ট্রেনে ওঠার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারছিলাম না, আমার জীবনে নতুন করে কি ঘটতে যাচ্ছে । ছোট ছোটো মান-অভিমানের ডালি নিয়ে বসে ছিলাম ওর পাশে। ওকেও কেমন যেন নার্ভাস দেখাচ্ছিল। স্বাভাবিক দেখাবার জন্য বার বার জানতে চাচ্ছিল, আমার কিছু দরকার কিনা। পানি, ম্যাগাজিন নয়ত কিছু একটা যেন আমাকে নিতেই হবে।
এমন করে চলে গেল আরো কিছুটা সময়।
ট্রেনটা ছেড়ে দিল। ভীরু ভীরু মনটাতে একটু একটু করে ভাললাগা প্রবেশ করতে লাগল । এত দূরে একসাথে কোথাও যাব, ভাবতেও পারিনি। একটু একটু করে গল্প করছিলাম আমরা।
গল্প করতে ভীষন পটু আমরা। স্থান কাল পাত্র ভুলে নিজেদের গল্প শুরু করলাম।
একটু পর আমরা ক্যান্টিনে যাবার জন্য উঠে দাড়ালাম। ও বল্লো তুমি সামনে যাও, আমি তোমার পিছে আছি। আমার স্বাভাবমত আমি কোনো সাহায্য না নিয়ে হাটা শুরু করলাম চলন্ত ট্রেনের দুই দিক ধরে।
কখন যেন ও আমার হাতটা ধরে আগে আগে হাটতে লাগলো। একটু লজ্জা লাগলো , এত মানুষের সামনে হাত ধরে যাব? কিছু হবে না, আসো আমার সাথে, এই বলে ও আমার হাতটা ধরে হাটতে লাগলো।
ট্রেনের একেবারে শেষ বগির ক্যন্টিনে যখন পৌছালাম, বুঝতে পারছিলাম, সব কটা চোখ আমদের কেমন করে দেখছিল। চা খেয়ে আবার একি ভাবে ফিরে গেলাম সীটে। ফিরে এলাম সাথে করে আরও একটু ভালবাসা নিয়ে।
শুরু হল আমাদের মধুচন্দ্রিমা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।