আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি রাজ পরিবার ইহুদী বংশদ্ভুত ? --- (৩য় পর্ব)

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

২য় পর্বের পর......................... বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ এই ইহুদী মোরদাখাই বা মারক্বান বিন দিরিয়া আল-আরিদের নিকট আল মালিবিদ-গুশাইবা নামক একটি খামারে আশ্রয় গ্রহণ করে। বর্তমানে একে বলা হয় আল-রিয়াদ। এই ইহুদী সেই খামারের মালিকের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে। সেই খামারের মালিক ছিল অত্যন্ত দয়ালু একজন মানুষ, সে তখনই তাকে আশ্রয় দান করেন। কিন্তু এক মাসের কম সময়ের মধ্যেই সেই কুচক্রী দুষ্ট ইহুদী, খামারের মালিকসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করে।

সে প্রচার করে তারা লুটেরা কর্তৃক নিহত হয়েছে এবং সে খামার দখল করে নেয়। সে দিরিয়া নামক যে স্থান থেকে বিতাড়িত হয়েছিল সেই নাম অনুসারে এই স্থানেরও নাম আল-দিরিয়া রাখে। (কিছু সত্য গোপন করে কোন কোন ইতিহাসে লেখা আছে- ৮৭৩ হিজরী (কাছাকাছি) অর্থাৎ ১৪৪৬ সালের দিকে ইহুদী মোরদাখাইয়ের ম্রুদা গোত্র দিরিয়া নামক স্থানে বসবাস করতে থাকে। আসলে মোরদাখাই পরিবারই ম্রুদা গোত্র নামে পরিচিত। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে তার আত্মীয় ইবনে দির কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে আল-রিয়াদে বসবাস শুরু করে বলেও কথিত আছে।

ইবনে দির ছিল সেখানকার শাসক এবং বহু ক্ষেত-খামারের অধিকারী। বলা হয়, ইবনে দির তাকে আল মুলাইবিদ এবং গুশাইবা নামে দুটি খামার দান করে; যা সে পরবর্তিতে আল-দিরিয়া নামে নামকরণ করে। ) বর্তমান সউদী রাজপরিবারের পূর্বপুরুষ সেই ইহুদী মোরদাখাই সেখানে “মাদাফ্‌ফা” নামে একটি অতিথিশালা খুলে এবং তার চারপার্শ্বে কিছু মুনাফিক জড়ো করে। সেই মুনাফিকরা প্রচার করতো এই ইহুদী হচ্ছে একজন বড় আরব বণিক। সেখান থেকে সে তার মূল শত্রু হযরত শায়খ সালেহ সালমান আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং আল-যালাফি নামক শহরের একটি মসজিদে উনাকে শহীদ করে।

হযরত আব্দুল্লাহ আল তামিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর শাহাদাতের পর মোরদাখাই নিজেকে যথেষ্ট মুক্ত ও নিরাপদ মনে করে সেই দিরিয়া গ্রামে বসবাস করতে থাকে। ইহুদী মোরদাখাই সেখানে অনেক বিয়ে করে এবং তার সকল সন্তানের সে আরবীয় নাম রাখে। তার বংশধররা সেখানে সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পরবর্তিতে সউদী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত হতে থাকে। তার বংশধররাও আরবজাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে। তারা অনেক কৃষিক্ষেত্র অবৈধভাবে দখল করে নেয় এবং যারাই তাদের দুষ্ট পরিকল্পনার বিরোধিতা করতো তাদের তারা হত্যা করতো।

তারা তাদের সাফল্যে পৌঁছবার লক্ষ্যে গোপনে বিভিন্ন প্রকার দুরভিসন্ধি প্রয়োগ করেছিল। যারা এই ইহুদী পরিবারের সঠিক ইতিহাস বলতে বা লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলো তাদেরকেই ঘুষ প্রদান করা হয়েছিল। বিশেষত সেই এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নারী ও অর্থের মাধ্যমে প্রলোভিত করে দমিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে তাদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলে তাদের বংশানুক্রম বিখ্যাত আরব গোত্র রাবিয়া, আনজা এবং আল-মাসালিকের সাথে সম্পৃক্ত প্রমাণ করে তাদের ইতিহাসকে বিশুদ্ধ করতে চেয়েছিল। (সউদি পরিবারের পূর্বপুরুষ যে ম্রুদা গোত্রের এ ব্যাপারে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।

প্রচলিত আছে যে, তারা প্রাচীন রাবিয়া গোত্রের বিশেষত ‘ওয়াইল’-এর শাখা। কিন্তু যে বিষয়ে সব ইতিহাসে বিতর্ক আছে তা হচ্ছে সউদীরা ওয়াইলের কোন শাখার? বহু ঐতিহাসিক এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নজদের অধিবাসীরা বনু হানিফা গোত্রের যারা নজদ ও রিয়াদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে জোর দিয়ে বলতে চায় তারা হচ্ছে আনজা নামক বড় বেদুইন গোত্রের। নজদে বসবাসরত অন্যান্য আনজা গোত্রের পরিবারের মত তথাকথিত ম্রুদা গোত্রের কোন লিখিত বা মৌখিক তথ্যও নেই যে ম্রুদা আনজা গোত্র থেকে মাইগ্রেশন করে নজদে আসে। ) বর্তমান সময়ের একজন চরম পর্যায়ের মুনাফিক হচ্ছে আমিন আল তামিমি, যে সউদী আরবের জাতীয় লাইব্রেরীর ডাইরেক্টর।

সে সউদী আরবের এই ইহুদী শাসকগোষ্ঠীর বংশ তালিকা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক বংশের সাথে সম্পৃক্ত করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। তার এই মিথ্যা জালিয়াতি কর্মের জন্য ১৯৪৩ সালে মিশরে নিযুক্ত সউদী আরবের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহীম আল-ফাদেলের কাছ থেকে আমিন আল তামিমি ৩৫ (পঁয়ত্রিশ) হাজার মিশরীয় পাউন্ডে পুরস্কৃত হয়। ................................ চলবে। ...................................চমকপ্রদ তথ্যের জন্য সাথে থাকুন। ১ম পর্ব।

২য় পর্ব।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.