আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আত্মবিশ্বাসী হোন। Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট)

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/ - পোষ্টটি সকল উঠতি ব্যবসায়ী বন্ধুদের উতস্বর্গ করলাম। একইসাথে তাদের পড়ার অনুরুধ রইলো। এক ব্যবসায়ি গভীর ঋণে পতিত হলো। ঋণদাতারা টাকার জন্য চাপ দিতে লাগলো।

সাপ্লাইয়াররা সাপ্লাই বন্ধ করে দিল। বেতন দিতে না পারায় শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলো। ভদ্রলোক কোন পথই খুজে পাচ্ছিল না। তাহলে বাড়ি গাড়ী বন্ধক রেখে তিলে তিলে গড়া এত স্বাদের কম্পানী কি শেষ পর্যন্ত দেউলিয়াই হয়ে যাবে!!! কোন উপায় না পেয়ে অফিস ছেড়ে বের হয়ে পার্কের একটি বেঞ্চে হাতের উপর মাথা রেখে হতাশ হয়ে বসে পড়ল এমন সময় এক বৃদ্ধ লোক তার দিকে এগিয়ে আসলো.... বৃদ্ধ লোক: জনাব আপনাকে দেখেই বুঝা যায় আপনি গভীর হতাশার মধ্যে ডুবে আছেন। আপনি মনে হয় কোন বড় কম্পানীর মালিক।

তাছাড়া আপনাকে পুর্ব পরিচিত ও মনে হচ্ছে। তাহলে আমি কি জানতে পারি আপনার সমস্যার কথা??? লোকটি মথা উচু করে বললো: তাতে যে কোন লাভ হবে না। বৃদ্ধ লোক: "আমার বিশ্বাস আমি আপনাকে আপনার বিপদ থেকে উঠে আসতে সাহায্য করতে পারি। " লোকটি বললো: আপনার নাম। বৃদ্ধ লোকটি পকেট থেকে একটি কাগজে নিজের নাম লিখে ভাজ করে লোকটির হাতে দিয়ে বললো: এটি নিয়ে যান।

এখানে আমার নাম লিখা আছে। আর আজ থেকে ঠিক এক বছর পর ঠিক এই দিনে ঠিক এই সময়েই ঠিক এই বেন্চেই আমি থাকবো। আশা করবো সে সময় আপনি ভাল বন্ধুর পরিচয় দিবেন। বৃদ্ধ লোকটি দ্রুত চলে গেলো। --- বিরতি।

--- ব্লগার বন্ধুদের নিকট প্রশ্ন: এমন পরিস্থিতিতে আপনি ঐ বৃদ্ধ লোকটির নিকট থেকে কি আশা করছেন। মানে, ঐ কাগজে কি আছে বা কি থাকলে আপনি খুশি হবেন?? একটু চিন্তা করুন তারপর নিচে পড়ুন..... ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনারা পড়ছিলেন ..আত্মবিশ্বাসী হোন। Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট).. ==> এবার লোকটি কাগজের ভাজ খুললো। কাগজটি কোন মামুলী কাগজ নয়।

এটি $৫০০,০০০ এর একটি ব্যাঙ্ক চেক। (পাঁচ লাখ ইউএস ডলার মাত্র) লোকটির হাতে কম্পন সৃষ্টি হলো। নিজের চোখকে যেন সে বিশ্বাস করতে পারছে না। পৃথিবীকে স্বর্গ মনে হতে লাগলো। আনন্দে চিৎকার করতে লাগলো।

কিছুক্ষন পরে যখন বাস্তবে ফিরে আসলো তখন চিন্তা করতে লাগলো কে এই ব্যক্তি! চেকের নিচে সাইন দেখলো: ''জন ডি রকফেলর''। এই শহড়েই বসবাসকারী বিশ্বের নাম করা ধনীদের একজন হলেন 'জন ডি রকফেলর'। নাম দেখার পর বিষয়টি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হতে লাগলো। --- বিরতি নং-২। -আমাদের সাথেই থাকুন।

--- প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা - আপনি এমতোবস্থায় কি করতেন। সংক্ষেপে কমেন্টে লিখুন যাতে নিজেকে যাচাই করতে পারেন। তারপর নিচের অংশ পড়ুন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনারা পড়ছিলেন ... আত্মবিশ্বাসী হোন।

