আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তরাজ্য মানবাধিকার লঙ্ঘণ করছে: ইকুয়েডর

মঙ্গলবার রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন। প্রায় এক বছর আগে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছিল ইকুয়েডর। কিন্তু লন্ডনে ছোট পরিসরের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে থাকা অ্যাসাঞ্জকে দূতাবাস থেকে বের হলেই গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়ে রেখেছে যুক্তরাজ্য সরকার। পাতিনো বলেন, “নিরাপদে দেশত্যাগ করতে না দিয়ে একজন নাগরিকের মানবাধিকার লঙ্ঘণ করছে তারা, এই লঙ্ঘণের প্রভাবে ওই ব্যক্তি প্রতিদিনই অত্যাচারিত হচ্ছেন। ” “এক বছর ধরে এই ভদ্রলোক সূর্যের আলোর অনুভূতি পাওয়া থেকে বঞ্চিত, এটা মানবাধিকারের নিদারুন লঙ্ঘণ।

তাকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত যেখানে মানবাধিকার রক্ষা করা হয়,” বলেন তিনি। কথিত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সুইডেন। অভিয়োগ অস্বীকার করলেও লন্ডনে থাকা অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের হাতে তুলে দিতে চায় যুক্তরাজ্য। সুইডেনের হাতে তুলে দিলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা অ্যাসাঞ্জের। উইকিলিকস ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন গোয়েন্দা নথি প্রকাশিত হওয়ায় অ্যাসাঞ্জের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

অ্যাসাঞ্জকে ধরে এনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিচার করতে চায় দেশটি। এই বিচারের রায়ে অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের হাতে তুলে দেওয়ার রায় দেওয়ার পর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন অ্যাসাঞ্জ।
ইকুয়েডরের সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরেয়া তার আবেদন মঞ্জুর করেন। এতে যুক্তরাজ্য ক্ষিপ্ত হয়।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.