আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার প্রিয় রিজি খালা

গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না

খুলনায় থাকতাম, কিন্তু চাচা, মামা খালারা সব ঢাকায়। তাই ফাইনাল পরীক্ষা শেয হতেই চলে যেতাম রাজধানীতে। মোহাম্মদপুরে জাকির হোসেন রোডের খালার বাসায় তখন হুলুস্হুল অবস্হা, আমার বয়সী বাচ্চা কাচ্চা ভরপুর। তাই সংগত কারনেই ওখানে বেশিদিন কাটানোর ইচ্ছা থাকতো। আর খালার বাসার কাছেই আমার একমাত্র চাচার বাসা।

মামার বাসাটা দূরে, অন্যদিকে মামার বাসায় মামা মামী শুধু দুইজন, পুরো বাসাটা খালি, আমার একদম মন টিকতো না। তখন ঢাকা খুলনা জার্নি অনেক লম্বা আর রাস্তাটাও ভালো ছিলোনা। ডলফিন, রুমা আর দিগন্ত পরিবহনে করে ঢাকা যেতাম। সারাদিন জার্নি করে যখন পৌঁছাতাম বিছানায় শুয়ে মনে হতো আমি এখনও বাসে করে যাচ্ছি আর দুলছি। ছবিটা ১৯৮৯ তে খালার বাসায় তোলা খালার বাসার সামনে বেশ বড় একটা মাঠ ছিলো, ছিলো এই কারনে বলছি ওটার অস্তিত্ব এখন আর নেই।

বাসার ঠিক নীচে একটা বেকারী ছিলো, ওখানে সাদা রঙের একরকম চ্যাপ্টা গোল ডানো দুধের গন্ধ আলা সন্দেশ পাওয়া যেত। আমি ওটার একনিষ্ঠ কাস্টমার ছিলাম। খালা আমাকে অনেক আদর করেন। খালার শরীরটা বেশ অনেক মোটা। আমার ছোট বোনের মেয়ে দুইটা বলে মোটা নানী।

ওদের ভাষায় মোটা নানীর শরীরটা খুব নরম, তুলতুলে, জড়িয়ে ধরে আদর করলে খুব মজা লাগে। খালার মনটাও ওরকমই নরম। এত মায়া করেন খুব ভালো লাগে। খালা খুব হাসি খুশি, আমোদ করতে ভালোবাসেন। সবসময় ফিটফাট মাড় দেয়া সুতি শাড়ির সুন্দর গন্ধ।

এখন সময় পাল্টেছে, এখন আর আমার ঢাকা ভালো লাগেনা। খালার মায়া ভালোবাসা সবই একইরকম আছে তবু সেইভাবে ওখানে থাকা হয়না। ঢাকা গেলেই অবশ্যই খালার ওখানে কয়েকবার ঘুরে আসি। খালার মুখে আদরভরা কথা শুনলে এখনও সেই ২০ বছর আগের দিনগুলোর দৃশ্য চোখের সামনে ভাসে। প্রিয় রিজি খালার কাছে এখনও আমি সেই ছোট্ট আদুরে আসিফ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.