আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একদিন রূপকথার দিন

একজন আমি, একজন হারিয়ে যাওয়া এবং একজন দূর প্রবাসী

সকাল থেকেই অবিরাম কাজ করেছিলাম সেদিন। তাই হয়তো প্রচন্ড ক্লান্ত অনুভব করছিলাম। দিনটি বরই অদ্ভুত ছিল আমার দৃষ্টিতে। দিনের প্রথম কাজটি আমার কাছে মনে হয়েছিল, আমি বুঝি রাজার কোনো আত্মীয়। তাই হয়তো আমাকে এই বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।

রাজা বাদশাদের তো অনেক ক্ষমতা থাকে। তারা ইচ্ছে করলেই কারো সাত খুন মাফ করতে পারে আবার কাউকে বিনা দোষে শূলিতেও ঝুলাতে পারে। আমি রাজার বিশেষ আস্থাভাজন মানুষেই পরিণত হয়েছিলাম বলে আমি মনে করি। না হয় ঘোড়সওয়ারের পদে চাকরীর জন্য আবেদন করে আমি কেমন করে ঘোড়ায় চড়ার পরীক্ষা না দিয়ে পাস করলাম তা আমি ভেবেই পাচ্ছিলাম না। এরপর তো দিনের মজার শুরু।

আজ ছিল একটা ব্যস্ত দিন। গুরুজীদের ভয়ে আমার হাত পা যেখানে কাঁপার কথা সেখানে তারাই উলটো সময় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আমাদের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে তারা নিজেদের কর্মই পালন করতে পারেনি। আজ বড়ই বিশেষ দিন বোধহয় আমার জন্য। সন্ধ্যায় যখন নৌকার খোঁজে বের হলাম তখন দেখি একবিশাল জন সমুদ্র।

আমার মনে হল, কোনো দেশের রাজকন্যা বুঝি তার বর খোঁজার জন্য পাত্রের আহবান করেছেন। সবার তাই আগে পৌছানোর আশা। অনেক কষ্টে ঠেলে ঠুলে আমিও নৌকায় চড়লাম। আশা ছিল আমিও তাদের সাথে চলে যাই রাজকন্যার প্রাসাদে। জীবনে একবার দেখি রাজকন্যার সুন্দর মুখখানি।

কিন্তু পোড়াকপাল আমার। নৌকা ফুটো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় আমাকে রাজপ্রাসাদে যাওয়ার আগেই নেমে যেতে হল পথে। সেখান থেকে শুরু করলাম আমার নিজ গন্ত্যবের দিকে হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে দেখা হয়ে গেল সেই পাগলের যে কিনা কোট পড়ে রাস্তায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রন করে। আমি প্রথমে খেয়াল করিনি।

তবে হঠাৎ তার বিচিত্র চিতকার শুনে আমি তার দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম। আসলেই যে এধরনের পাগল আমাদের দেশে আছে তা আমি আগে বিশ্বাস করতাম না। তাই আমার গন্তব্যর দিকে হাঁটা থামিয়ে মনোযোগ সহকারে তার কর্ম আমি দেখে চললাম প্রায় ১০-১৫ মিনিট। এতো নিষ্টার সাথে কর্ম বোধহয় আর কেউ করে না। এতো আনন্দের সহকারে তিনি অন্যদের বকাঝকা করছিলেন যে, আমার একবার মনে হল তাকে গিয়ে ধন্যবাদ জানাই।

কিন্তু তখনই আমার কবুতর খানি চিতকার করে উঠায় আমাকে আবার গন্ত্যবের পথে হাঁটা শুরু করতে হল। গন্ত্যবে পৌছে দেখা হয়ে গেল ক্ষুদে দানবদের সাথে। তারা চিতকার করে করে তাদের শিকারদের যাবতীয় কাজে সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। তাদেরকে কোনো মত কাঁটিয়ে আমি ঢুকে পড়লাম নিজ গুহায়। এটা কিন্তু আসলে স্বপ্ন নয়।

আমার জীবনের একদিনের ঘটনা। ১.ড্রাইভিং টেস্ট। ২.ক্লাসে ম্যাডাম শুধুই খাতা দিয়েছেন, পড়াতে পারেননি। ৩.বেভকো বাসের প্রতিদিনকার অবস্থা ৪.কোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এক্সিকিউটিবের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন ৫.কবুতর = মোবাইল ৬.ক্ষুদের দানব হল আমাদের এপার্ট্মেন্টের পিচ্চি বালক বালিকারা


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.