আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকারদের জন্য আলাদা গোরস্থান চাই

পাখি এক্সপ্রেস

বাংলাদেশীদের অহংকারটা কোথায়? কোন স্মৃতিচারনে বাংলাদেশীরা শরীরের লোম খাড়া করে ফেলতে পারেন? পুরো বিশ্বের জনগোষ্ঠীর থেকে নিজেকে আলাদা ভাবে বীর ভাবতে পারে? এরকম আরও অনেক প্রশ্নই রাখা যায়। সব প্রশ্নের উত্তরই হয়তোবা ১৯৫২ আর '৭১ এর মধ্যেই থাকবে। কোনভাবেই ১৯৪৭ হতে পারে না। আমাদের ভাষা, আমাদের স্বাধীনতা যেন আমাদের সন্তানের মতোই। আমার যদি দু'টি সন্তান থাকে তবে আমি বলতে পারি আমার ৪ সন্তান।

বড় আদুরে আমার ভাষা। বড় অহংকারের আমার স্বাধীনতা। কিন্তু আমরা কি খুব সহজেই পেয়েছিলাম? মোটেও না। অনেক রক্তের হোলিখেলা খেলে, অনেক হারিয়ে আজ জীবনবৃত্তান্ত লিখতে গিয়ে জাতীয়তা বাংলাদেশী বলে লিখার অধিকার পেলাম। সেই রক্ত, সেই খুন হয়ে যাওয়া তাজা প্রাণ, কত স্বপ্ন, কত ভেঙ্গে যাওয়া ঘর পেছনে ফেলে রেখে আসলাম।

কিন্তু শুধুমাত্র বিদেশী শত্রুরা কি পারতো ৩০লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলতে? আমাদের মা-বোনদেরকে বে-ইজ্জত করতে? না, কোন ভাবেই পারতো না। পেরেছিলো কিছু পঁচে যাওয়া জীবের দেহে গিজগিজ করা ল্যাদাপোকার মতো ঘৃনিত, শ্বাপদের মতো ভয়ংকর কিছু জানোয়ার রূপি মানুষের জন্য। যারা কিনা এই বাংলাদেশেরই নাগরিক। এবং তারা কিনা এখন দেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত !!?? আমি ভীষন লজ্জিত যে, তাদের সাথে পাশাপাশি হাঁটতে গিয়ে তাদের গায়ে আমার বাতাস লাগে। আমি ভীষণ অপরাধী যে, তাদের সাথে কথা বলে তাদের জীবনকে ধন্য করে দিচ্ছি।

কারণ আসলে একটি নেকড়ে কি কখনও মানুষের সাথে কথা বলতে পারে? একটি ল্যাদা পোকা কি কখনও মানুষের সাথে হ্যান্ডশেক করতে পারে? সবচে' বড় কথা হলো্ একজন অমানুষ কখনও একজন মানুষের সাথে সহাবস্থান করতে পারেনা। এই দেশ যদি কথা বলতে পারতো, এই দেশের মাটি যদি তার অনুভূতির প্রকাশ করতে পারতো, তবে এতোদিন ভূ-কম্প হয়ে দেশের সব মানুষ মরে ভুত হয়ে যেত। আমরা কতোই না অকৃতজ্ঞ, কতোইনা কুলাঙ্গার, মায়ের খেয়ে, মায়ের পরে, মায়ের বুকে ঘুমিয়ে, মায়ের ধর্ষকের সাথেই সখ্যতা করি, মিত্রতা করি। আসলে আমার বাংলা মায়ের ইজ্জতের কি কোন দামই নেই? জীবিত থাকা অবস্থায় না হয় কোন ভাবে অমানুষগুলোকে এড়িয়ে গেলাম, কিন্তু মৃত্যুর পর? আমার মৃত্যুর পর যদি আমার পাশে কোন রাজাকারের কবর হয়? যেমন দেওয়া হয়েছে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ও সোহরাওয়ার্দীর কবরের মাঝে খাজা নাজিম উদ্দিনের কবর, যিনি কি না বাঙ্গালী বিরোধী ছিলেন। এতে করে কি দুজন প্রেমিকের স্মৃতিকে অপমান করা হয়নি? প্রশ্ন থাকতে পারে তবে কি তাদের লাশ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিতে হবে? আবার পাঠালে যদি সে দেশের সরকার গ্রহন না করে? তাহলে তাদের লাশের কি হবে? একজন মানুষ হিসেবে অবশ্যই মৃতদেহটা সৎকারের অধিকার রাখে।

কিন্তু এইসব অমানুষের কবর কোনভাবেই মানুষের পাশে হতে পারে না। তাই আমি মনে করি রাজাকারদের জন্য আলাদা গোরস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে আবার তাদের অবস্থা রিজু রাজাকারের মতো হবে। যার লাশ নিজ জেলায় কবর হতে দেয়নি দেশপ্রেমিক জনগন। পোস্টটি আমার রাজাকার বিষয়ক যত পোস্ট এ সংরক্ষিত আছে


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.