আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিবৃতি তানভীরের ৬ টি কবিতা


কবি বিবৃতি তানভীর শেফালি শেফালি ও শেফালি ফুল আমি পৌষের রাতে ঠায় দাঁড়িয়ে রব, তোমার পাশটিতে- যাতে ভোরের পূর্বে, তোমার মৃত্যুর আগে- তোমায় নিতে পারি শুভ্র করতলে ন'তুবা অমন পবিত্র দেহে ধুলির কলঙ্ক লেগে যাবে। শেফালি ওগো শেফালি ফুল কবরে আমার-মাথার কাছে ফুটো, কবর আমার খোলাই রবে দেবতা ক'বে,অপূর্ব তো! প্রতারণা খোপায় পড়িয়েছি সূর্য- মন্ত্রে করে ফুল, তুমি বললে- এই তো করেছ ভুল, আমি আর মানবী নই আমি সূর্যমুখি ফুল। স্কিৎজোফ্রেনিয়া নিগূঢ় বেদনার বিষয় হলো- আমি একদিন মারা যাব। তার চেয়েও ঢেড় বেদনার বিষয়- এই বিষয়টি আমি জানি এবং নিঃসঙ্কোচে তা মেনে নিতে হচ্ছে। যদিও আমি মৃত্যু এবং নিজের ব্যাপারে গভীর সন্দেহপ্রবণ।

নিস্ঠুর বার্ধক্য প্রিয়তমা এখন আর কোনো হরিতাভ যুবক প্রেমার্ত দৃস্টিতে তাকায় না তোমার দিকে। কিংবা তাদের উৎসাহিত হৃৎবিদ্ধ কোন আলোচনায় আসো না তুমি। অথবা উপন্যাসের নায়কের মত আত্নবিশ্বাসে টগবগে কোন বালকের তৃষ্নার্ত গোলাপ কিংবা আবেগ দস্টিত কোন প্রেমপত্র আসে না তোমার দূয়ারে-ভুলক্রমেও। জানালার বিবর্ণ গ্রীল আকড়ে ধরে- তুমি যে বর্ণিল নীলিমার প্রত্যশা কর,তা-ও বেহেলা বাদকের পথ ধরে সরে গেছে দূর থেকে অতিদূর কোন গ্রহে-যে ঠিকানা তুমি অবগত নও। অথচ কোনোদিন আশ্চর্য গর্বময় পদচারণা ছিল তোমার।

সহস্র বিচিত্র ডানার মোহময় প্রজাপতি জন্মান্তরের পর আত্নহুতি দিত তোমার প্রদীপ্ত আলোয়-মেঘেরা তোমার হেমময় স্পর্শ পাওয়ার প্রত্যশায় কুয়াশার রুপ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে যেত বারংবার। মনে পরে?এক দুপুরে পৃথিবীর জাগতিক বিশ্বাস হারানো এক কোকিলের প্রতি মুগ্ধ দৃস্টিতে তাকিয়েছিলে বলে-সে বেঁচে থাকার উৎসাহ ফিরে পেয়েছিল। আর তারই অহমিকায় তুমি আমায় পরিত্যাক্ত কামিজের মত ছুড়ে ফেলেছিলে। কিন্তু আজ........! বার্ধক্য কী নিস্ঠুর প্রিয়তমা! কালো মেয়েটির কান্না অন্ধকারে একা,দুটো সেতুর সেতুর মাঝখানে কাঁদছে যে মেয়েটি- তাকে তুমি চেন। থামাও থামাও গো ওর রিক্ত কান্না থামাও প্রতারক চৌকস কবি।

ঐযে গ্রাম-অন্ধকার দেহে লুকনো যার টিমটিমে আলো, মেয়েটির করুণ কান্নায় শহর যে চমকালো। ব্রিজের নিচে এক নিঃস্তনী নদী তবুও নার্গিস রয়েছে ঠিকঠাক, গুরুবোধ বট কেন পড়ে আছে প্রাণের পরিত্যাক্ত পোশাক। মেয়ের ছোট্ট হৃদয় যায় যদি যাক না অন্য গ্রহে, অন্ধ রাক্ষুসী এক এই খানে আসে যায় রাত্রি দ্বি-প্রহরে। ওর কান্নার তীক্ষন সুরে যাবে গো অমর কৃত্বি ভেসে দাও কবি মহিম গোলাপ কান্না লুকোবে হেসে। একটি উচ্ছিষ্ট আমি দুঃখিত।

আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি আপনাদের সাথে পরিচিত হয়েছি। দেখেছি আপনারা কেমন। আমি ভেবেছি আপনাদের সাথে চলা যায় কিনা আর বিশ্বাস করা চলে কিনা। আপনারা ছিলেন মহাকালের তপ্ত পাউরুটির মতো প্রডাক্ট এবং চোখে পড়ার মতো মেধাবী।

কিন্তু আমি ছিলাম আদতে গ্রাম্য। শহরের চালচলন ঠিক বুঝতাম না। কিন্তু আমি জানতাম, মেধাবীদের বিশ্বাস করা চলে না। কারণ পৃথিবীর পাছাটা মেধাবীরাই মেরে থাকেন। ইতিহাসে প্রমাণ রয়েছে।

