আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসিমুখ প্রত্যাশিত ৪

reaz.shahed@gmail.com

হাসিমুখ প্রত্যাশিত ১ হাসিমুখ প্রত্যাশিত ২ হাসিমুখ প্রত্যাশিত ৩ [ এবারের কৌতুকগুলো আয়তনে একটু বড়, যদিও তাতে হাস্যরস ক্ষুণ্ণ হয়নি কিছুমাত্র ] * মাদ্রিদে ষাঁড়ের লড়াই দেখে পাশের এক রেস্তোরাঁয় ঢুকেছে এক ট্যুরিস্ট। স্পেশাল ডিশ অর্ডার দেয়ায় বেয়ারা এক অদ্ভুত জিনিস এনে হাজির করলো। আলু আর লেটুসের সাথে গোল গোল দুটো মাংসের টুকরোমত। "কী এটা?" জানতে চাইলো ট্যুরিস্ট। "কহোনেস, সেনর," বুক ফুলিয়ে জবাব দিলো বেয়ারা, "আজকে অ্যারেনাতে যে ষাঁড়টা লড়াইয়ে হারলো, তার অন্ডকোষ।

" নাক সিঁটকে খাওয়া শুরু করলো ট্যুরিস্ট। কিন্তু মুখে দিয়েই চমকে গেলো সে, না যা ভেবেছিলো তা নয়, বরং বেশ সুস্বাদু জিনিসটা। চেটেপুটে খেয়ে সে ঠিক করলো, আগামীকালও এই কহোনেসই খেতে হবে। পরদিন আবার একই রেস্তোরাঁয় এসে অর্ডার দিলো সে চটপট। যথারীতি বেয়ারা এনে হাজির করলো খাবার।

আলু, লেটুস, কিন্তু আজকের মাংসের টুকরো দুটো খুবই ছোট! ঘটনা কী জানতে চাইলো ট্যুরিস্ট। "আসলে ব্যাপারটা হয়েছে কি," খানিক মাথা চুলকে উত্তর দিলো বেয়ারা, "ষাঁড়ের লড়াইয়ে কিন্তু সবসময় ষাঁড়ই হারে না জানেনতো..." * একবার এক অন্ধ সিদ্ধান্ত নিলো সে টেক্সাস যাবে। ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের একজন তাকে হাত ধরে বিমানের সিটে বসিয়ে দিলো। বসেই সে বললো, "বাহ! কত বড় সিট!" পাশের সিটের যাত্রী বললো, "টেক্সাসে সবকিছুই বড়। " ফোর্ট ওয়ার্থ বিমানবন্দরে নামবার পর তার তৃষ্ণা লাগলো, রেস্তরাঁয় বার্গারের অর্ডার দিলো সে; বার্গার আসার পর ধরে বুঝলো যে বার্গারটা বিশাল বড় আর পানীয় মগটা তার ধারণার চেয়েও অনেক বড়।

বিস্মিত স্বরে সে বললো, "কী বিরাট বার্গার আর মগ!" পাশের একজন বললো, "টেক্সাসে সবকিছুই বড়। " কিছুক্ষণ পর তার টয়লেটে যাবার প্রয়োজন পড়লো। একজনকে জিজ্ঞাসা করলে সে বললো, "বাঁদিকের দ্বিতীয় দরজা। " লাঠি ঠুকে ঠুকে সে দরজার সন্ধানে বের হয়, কিন্তু দরজাটি ভুলে পেরিয়ে সে তৃতীয় দরজার সামনে উপস্থিত হয়ে যায়। তৃতীয় দরজার পরই সুইমিং পুল।

সেখানে পড়ে গিয়েই সে চেঁচিয়ে উঠলো, "ফ্ল্যাশ করবেন না, ফ্ল্যাশ করবেন না। " * এক মেয়ে একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। পাখির দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় একটা খাঁচার তোতাপাখি তাকে দেখে বললো, "অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!" মেয়েটা মনেমনে চটে গেলেও কিছু বললো না- পাখির কথায় কী আসে যায়? পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও একই ঘটনা ঘটলো, পাখিটা বলে উঠলো, "অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!" মেয়েটা দাঁতে দাঁত চেপে হজম করে গেলো। তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময়ও পাখিটা বলে উঠলো, "অ্যাই আপু, আপনি দেখতে খুবই কুত্সিত!" এবারতো মেয়েটা মহা চটেমটে দোকানের ম্যানেজারকে গিয়ে হুমকি দিয়ে এলো যে, সে মাস্তান লেলিয়ে এই দোকানের একদম বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে। ম্যানেজার মাপ চেয়ে বললো, সে এর বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, পাখিটা আর এমন করবে না।

