পেইন আয়োজন করা যায়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বন্ধদের বাচাতে ব্লগাররা যেভাবে আত্ননিয়োগ করেছিলেন, সেরকম একটি প্রচেষ্টা করলে হয়ত লেকগুলোকেও বাচানো যেত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।