যদিও আমি ইতিহাসকে সন্দেহ করি। কিন্তু আপনাদের যেটুকু সরলতা ছিল তা আমার ভাল লেগেছিল। যার কারণে আমি আপনাদের প্রেমে পড়ি। আর আপনাদের অদ্ভূত নৈতিকতা আমার আবেগ একটু চেতিয়ে দিয়েছিল। আমি এও জানতাম প্রতিটি মেধাবীদের থাকে একিট নীতি।

যা তার অস্ত্র; আবার পাশাপাশি আত্মঘাতী হাতিয়ার। সে চিৎকার করে না। কিন্তু বিনয়ের সাথে খুন করে আপনাকে। যা আপনি টেরই পাননি। আমি এই খুনীদের ভালোবেসেছি।

কারণ একজন কুমার অবস্থা হতে মৃত্যুই তার জন্য একমাত্র সফলতা। যেমন কামিনী ফুলের ঘ্রাণ আমাকে মৃতদের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু আপনারা ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাদেরকেই বেছে নিলেন যারা ঋতুর সুফল সম্বন্ধে সম্যক ধারণা রাখে না। শুধু মনে রাখতে পারে শীত আর শরতের কথা। যা ছিলো নেহাতই কথা বলার খাতিরে কথা বলা।

কিন্তু জ্ঞানীদের মতো আমি কখনোই ভাবিনি মানুষের কাছে নিজেকে প্রয়োজনীয় করে তোলার পদ্ধতির কথা। কারণ তোমার কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নিয়ে তার অভাববোধটা তৈরি করতে হয়। বিষয়টা সেরকমই যেটা তোমার প্রাপ্ত প্রেমিকাকে সরিয়ে রেখে তোমাকে বস্ত্র পড়ানো হয়েছে। আর মিছে মিছে বুনতে দেয়া হয়েছে অদৃশ্য পুষ্পমাল্য। আর তোমার জ্ঞানকে করেছে অপবিত্র।

কিন্তু আমি দুঃখিত। আমি ঐ ভদ্রলোকের এলিট পার্টিতে লুঙ্গি আর স্যাণ্ডেল পড়ে গিয়েছিলাম বলে তারা হেসেছিলো। যদিও আমি তার বন্ধু (বোদলেয়ার বিশ্বাস করে না) তথাপি সবাইকে রেখে- আমাকে বিদায় করতে পারলে যেন তার স্বস্তি মেলে। ওফ্‌ আপনাদের ভদ্রতা। আপনাদের প্রেমিকাগুলো।

যেন কচি কচি মাল। ওফ্ আমার তো চুদতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আপনাদের উৎসবমুখর চোদার রুলস তো আমি জানি না। তাই পিছনে পড়ে থেকেছি। নিস্পৃহ একটা ভাব নিয়ে মেয়েদের দিকে তাকিয়েছি।

আর সুন্দরীদের পাত্তা না দিয়ে তাদের নিজেদের সম্বন্ধে সন্দেহ ধরিয়ে দিয়ে নজর কেড়ে নিয়েছি। কিন্তু ওফ্ আমার অযোগ্যতা কোনো নারীকে অর্জন করতে দেয়নি আমাকে। আমার নুনু একটু ছোট হলেও সে ছিলো তীব্র ক্ষুধার্ত। তাই বেশ্যালয়ে গিয়েছি। সঙ্গম করেছি।

আর চুমু খেয়েছি বহুতাপে শীতল যোনীতে। কেননা ওটাই আমার কোরান অথবা বাইবেল। ঈশ্বর এবং তার প্রতিনিধি ওই পথ ব্যবহার করে। আর আপনারা যা মহান বলে ধরে নিয়েছেন আমি তাদের ঊষর করে দিয়েছি। ভালোবাসার বোধ থেকেই আপনাদের অশুভতে নাক ঢুকিয়েছি।

কিন্তু আপনারা ভুল অর্থ করেছেন তার। আমি দুঃখিত। কারণ আপনাদের পাছা মারামারি সম্পর্কটা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি কলেজ লাইফের কবিবন্ধু ও কালনেত্রের কবি 'বিবৃতি তানভীর-এর সাথে মাঝখানে একবছরের মত দেখা সাক্ষাত ছিল না,কিছুদিন আগে ওর সাথে আবার দেখা হলে নতুন কিছু লেখা দেখতে চাইলে সে সপ্তাহ তিনেক আগে এলেখাগুলো পড়তে দিয়েছিলো। ওর লেখালেখিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। -তবন্ধুর কবিতা বলেই তা নিয়ে আহা-উহু করে প্রশস্তিগাথা রচনা আমার উদ্দেশ্য নয়।

এমনও হতে পারে একটাও কবিতা কারো না-ই ভালো লাগতে পারে। কোনো কবিতা কারো ভালো লাগা বা না লাগা দিয়ে কিছুই প্রমাণ হয়না। কেননা যেহেতু ব্যাক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে গিয়ে ভালোলাগা,সৌন্দর্য আপেক্ষিকতায় রুপ নেয়। লেখাগুলো ব্লগারদের সাথে শেয়ার করলাম।
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।