আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

য়্যাস ফর্মুলা - ৩

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

আমাদের উচিত ছিল সময়মত পৌছে যাওয়া; কিন্তু সড়ক সড়কে দিপাবলী উৎসবের কারণে এডিবিতে পৌঁছুতে আমাদের দেরী হয়ে গেল। মানুষের হাসিমুখ দেখে এখন কিছুদিন আগের ভয়াবহ খাদ্যসংকটের কথা একদম মনে পড়ে না। কি পরিষ্কার মুখগুলো, দাতগুলো ঝকমক করছে। বাদামী রঙের মানুষগুলোর দাত হয়ে উঠেছে কেতারদুরস্ত, কোন খাদ্যকনা লেগে থাকে না। দাতের ফাকে ফাকে গন্ধ ছড়ায় না।

লোকজন বেশ চুমাচাটিতে ওস্তাদ হয়ে উঠেছে। খাদ্যগ্রহণের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাবার পরে মুখ এখন শুধু শান্তির কথা বলে - এডিবির দক্ষিণ এশিয়া মহাপরিচালক কুনিও সেঙ্গা মহাখুশী। তিনি আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন, কিভাবে এই উদ্বৃত্ত মুখের ব্যবহারিক স্কিলটা রপ্তানী করা সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনার জন্য। আমাদের রপ্তানীকারক সংঘের মোটামুটি এখন বাড়ন্তকাল। খাদ্যশষ্য, রাজাকার রপ্তানীর পরে নিজস্ব একটা আটত্রিশ তলা ভবণ হয়েছে।

সোনার ফসল ফলানো দেশে এত সব নতুন নতুন রপ্তানীজাত বস্তু ও জন্তুর উৎপাদন বেড়েছে যে সর্বত্রই আমাদের দাপট। সেঙ্গা তো দেশে এসেই দেখা করতে চাইলেন আমাদের সাথে। আমরা এডিবির বাংলাদেশ প্রধানের রুমে ঢুকতেই সেঙ্গার সাথে দেখা হলো। তিনি তার মঙ্গোলিয়ান গালটা আমাদের সামনে এগিয়ে দিলে - আমরা চুমু খেলাম। মুখ খাদ্যদ্রব্য পরিহার করার পর থেকে বিদেশীরা এখন বাঙালির চুমোয় দারুন স্বাদ পেয়ে গেছে - একদম বাস্তুহীন একজন ভিখেরীর চুমুর জন্যও টমক্রুজ পর্যন্ত লালায়িত থাকে ইদানিং।

আমরা সেঙ্গার কাছে জানতে চাই, কিভাবে এই স্কিলটা রপ্তানী করা সম্ভব? তিনি আমাদেরকে বললেন, দেখুন, বিশ্বব্যাপী মানুষের দুর্গন্ধযুক্ত মুখের সয়লাব, কোন মানুষই আর চুমো খেতে রাজী নয়। উন্নত বিশ্বে প্রেম-ভালোবাসা-পরিবার ধ্বংষের মুখোমুখি - অথচ আপনাদের দেশে এত এত মানুষ এবং সবার মুখেই কেবল হাসি, গান আর ভালোবাসার কথা - এর জন্য বিশ্ব আপনাদের হিংসা করা শুরু করেছে! তা তো বুঝলাম, কিন্তু আমাদের মানুষজন তো এখানেই বেশ শান্তিতে আছে। যতদিন পর্যন্ত আলুর উৎপাদন অব্যাহত থাকবে ততদিন মনে হয় না কেউ যেতে চাইবে! আর তাছাড়া কেবল চুমোচাট্টি করার জন্য বাঙালিরা বিদেশ যেতে চাইবে না! রুমের মধ্যে এমন সময় বিশাল নাস্তাটাস্তার আয়োজন শুরু হয়েছে। আলুর সাইজ দেখে আমাদের নিম্নজিভে জল এসে গেল। সেঙ্গা বললেন, দেখুন আপনাদের মুখের পরিচ্ছন্নতার জন্য এখন ওয়াল্ডব্যাংক-এডিবি কিন্তু আপনাদের ভাল ভাল জিনিস চুষে খাবার সুযোগ দিয়েছে - বিশ্বব্যাপী আপনাদের ডিমান্ড কিন্তু অভাবনীয়! বলতে বলতে তিনি সেদ্ধ গোলআলুর রসালো প্লেট এগিয়ে দিলেন।

আমরা সবাই আমাদের পাছার পেছনের দিকের ঢাকনা খুলতে শুরু করলাম। সেঙ্গা বলে উঠলেন, কি করেন কি করেন! আমাদের দলের এক সদস্য বললেন, আলু খেতে হবে না! সেঙ্গার চোখ দুটো ফুটবলের মত স্ফীত হয়ে ওঠে, জিভ নড়ে না একটুকুন। আমাদের সঙ্গী এরপরে পাছার প‌্যান্টের কাছের ঢাকনা খুলে হাতের আলুটি ঢুকিয়ে দিলেন নিতম্বমুখে। বললাম, আমরা তো আপনাদের পরামর্শ অনুযায়ী আলু এখন এভাবেই খেয়ে থাকি; উপরের মুখ দিয়ে আর কিছু খেতে হয় না। এজন্যই তো আমাদের এত সুন্দর ও সুগন্ধযুক্ত মুখ হয়েছে! আপনারা বরঞ্চ এই পদ্ধতিটা রপ্তানী করতে পারেন নানাদেশে! সেঙ্গা একটা আলু নিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে প‌্যান্ট খুলতে শুরু করলেন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।