আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্র্যাক ইউনিতে কাস্টমার সার্ভিস শিক্ষা...

আমার চোখে বর্তমান...

বাংলাদেশে বেশীর ভাগ জায়গায় আমি উপযুক্ত কাষ্টমার সার্ভিসের অভাবটা খুব ফিল করি। খুব ভালো উদাহরন হলো আড়ং। সেখানের সেলসম্যানরা দেখে মনে হয় যেন তারা কোন হনু রে। সে তুলনায় আগোরা খুব ভালো লাগে। তাদের ব্যবহার আন্তরিক মনে হয়, অনেক সহজ হয় শপিং করা।

আমি গত উইকে ব্র্যাক ইউনিতে গিয়েছিলাম এম বি এর ফর্ম কিনতে। এডমিশন অফিসের অ্যাটেনডেন্ট প্রথমে বলল ফর্ম কেনার আগে তাদের স্যারের কাছে আমার বিদেশী ডিগ্রীর মান ঝাচাই করে নিতে। খুব ভালো কথা। কয়েক বার তার অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে শেষে ফোনে আলাপ করে নিলাম। এরপর ফর্ম জমা দেবার সময় অ্যাটেনডেন্ট ভদ্রলোক বললেন, "আপনি যে স্যারের সাথে কনসাল্ট করেছেন তার কি প্রমান আছে?" আমার পক্ষে উক্ত স্যারকে কখনো খুজে পাওয়া সম্ভব নয় মনে করে বললাম, ঠিক আছে আপনারা ফর্ম রাখেন, স্যারের সাথে ঝাচাই করে নেন, পরে আমি এসে এ্যাডমিট নিয়ে যাব।

কিন্তু কে শুনে কার কথা? "আমি কেন আপনার ফর্ম রাখব?" তাদের সার্ভিস নিয়ে আমার অসন্তুষ্টি জানাতে গিয়ে আরো মহা বিপদে পড়ে গেলাম। তারাতো আমার কোন কথাই শুনবে না। বরং ঝাড়ি দেয়া শুরু করলো । "আপনি ঠিক সময়ে যাননি কেন স্যারের কাছে (তাদেরই দুই জন আমাকে দুই রকম ভুল সময় বলেছিলো), আপনারইতো দোষ। " কি সর্বনাশ।

প্রথমত প্র. মজিব সাহেব কে আমি চেনারই কথা নয়। তাদেরই উচিত ছিল আমার ফর্ম রেখে মান ঝাচাই করে আমাকে জানানো। সেটাই স্বাভাবিক ছিল। শেষে আমি যখন রেগে গেলাম একজন বলল, "আমি দশ লাখ টাকা খরচ করে এই ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি। আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবেননা।

" আমি মনে মনে বললাম, তুই গাধা আরো ৫০ লাখ খরচ করে সার্ভিস কাকে বলে শিখে তারপর সার্ভিস দিতে আসবি। সবচেয়ে বিরক্ত হলাম যখন শ্রদ্ধেয় প্রফেসর মজিব ইউ আহমেদ পুরো ঘটনায় আমাকেই দায়ী করলেন এবং তার অ্যাটেনডেন্ট, সিস্টেম বা কোন কিছু নিয়ে কোন অভিযোগ শুনতেই অস্বীকার করলেন। কি অদ্ভুদ!!! এই বেসিক জিনিসটা প্রফেসর মজিব ইউ আহমেদ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কিভাবে ভুল করলেন? কাষ্টমাররা কখনো ভুল করেনা। তারা সবসময়ই সঠিক। বি ইউ তাদের বিজনেস স্টুডেন্টদের এই কথাটা মনে হয় কখনো শেখায় না।

তাদের ছাত্রদের শিক্ষা কখনোই সম্পূর্ন নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.