আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সার্টিফিকেট এর সত্যায়িতকরণ পদ্ধতিঃ একটি বিড়ম্বনার নাম

বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।

বাংলাদেশে যেকোন চাকুরী,পড়াশুনা ইত্যাদি সহ নানাবিধ কাজে সার্টিফিকেট সত্যায়িত করার একটি পদ্ধতি চালু আছে। মূল সার্টিফিকেট এর ফটোকপিতে কোন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার এর স্বাক্ষর সহ সত্যায়িত কথাটি লেখা না থাকলে সেটি আর পরবর্তীতে মূল্যায়ন হয়না। আমার জানামতে বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যেখানে সার্টিফিকেট এর এমন সত্যায়িত করার প্রথা চালু আছে। এই প্রথা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটি সম্বন্ধে প্রশ্ন থেকেই যায়।

কারণ, যদি কোথাও (চাকুরী বা শিক্ষাক্ষেত্রে) সার্টিফিকেট জমা দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে মূল সার্টিফিকেট এর ফটোকপির সাথে মূল সার্টিফিকেট টি প্রদর্শন করলেই তো হয়, ফটোকপি করা সার্টিফিকেটগুলোর আবার সত্যায়িত করার কি দরকার আমার কাছে বোধগম্য নয়। অনেকে হয়তো বলবেন যে, যারা নকল সার্টিফিকেট প্রদর্শন করে, সত্যায়িত করে জমা দেয়ার পদ্ধতির কারণে নকল সার্টিফিকেট জমা দেয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। কিন্তু এক্ষেত্রেও একটি কথা থেকে যায়, অনেককেই দেখা যায়, দোকান থেকে কোন নামসর্বস্ব একটি ব্যাক্তির সীল বানিয়ে সেটির ছাপ সার্টিফিকেটে দিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করে দেয়, হয়ে গেল সার্টিফিকেটের সত্যায়ন। এতে করে কি মূল উদ্দ্যেশ্য ব্যহত হচ্ছেনা? নকল স্বাক্ষর করে নিজের সার্টিফিকেট যদি নিজেই সত্যায়িত করা যায়, তাহলে এই সত্যায়িত করার পদ্ধতিটির কি প্রয়োজন? আরেকটি হাস্যকর ব্যাপার আমাদের দেশে চালু আছে, ছবি সত্যায়িত করা। যার ছবি কোথাও জমা দেয়া দরকার, সে তো নিজেই গিয়ে ছবি জমা দেয় সাধারণত, তাহলে ছবিটি তার কিনা সেটি আবার সত্যায়িত করার কি প্রয়োজন? এই সার্টিফিকেট বা ছবি সত্যায়িত করতে গিয়ে কোন মানুষ বিড়ম্বনার শিকার হন নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর।

হয়তো দেখা যায়, কারো সার্টিফিকেট বা ছবি জরুরী ভিত্তিতে সত্যায়িত করা প্রয়োজন, কিন্তু ঐ মুহুর্তে তিনি এমন কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হাতের কাছে খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন তিনি অনেক সময় বাঁকা পথে ( নিজের সার্টিফিকেট নিজেই সত্যায়িত করা) সার্টিফিকেট সত্যায়িত করে থাকেন। এতে করে এই সত্যায়িত করার পদ্ধতিটি কতটুকু গুরুত্ব বহন করে? এই পদ্ধতিটিকি তাহলে বিলুপ্ত করে দেয়া সমীচিন নয়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.