আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেজর মো. আখতারুজ্জামানের (অব) বিবৃতি

বিএনপি'র সাবেক সংসদ সদস্য মেজর মো.আখতারুজ্জামান (অব) এক বিবৃতিতে গৃহবন্দী বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ৮ নভেম্বর ২০১৩ সনের দিবাগত রাত থেকে বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বর্তমান সরকার অন্যায় ও অবৈধভাবে তার নিজ গৃহে বন্দী করে রেখেছে। সেদিন রাত থেকে তার বাসার চারপাশে ব্যাপক পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা ঘিরে রেখেছে। সে রাত থেকে অদ্যাবধি বিএনপির কোন সাধারণ নেতৃবৃন্দ তো দুরের কথা এমনি তার নিকটতম আত্নীয় স্বজনকেও বেগম খালেদা জিয়ার বাস গৃহে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ম্যাডামের ব্যক্তিগত কর্মচারীদেরকেও বাইরে যেতে ও বাসায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

এমনকি ম্যাডামের বাসার পানি সরবরাহ বন্ধ করে তার নিত্য দিনের খাদ্যের জন্য বাজার করতেও দিচ্ছে না। তাকে সর্বতো ভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার নিজ গৃহে বন্দী করে জনগণের সঙ্গে তাকে বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্য সরকারের অতি আস্থা ভাজন ম্যাডামের নিরাপত্তা প্রধানকে অত্যনত্ম উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ম্যাডামের বাসায় ঢুকতে দিয়ে ম্যাডামের বাসার ভিতরের খবর সুচতুরভাবে নিয়ে নিয়েছে। সেই সংগে জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য ম্যাডামের বাসার বাইরে তথা কথিত সিএসএফকে তথা কথিত নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো ম্যাডামের বাসা থেকে ৯ তারিখ ভোর রাত থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে সিএসএফকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে ম্যাডামের বাসায় চলাচল  থেকে অলিখিত বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে কি না।

চরম বাসত্মবতা হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও তার নিজ গৃহে বন্দী আছে । ম্যাডামের বাসায় এখনও কাউকে যেতে দিচ্ছে না।

সরকার জনগণকে ধোকা দেওয়ার লড়্গে অত্যনত্ম সুচতুরভাবে বিএনপি ভাবাপন্ন বা সমর্থনকারী বিভিন্ন বিশষ্টি ব্যক্তি ও পেশাজীবীগণকে রাত ৯ টার পরে ছোট ছোট দলে  বিভক্ত করে একটি নির্দষ্টি সময়ের জন্য দেখা করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এই দেখা করানোর নাটকের মধ্যে দিয়ে সরকার এক দিক দিয়ে জনগণের সামনে একটি চিত্র তুলে ধরার চষ্টো করছে যে তিনি গৃহবন্দী নন এবং অন্যদিক দিয়ে তাদের মাধ্যমে ম্যাডামের বর্তমান মানসিক অবস্থা বুঝে নেওয়ার চষ্টো করছে। সবচেয়ে লড়্গণীয় হলো ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে এসে কেহই জনগণের উদ্দেশ্যে ম্যাডামের কোন বক্তব্য বা আহবান আছে কি না তা ঘুনাড়্গরেও প্রকাশ করেন নাই।

অথচ যে কোন সচেতন মানুষই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবে যে এই সমসত্ম সাড়্গাতের মাধ্যমে ম্যাডাম জনগণের উদ্দেশ্যে চলমান আন্দোলনের বর্তমান ও ভবিষ্যত্ নিয়ে এগিয়ে আসতে অবশ্যই আহবান জানাবেন।

সরকার চলছাতুরী করে যাই কিছু বলুক না কেন চরম বাসত্মবতা হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে তার নিজ গৃহে বন্দী আছেন।   তাই আজকে দেশব্যাপী বিএনপির সকল নেতা কর্মী তথা জনগণের কাছে আকুল আহবান নেত্রীকে মুক্তি করার লড়্গে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলনে সবাইকে সকল ভেদাবেদ ও অনত্মর্কলহ ভুলে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। হরতাল, বোমাবাজি, সন্ত্রাস, জ্বালাও পোড়াও ও ধ্বংসাত্নক রাজনীতির নেতীবাচক অবস্থান থেকে জনগণকে ফিরিয়ে এনে গণজাগরনে ব্যাপক অংশ গ্রহণের লড়্গে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করা পর্যনত্ম সারা বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় থানায় স্বইচ্ছায় গণগ্রেফতারে বিএনপির সকল নেতা কমর্ীরা এগিয়ে আসবে। বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় গ্রাম পর্যায়ে বিএনপির ভিত্তি আছে এবং অসংখ্য বিএনপি শুভাকাংখী রহিয়াছে ।

তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করার লড়্গে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ও শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিম্নলিখিত সাংগঠনিক কমিটি করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

১। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক ২৫ সদস্য বিশষ্টি ১০ বা ততোধিক সংগ্রাম সাব কমিটি করা হোক।

২। ২৫ সদস্য বিশষ্টি সংগ্রাম সাব কমিটিতে ১০ জন মহিলা, ৫ জন মুরম্নব্বি ও ১০ জন ভোটার যুবককে সদস্য করা হোক।

৩। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ বা ততোধিক সংগ্রাম সাব কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে এক জন নিবেদিত ত্যাগী, সত্ , কর্মড়্গম ও দড়্গ ব্যক্তির নেতৃত্বে ২৫১ বা সাব কমিটির গুণিতক সদস্যদের  সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কেন্দ্র সংগ্রাম কমিটি করা হোক।

৪। যে কোন এক জন কেন্দ্র কমিটির নেতৃত্বে কেন্দ্র কমিটির প্রধান ও সকল সাব কমিটির প্রধানদেরকে নিয়ে একটি শক্তিশালী ইউনিয়ন সংগ্রাম কমিটি করা হোক।

৫।

যে কোন একজন ইউনিয়ন কমিটির প্রধানের নেতৃত্বে সকল কেন্দ্র ও ইউনিয়ন কমিটির প্রধানদেরকে নিয়ে সর্বজন গ্রহণযোগ্য এক জন নিবেদীত ত্যাগী, সত্ ও কর্মক্ষম ও দক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী থানা সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হোক।

৬। একই ভাবে জেলা, মহানগর, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় সংগ্রাম কমিটি গঠন করতে হবে।

এখানে উল্লেখ্য যে সকল গঠন প্রক্রিয়ায় জনগণ ও সকল সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ ও নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হতে হবে।

এই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া চালু রাখার পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায়ে অতি দ্রম্নত সারা বাংলাদেশে প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে কেন্দ্রে ২৫১ সদস্য বিশষ্টি কমিটি গঠন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহ বন্দী থেকে অথবা আগামী যে কোন সময় গ্রেফতার বা বন্দী করলে নির্শতে মুক্তি দেওয়ার জন্য মহিলা, মুরুব্বি ও যুবকদের নিয়ে ২৫১ সদস্য সবাই এক যোগে কারাবরণ করবে বা করতে প্রস্তুত থাকবে।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই দেশের গণ মানুষের নেতা । তাকে কোন শক্তিই গৃহ বন্দী বা আটক করে রাখতে পারবে না।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.