Be self-confident (একটি শিক্ষামুলোক পোষ্ট).. ==>> লোকটি ঘটনাটি নিয়ে চিন্তা করতে লাগলেন। চিন্তা করে বের করলেন: -১) টাকা পয়সাই সব কিছু নয়। -২) মানুষের উপর ভড়সা রাখতে হবে। -৩) মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে। -৪) হৃদয় অনেক বড় করতে হবে।

-৫) বিন্দুমাত্র লোভ থাকা যাবে না। বিষয়গুলো রিয়েলাইজ করার পর তার ভিতর চেতনার সৃষ্টি হলো। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি চেক ক্যশ করবেন না। তিনি তার ভিতরের দুর্বল সাইড গুলো বের করতে লাগলেন। তিনি শ্রমিকদের সাথে ভাল ব্যবহার ও মিষ্টিভাষায় কথা বলে তাদের থেকে আরো কিছুদিন সময় নিতে পারলেন।

ডিলারদের আরো বেশি সুবিধা দিয়ে তাদের থেকে আরো কিছুদিন কাজ করার আস্বাস পেলেন। গুডাউনের কিছু মাল কিছুটা ক্ষতি দিয়ে বিক্রি করে ব্যংকের কিছুটা লোন পরিশোধ করলেন। এইভাবে কয়েক মাস কঠোর পরিশ্রম করার পর তার কম্পানি বেশ ভাল ভাবে চলতে থাকলো। পরিশ্রমের মাত্র বড়িয়ে দিলেন। কয়েক মাস পর সে তার সমস্ত পাওনাদারের টাকা শুধ করে ফেললেন।

এক বছরের মধ্যে তার কম্পানি এখন অনেক টাকার মালিক হলো। কিছু গিফট এবং ঐ চেকটি হাতে নিয়ে লোকটি সেই আগের বেন্চে বৃদ্ধ লোকটির জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। কিছুক্ষন পরই বৃদ্ধলোকের আগমন ঘটলো। সে পকেট থেকে বের করে চেকটি বৃদ্ধ লোকটির দিকে এগিয়ে দিলেন। এমন সময় একটি নার্স দৌড়ে তাদের দিকে ছুটে এলো।

নার্সটি লোকটির নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে বলল: আমি দুঃখিত। এই অসুস্থ বৃদ্ধ লোকটি আপনার কোন ক্ষতি করে নি তো?? আসলে লোকটি কয়েকবছর যাবত মানসিক ভাবে পর্যুদস্ত। ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাকে রেষ্টে থাকতে বলেছেন। কিন্তু সে প্রায়ই বাসা থেকে বের হয় এই পার্কে চলে আসে।

আর সকলের নিকট নিজেকে ''''জন ডি রকফেলর'' বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। আপনার কোন ক্ষতি করে থাকলে আপনি আমাদের উভয়কেই ক্ষমা করে দিবেন। বলতে বলতে নার্সটি বৃদ্ধলোকটিকে নিয়ে গেলো। বিস্মিত হয়ে লোকটি দাঁড়িয়ে রইলো, স্তব্ধ হয়ে গেলো তার হৃদয় স্পন্ধন। কত কঠোর সময়ই না পার করছেন তিনি গত একটি বছরে।

আর তার সুখে দুখে তার পাশে ছিল ঐ $৫০০,০০০ (হাফ মিলিয়ন ডলার)। - আজ সে জানতে পারলো সেটা নাকি ফেইক। তাহলে আমি কি গত একটি বছর মৃত লাশ বুকে নিয়ে ঘুমিয়েছি? এমনটাই মনে হতে লাগলো তার। একটু পরে সে রিয়েলইজ করলো: কোন টাকাই নয়, বাস্তবতার টাকা না কল্পনার টাকাও না। তার জীবন পরিবর্তন করেছে তার খুজে পাওয়া নিজের আত্নবিশ্বাস।

যা কিনা হাফ মিলিয়ন কেন লক্ষ বিলিয়ন ডলারের চেয়েও মুল্যবান। আর সেটা সে পরে প্রমান ও করেছিল। --- একটি ইংরেজি গল্পকে নিজের মত করে লেখা... ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.