আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ জার্নি টু দিল্লি-৩

নিজেকে নস্টালজিক করিবার টুলস বিশেষ মাত্র

টানা ৪ঘন্টা হাওড়া স্টশনে বসে থাক চাট্টিখানি কথা নয়। Food Plaza এর দোতলায় বসে কানের মাঝে কলকাতার FM ভালোই বেজে যাচ্ছিল, গোল বাধাল পেট। গুরুম গুরুম করে জানিয়ে দিল জলদি করে বড়কাজটা সেরে ফেলার জন্য রেডী হ। এত বড় স্টেশনের পাব্লিক টয়লেটে!! মারছে রে। ভাবতে ভাবতে চরম সমাধান পেয়ে গেলাম।

Food Plaza এর দোতলায় ভিতরের দিকে কাস্টমারদের জন্য Wash Room আছে। আহ কি শান্তি। টয়লেট অনেক ভালো। বড় কাজটা নিশিন্তে সেরে ফেললাম। সেকেন্ড ইয়ার থেকে মোবাইল নেয়ার পর ঘড়ি পরার অভ্যাসটাই হারিয়ে গেছে।

বর্ডার পার হবার সময় মোবাইলের ঘড়িটার সময় আর আধাঘন্টা পেছালাম না। ভাবলাম আধা ঘন্টা এগিয়ে থাকি, নানা জায়গায় কাজে সুবিধা হবে। সো কলিকাতার নামার পর আমি মোবাইলের ঘড়ি দেখতাম আর ভাবতাম আমি তো আধা ঘন্টা এগিয়েই আছি। হাওড়া থেকে আমার কালকা মেইল ছাড়বে ১৯ঃ৪০এ। সাতটার দিকে Food Plaza থেকে নেমে বিশাল স্টেশনে পায়চারি শুরু করলাম।

ভাবছি যে আমি তো আধা ঘন্টা এগিয়েই আছি। কি আর চিন্তা। বিরাট কালকা মেইল দাঁড়িয়ে আছে ৫নম্বর প্লাটফর্মে। আমার হিসাবে এখনো এক ঘন্টার ঊপরে বাকি। একটা সাইবার ক্যাফে পেলে মন্দ হত না।

বাট অবাক হলাম যখন এত বড় একটা স্টেশনে একটা সাইবার ক্যাফে পেলেম না। Food Plaza টা অবশ্য Wi-Fi Hot Spot. কিন্তু আমার মোবাইলে WI-FI সাপোর্ট করে না। অগত্যা না পেয়ে বগি খুজে ঊঠে পড়লাম। ঊঠে বসা মাত্র ট্রেন ছেড়ে দিল। ঘড়িতে আমার হিসাবে তখনো ৩০মিনিট বাকী।

তখনও জানতাম না যে বর্ডার পার হবার সময় মোবাইলের টাইম অটোমেটিকালি পারফেক্টলি চেঞ্জ হয়ে যায়। কত কিছু যে জানা বাকী.....................

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।