আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত খুনের আসামীর পক্ষে প্রচারনা পরোক্ষভাবে সমাজকে অপরাধের দিকে ধাবিত করে।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

আজকে ব্লগে একটা পোস্ট দেখে বাসা থেকে বেড়িয়েছি। ড্রাইভিং করছিলাম আর ভাবছিলাম - একটা সমাজ কিভাবে অপরাধপ্রবন হতে পারে? একটা কারন হলো যখন কোন সমাজের ন্যায় আর অন্যায়কে আলাদা করে দেখা হয়না বা দেখানো হয় না। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কালের ঘুষ দূর্নীতির বিশাল বিস্তারের পিছনে এই কারনটাই কাজ করছে। একজন ঘুষখোর বা দূর্নীতিবাজ লোকের গলায় মালা দিচ্ছি - যা টিভিতে প্রচার করা হচ্ছে - কিন্তু কেউ থামিয়ে বলছে না - এই লোকটা মালা পাবার যোগ্য নয় বা সমাজে সন্মান পাবার যোগ্য নয় - কারন সে চোর। যেমন ধরুন - একটা চোর চুরি করলো।

তাকে অত্নপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে হয়তো সে বলবে - তার বাসায় খাবার ছিলোনা। ছেলে মেয়েরা না খেয়ে আছে। ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু চুরি হলো একটা বেআইনী কাজ। সুতরাং তাকে সাজা পেতে হবে।

এখন সেই সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর পক্ষে যদি আমরা কথা বলা শুরু করি এই ভাবে - কেন বাসার বমালিক শক্ত দরজা বানায়ণি, কেন কুকুর পুষেনি, সুতরাং বাসার মালিকের দোষ। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্টকে সপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন আর তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের বিরোদ্ধে কাজ করে অপরাধ করেছে। দীর্ঘদিন পর ওদের সাজা হয়েছে। ওরা অপরাধী।

সভ্যসমাজ অপরাধীদের জন্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করে। কিন্তু দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের - সেই অপরাধকারীদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখনও অনেকে পালিয়ে আছে। যখন দেখি সেই জঘন্য অপরাধকারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে কেউ এগিয়ে আসে - থমকে যাই। তাকিয়ে দেখি ভাল করে।

এরাই তো ১৯৭১ সালের গনহত্যা বার গনধর্ষনের সমর্থক। ১৯৭১ সালের অপরাধীদের বিচার না করাই ফল এটা। অপরাধের বিচার না করে অপরাধীকে কথা বলার সুযোগ দিলে এরা অপযুক্তি দিয়ে সমাজকে বিভ্রান্ত করে। এরা সুন্দর কথার জালে অপরাধকে মহৎ কর্ম হিসাবে প্রতিষ্টা করে। এতে আরো অপরাধী তৈরী হয়।

তখন সমাজের রীতিনীতি বদলে যায়। ন্যয় আর অন্যায়ের মাঝে বিভাজন রেখাটা বিবর্ন হয়ে যায়। একটা সভ্যসমাজের জন্যে ন্যয় আর অন্যায়ের সুষ্পষ্ট সীমারেখা থাকা দরকার। আর সামহোয়ার-ইন ব্লগ সাইটটি যেহেতু একটা কমিউনিটি ব্লগ সাইট। সেই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অনেক বেশী।

এখানে যেহেতু বয়স সীমা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার কোন দরকার হয়না। সেহেতু যেকোন বয়সের মানুষ ব্লগিংএর সুযোগ পায়। অন্যদিক কোমল মনের কিশোর-কিশোরী যখন এই ধরনের বিভ্রানতিকর ব্লগ পড়বে - তা তাদের মনে বিভ্রান্তির সৃস্টি করতে পারে। তাই একজন খুনী বা আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত কোন অপরাধীর পক্ষে প্রচারনা চালানোর কোন সুবিধা থাকা উচিত নয়। কারন আমরা নিশ্চয় চাইবো না - আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ন্যয় আর অন্যায়ের পার্থক্যটা ভুলে যাক।

এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সহ সকল বিবেকবান ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। লেখার সূত্রঃ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.