তার পরদিন সেই দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাখিটা বলে উঠলো, "অ্যাই আপু!" মেয়েটা থমকে দাঁড়িয়ে পাখির মুখোমুখি হলো, "কী?" পাখিটা বললো, "বুঝতেই তো পারছেন। " * ইউনিভার্সিটির দুই ছাত্র। এ টার্মে সব কুইজ, মিড টার্ম, আর ল্যাব পরীক্ষা ভালো হয়েছে। পরের দিন তাদের শেষ পরীক্ষা। এতে মোটামুটি করলেও তারা এ গ্রেড পেয়ে যাবে।

পরীক্ষা সামনে রেখে তারা হার্ভার্ডে পার্টিতে যোগ দেয়। দারুণ সময় কাটছিলো; মাতাল হয়ে তারা ভুলে যায় পরীক্ষার কথা। সারাদিন ঘুমায়। পরীক্ষা আর দেয়া হলো না। পরীক্ষার পর তারা প্রফেসরের সাথে দেখা করে, জানায় দু'জনই দূরের শহরে উইকএন্ড কাটাতে গিয়েছিলো, সেখানে তারা পড়াশোনাও করেছে।

কিন্তু ফেরার পথে তাদের গাড়ীর চাকা ফেটে যায়। এজন্য তারা সময়মত পৌঁছাতে পারেনি। প্রফেসর একটু ভাবলেন, তারপর বললেন, "ঠিক আছে, কাল তোমাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। " পরের দিন তারা পরীক্ষার হলে এসে হাজির। প্রফেসর জানালেন তাদের আলাদা রুমে পরীক্ষা হবে।

দু'জনকে প্রশ্নপত্র দেয়া হলো একই সময়ে। আলাদা রুমে বসে তারা প্রশ্নপত্র খুলে দেখলো প্রথম পৃষ্ঠায় একদমই সহজ একটা প্রশ্ন, পাশে লেখা ৫ নম্বর। তারা ভাবলো, দারুণ। এমন হলে আর পায় কে? কিন্তু যেই না পৃষ্ঠা উল্টিয়েছে, সাথে সাথে মাথায় বাজ; দ্বিতীয় প্রশ্ন- "কোন চাকা ফেটেছিলো? নম্বর- ৯৫। " * কামাল লজিক বোঝাচ্ছে শামীমকে, "শোন লজিক জিনিসটা আসলে খুব সোজা বুঝেছিস।

আচ্ছা তোকে উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। তোদের বাসায় কি আকোয়্যারিয়াম আছে?" - "হ্যাঁ আছেতো। " - "বাহ খুব ভালো। এখন চিন্তা কর এই যে আকোয়্যারিয়াম, এটার কথা মনে হলেই সাথে সাথে মনে পড়ে মাছের কথা, আর মাছ মানে হলো সমুদ্র, আর সমুদ্র মানে হলো ধর তুই আর তোর প্রেমিকা হাত ধরাধরি করে সমুদ্রতীরে হেঁটে বেড়াচ্ছিস, কী অপূর্ব এক রোমান্টিসিজম ইত্যাদি ইত্যাদি.. এবার বুঝলি তো লজিক কাকে বলে?" লজিক বুঝে শামীম তো খুবই উত্তেজিত। যাহোক কিছুদিন পর তার সাথে দেখা হলো রূপমের।

শামীম ভাবলো এই তো পেয়েছি, সদ্য শেখা বিদ্যাটা এর ওপরে একটু ট্রাই মেরে দেখি। অতএব শামীম লজিক বোঝানো শুরু করলো রূপমকে, "শোন লজিক জিনিসটা আসলে খুব সোজা বুঝেছিস। আচ্ছা তোকে উদাহরণ দিয়ে বোঝাই। তোদের বাসায় কি আকোয়্যারিয়াম আছে?" - "অ্যাকোয়্যারিয়াম? না তো। কেনো?" - "অ্যাঁ বলিস কী, অ্যাকোয়্যারিয়াম নেই তোদের বাসায়? তাহলে তো তুই একটা গে!"


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।